সারাদেশ

দ্বাদশ নির্বাচনে ২৪১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি: টিআইবি

ডেস্ক রিপোর্ট: দ্বাদশ নির্বাচনে ২৪১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি: টিআইবি

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৪১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি বলে দাবি করেছে দুর্নীতি বিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি আয়োজিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং” শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সংস্থাটির মতে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক দেখাতে নিজ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করলেও বেশিরভাগ আসনে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।

টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে অধিকাংশ ভোটেকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া অন্য দলের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ছিল না। প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের এজেন্টদের হুমকির মাধ্যমে কেন্দ্রে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা হয়।

সেখানে আরও বলা হয়, ভোটের দিন স্বল্প ভোটার আগমন এবং ডামি লাইন তৈরি করে বিভিন্ন আসনে অন্যদলের প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়। ভোটের আগে ব্যালটে সিল মারা, ভোট চলাকালে প্রকাশ্যে সিল মারাসহ আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনিয়মের অভিযোগ থেকে এমন তথ্য ওঠে এসেছে টিআইবির প্রতিবেদনে।

নির্বাচনে বিভিন্ন অপরাধে সাড়ে ১১শ মামলা, ৭৮৪ জনকে জরিমানা

ছবি: বার্তা২৪.কম

সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগে এবং পরে বিভিন্ন অপরাধে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে এক হাজার ১৬২ জনকে মামলা দিয়েছে ইসি। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অনেককে ৬ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সাজা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে ৭৮৪ জনকে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র এই তথ্য জানায়িয়েছে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি মামলা করেছে ১১১টা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মামলা করেছেন এক হাজার ৫১টা। তারমধ্যে ৭৮৪টা মামলায় জরিমানা করা হয়েছে আর বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ জরিমানার পরিমাণ ছিল দশ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ পর্যন্ত।

এদিকে ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা সংক্ষিপ্ত বিচারে ৬০ জনকে ইতিমধ্যে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছে। অন্যদেরও মামলা দেওয়া হবে।

;

সফল নির্বাচন করায় ইসির ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান 

সফল নির্বাচন করায় ইসির ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান 

সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পূর্ণ হওয়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

ইসির সেবা শাখার সহকারী সচিব ইজাকির মাহমুদ ইতিমধ্যে মাঠ কর্মকর্তাদের যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মহোদয়ের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে (বেইজমেন্ট) গত ৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করায় একটি ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে নির্বাচন কমিশন সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, ঢাকা এবং সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, ঢাকা এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) ও ইভিএম প্রকল্পের কর্মকর্তাগণকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হল।

;

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হতে পারে রমজানের আগে

ছবি: বার্তা২৪.কম

রমজান শুরুর আগে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

ইসি অতিরিক্ত সচিব বলেন, কমিশনের অনুমোদন ক্রমে রোজা শুরু আগেই উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট হতে পারে। আগামী ১০ মার্চ পবিত্র মাহে রমজান শুরু হবে।

ইসির এই সচিব বলেন, উপজেলার তালিকা পেয়েছি। সেই অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুত আছে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন তফসিল ঘোষণা হতে পারে। ধাপে ধাপে করবে, না একবারে করবে, যেভাবেই সিদ্ধান্ত দেয়, ইসি সচিবালয় প্রস্তুত আছে। রোজার আগে সম্ভাবনা আছে, রোজা শুরু হওয়ার আগে হয়তো হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যোগ্য হয়েছে ৪৮৫ টি, এরকম তালিকা পেয়েছি। ইনফ্যাক্ট সবই তো নির্বাচন যোগ্য, কারণ ২০১৮ সালের মার্চের দিকে নির্বাচন হয়েছিল। এসএসসি পরীক্ষা, রোজাসহ সব কিছু বিবেচনা করবো। আমাদের দেশে রোজায় নির্বাচন কম হওয়ার প্র‍্যাকটিস আছে। সেক্ষেত্রে হয়তো রোজার আগে হতে পারে, পরবর্তী ধাপ ঈদের পরে হতে পারে। প্রথম ধাপের ভোট হয়তো ঈদের আগে হতে পারে।

;

ভোটের হার নিয়ে জানতে চায় এনডিআই-আইআরআই প্রতিনিধিরা

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের এক সপ্তাহ পর ভোটের সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে জেনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) যৌথ প্রতিনিধি দল। এসময় তারা ৭ জানুয়ারি ভোটের হার নিয়ে ওঠা প্রশ্নের বিষয়ে জানতে চেয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এনডিআই ও আইআরআই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্তি সচিব এবং আইন শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে এ বৈঠক করেন।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির আইন শাখার যুগ্ম সচিব মাহবুবার রহমান সরকার জানান, ভোটের আগেও তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। ভোটের পরে আবার বৈঠক হয়েছে। তারা নির্বাচনে আইনের প্রায়োগিক দিকগুলো জানতে চেয়েছেন। খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আমাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

আর অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, তারা মূলত নির্বাচনের বিভিন্ন আইন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

তিনি জানান, দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দলের ভোট বর্জনসহ ওই দিন হরতাল ডাকার পরও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো সহিংসতা বা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা না ঘটায় পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এরআগে, জাপানসহ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসা প্রায় বেশিরভাগ বিদেশি পর্যবেক্ষক এই নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশ ত্যাগের আগে আলাদা আলাদাভাবে সংবাদ সম্মেলন করে দ্বাদশ নির্বাচনে তাদের পর্যবেক্ষণের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে নির্বাচনের দিন সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে কম ভোটারের উপস্থিতি থাকার পরেও ফলাফলে ৪১ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়ার তথ্য অনেক নির্বাচন বিশ্লেষককে অবাক করেছে।

তারা প্রশ্ন তুলছেন, প্রথম সাত ঘণ্টায় যেখানে ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে, সেখানে শেষ ঘন্টায় কীভাবে আরও ১৪ শতাংশের মতো ভোট পড়লো?

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *