সারাদেশ

বিএনপি তালা ভাঙ্গা ও লাগানোয় অত্যন্ত চতুর: কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি তালা ভাঙ্গা ও লাগানোয় অত্যন্ত চতুর: কাদের

ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নিজেরাই নিজেদের অফিসে তালা লাগিয়ে নিজেরাই তালা ভেঙ্গে বলেছে সরকার আমাদের অফিসে তালা লাগিয়েছে। তারা তালা লাগাতেও পারে, আবার ভাঙতেও পারে। এই বিদ্যায় তারা অত্যন্ত চতুর।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যৌথসভার শুরুতে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংসদ গঠন নিয়ে কয়েকটি বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) বলছে একাদশ জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্যরা আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে বহাল আছে। সম্পূর্ণভাবে তারা একটা ভুল ব্যাখ্যা হাজির করেছে। সংবিধান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষিত হয়েছে। সংবিধান নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতবার ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের হাতে সময় ছিলো কিন্তু কথা ছিলো সেই সংসদ যেদিন গঠিত হয়েছে সেদিনের পিছনের তিন মাস বা ৯০ দিন, ঐ ৯০ দিনের মধ্যেই ইলেকশন করতে হবে। এটাই সাংবিধানিক অবলিগেশন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর গ্যাজেট প্রকাশনা একটি আইনগত বাধ্যবাধকতা। গ্যাজেট প্রকাশনার পর সংসদ সদস্যগণের শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী সংসদ গঠনের পর পর আগের সংসদ সংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এটি আলাদাভাবে বিলুপ্ত ঘোষণার কোন প্রয়োজন পড়ে না। এছাড়া সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ ভেঙে দেওয়ার একমাত্র এখতিয়ার সংসদ নেতা বা প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী যখন নিজেই নতুন সংসদ সদস্য হিসেবে এবং অন্যান্য সকল সংসদ সদস্যদেরকে নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন তখন পূর্বের সংসদ বহাল থাকার কোন সাংবিধানিক ও আইনি কারণ থাকে না।  

বর্তমান জাতীয় সংসদ সংবিধানের বিধানকে ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের বিধানের সাথে সামঞ্জস্য করেছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এই বিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ থাকাকালীন শেষ ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। সারা পৃথিবীতে সংসদীয় গণতন্ত্রে ওয়েস্ট মিনিস্টার টাইপের ব্যবস্থায় এই প্রথা প্রচলিত। এটা বাংলাদেশে নতুন করে কিছু করা হয়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করায় নতুন রণকৌশল করতে হয়েছে। তাই এবার সংসদে বড় একটা অংশ এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী। এবার নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই নির্বাচনে রনকৌশল করতে হয়েছে যার সোনালী ফসল আমরা ঘরে তুলেছি। মোটামুটি সংঘাত মুক্ত হয়েছে নির্বাচন। যারা নির্বাচনে আসেনি তারা অনেক কথাই বলেছে। তারা বলছে এই নির্বাচন হতে দেবে না। তাদের এই হাঁকডাক কোথায় গেলো।

জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর এবং সহযোগিতা সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন সার্বিকভাবে ফেয়ার হয়েছে, বলার সুযোগ নেই: চুন্নু

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন সার্বিকভাবে ফেয়ার হয়েছে এ কথা বলার সুযোগ নেই। কিছু কিছু জায়গায় সুষ্ঠু ভোট হয়েছে, অনেক জায়গায় সুষ্ঠু হয় নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আমাদের অনেকগুলো সমস্যা হয়েছে। বিভিন্ন মহল আমাদের আশ্বস্ত করেছিল নির্বাচন ফেয়ার হবে, তারা কথা রাখে নি। উপযুক্ত প্রমাণ হলো আমাদের ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার প্রার্থী। সেখানে আমাদের প্রার্থী ৪৪ হাজার ভোট পেয়েছেন। ওই আসনে জাল ভোট দেওয়ার প্রমাণও রয়েছে। আমাদের প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে দরখাস্ত দিয়েছে, ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দিয়েছে। সুনামগঞ্জে ১১টার পর অনেক সেন্টারে সিল মারা হয়েছে। সেখানে সরকারের লোকরাই জড়িত ছিল। যে কারণে আমরা কাঙ্খিত আসন পাইনি।

তিনি বলেন, যেটুকু আসন পেয়েছি, আমাদের ভয়েজ উচ্চসর থাকবে। সরকারকে বাধ্য করতে যা যা করা দরকার করা হবে। বেশি সংখ্যক সংসদ সদস্য থাকলেও লাভ নেই যদি সরকারের ভুলগুলো তুলে না ধরে। জবাবদিহির আওতায় না আনা যায়। সংসদে যদি সত্যিকারের বিরোধী মনোভাব না থাকে। সেজন্য জাতীয় পার্টি সত্যিকারের বিরোধীদলের মনোভাব নিয়ে সংসদে থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্বাধীনতার পর প্রথম সংসদে বিরোধীদলের ১ জন সংসদ সদস্য ছিলেন সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। তিনি একাই সংসদকে কাঁপিয়ে তুলেছিলেন। আমরাতো ১১ জন আছি, অপেক্ষা করুন।

বিরোধীদল কে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সংসদে বিরোধীদল হিসেবে স্পিকার কাকে রিকগনাইজড করবে সেটা তিনি ভালো বলতে পারবেন। রিকগনাইজড করলে কিছু সুযোগ সুবিধা পাবে। ওনি করলেও আমরা বিরোধীদল, না করলেও আমরা বিরোধীদল।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জাতীয় পার্টির ৯৯ শতাংশ নেতাকর্মী শীর্ষ নেতার প্রতি আস্থাশীল। কয়েক জনের আস্থা না থাকলে দলের কোন ক্ষতি হবে বলে আমি মনে কি না। আমরা হাজার হাজার শতশত নেতাকে বহিষ্কার করিনি। মাত্র ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিএনপিতেও এমন বহিষ্কারের ঘটনা রয়েছে। রাজনৈতিক দল একটি ট্রেনের মতো এখানে অনেক যাত্রী উঠতেও পারে আবার নেমে যেতেও পারে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোন কারণ দেখিনা।

অভিজ্ঞ নেতাদের বহিষ্কার প্রসঙ্গে বলেন, অনেক সময় অভিজ্ঞতা বেশি হয়ে গেলে দলের নেতৃত্বকে মানতে চায় না। অভিজ্ঞতার আবার লসও আছে। অনেক সময় কম অভিজ্ঞতা নেতার প্রতি আনুগত্য থাকলে বেশি ভালো।

;

পিটার হাস সাহেবও অভিনন্দন জানিয়েছেন: কাদের

ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পিটার হাস সাহেবও অভিনন্দন জানিয়েছেন। যাকে নিয়ে আমাদের আপনারা কত রঙ দেখালেন, কত যাদুই না দেখালেন, তো সেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাহেব তিনিও অভিনন্দন জানিয়েছেন।’

‘এখন কাকে নিয়ে খেলবেন, কাকে নিয়ে আর এটা করবেন ওটা করবেন, এখন স্বপ্ন দেখছেন কখন ভিসা নিষেধাজ্ঞা, কখন ভিসানীতি প্রয়োগ হবে, কখন নিষেধাজ্ঞা আসবে।’   

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভায় সভাপতিত্বের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অপেক্ষা করুন কখন, ধৈর্য ধরুন রোজ কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সময় আছে ৫ বছর, ৫ বছরের মধ্যে উল্টাপাল্টা বললে আর লাভ নেই। আবার এই দাবির জন্য ১০ ডিসেম্বর, ৫ বছর পর আরেকটা ২৮ অক্টোবরের জন্য অপেক্ষা করুন।’ 

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর নামিদামি গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশের এই নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু হয়েছে এই কথা বলে প্রশংসা করে কেন? আমাদের আশেপাশের দেশ তো বাকি নাই। পাকিস্তানের হাইকমিশনার পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে দিয়েছেন।’ 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি মহল এই নির্বাচন কে পছন্দ করতে পারছে না। এখন বলছে এইটা অবৈধ। বৈধতা কিভাবে পাবে? ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা প্রহসনের নির্বাচন করলে কি বৈধতা পাবে? মাগুরা মার্কা ইলেকশন, ঢাকা-১০ এর ইলেকশন এইগুলা তো বেশি দিন আগের না।’ 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই ইলেকশনে ইলেকশন কমিশন কতটা স্বাধীন ছিলো। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন, সরকারি দলের প্রার্থিতা বাতিল হলো, কয়েকজন প্রার্থীকে শোকজ করা হলো। কিছু কিছু প্রার্থীকে ডেকে এনে ভৎসনা পর্যন্ত করেছে। এই দৃষ্টান্ত আর কেউ দেখাতে পারবে? বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনা রেখে গেছেন।’ 

তিনি বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে মানুষ নেই, জনগনও নেই। এই জন্যেই তারা আন্দোলনে ব্যর্থ। নির্বাচনে আসলেই হেরে যাবে সে জন্যেই তারা নির্বাচনে আসেনি। উপর থেকে নিচ সব নেতাকর্মী হতাশায় ডুবে আছে। চরম হতাশাদের শিবির তৈরি হয়েছে বিএনপি।’ 

যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দিপু মনিসহ দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতারা।

;

‘সম্পর্ক আরও জোরদারে ঢাকা-ওয়াশিংটন একসঙ্গে কাজ করবে’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

জঙ্গি দমন, উগ্রবাদ মোকাবিলা, বাণিজ্যে বিস্তৃতি, রোহিঙ্গা ইস্যু, সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ নানান বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ব্যাপারে আমরা একমত ব্যক্ত করেছি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  

তিনি বলেন, আমরা জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে, উগ্রবাদ মোকাবিলায় দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করেছি। উভয় দেশ সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করতে আমাদের বাণিজ্য আরও বিস্তৃত করতে এবং অন্যান্য সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করব বলে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছি।  

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশ-মা‌র্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা পিটার হাসের ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নানান বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কো-অপারেশন আছে। আমরা জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে, উগ্রবাদ মোকাবিলায় দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করেছি। আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ব্যাপারে একই মত ব্যক্ত করেছি। গত নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেকে পর্যবেক্ষণ করতে এসেছে সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে; প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে যেটি ভালো সংখ্যা। কারণ নির্বাচনের দিন অনেক কুয়াশা ছিল, সকালে ঠান্ডা ছিল সেটি না হলে ভোট আরও ১০ শতাংশ বেশি পড়তো। সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা উভয় দেশ সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে একমত হয়েছি।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ আলোচনায় এসেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গাদের ফেরাতে সব সময় তাদের সহযোগিতা চেয়ে এসেছি আজকে সেটি আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছি। সেই লক্ষ্যে আমরা একযোগে কাজ করব বলে একমত হয়েছি।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা এবং সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রে তেল অনুসন্ধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সমুদ্রে প্রচুর তেল আছে সেটা আমেরিকান একটি কোম্পানি অনুসন্ধান করেছে। এটি উত্তোলন করতে পারলে আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা কিছুটা আছে। সেটা নিয়েও আলোচনা করেছি।

এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও সামনের মাসগুলোতে দু’দেশের পারস্প‌রিক স্বার্থ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও কাজ করার কথা জানান। 

;

প্রধানমন্ত্রী দেশে জংলি শাসন কায়েম করেছেন: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী তার অপরিসীম ক্ষমতায় আইনকানুন, নিয়মনীতি, সংবিধান, শৃঙ্খলা সবকিছু পদতলে পিষ্ট করে দেশে জংলি শাসন কায়েম করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভ্রান্ত ও মিথ্যা তথ্যের সমষ্টি ছাড়া কিছুই নয়। তাদের উদ্ভট কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে পেছন থেকে কেউ ধাওয়া করছে আর তারা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে ঊর্ধ্বশ্বাসে।’

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘পূর্ব নির্ধারিত ফলাফলের ভোটরঙ্গ ও ভোট গণনা শেষ না হতেই ডামি এমপিদের নামে গেজেট, শপথ গ্রহণ, মন্ত্রিপরিষদের নাম ঘোষণা, মন্ত্রীদের শপথ– চারদিনেই অভাবনীয় দ্রুততায় বিশ্ব রেকর্ড করে ভেবেছেন বিপদমুক্ত হলেন। তাকে দেখে মনে হচ্ছে অস্থির। ভীতি-ত্রাসে তাড়াহুড়ো করে ক্ষমতা নবায়ন করার অবৈধ শপথ নিতে গিয়ে আইনকানুন ও সংবিধানের কবর রচনা করা হয়েছে। এমনিতেই সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে শেখ হাসিনা ভাববিলাসী নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নিশ্চিত করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি আগে ভেঙে না দিয়ে থাকলে প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে। যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেননি, তার মানে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ সংসদের যারা সংসদ সদস্য ছিলেন, তারা সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন।’

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘দেশের আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে দেশে মিডনাইট একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর ডামি দ্বাদশ সংসদের ২৯৮ জন মোট ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। আগামী ২৯ জানুয়ারি একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়া অবধি এই অরাজকতা থাকবে। এটি চরম সাংবিধানিক লঙ্ঘন। গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে এসময়ের মধ্যে দ্বাদশ অবৈধ সংসদ বাতিল করে দিতে পারে উচ্চ আদালত। জনগণের প্রত্যাশার শেষ আশ্রয়স্থল আদালত তাদের যুগান্তকারী ভূমিকা নিতে পারে।’

রিজভী বলেন, ‘দেড় দশক ধরে দেশের ভোট বঞ্চিত মানুষের মৌলিক দাবি– নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু শেখ হাসিনা ও তার লুটেরা পারিষদবর্গ সংবিধানের দোহাই দিয়ে একটির পর একটি বিনা ভোট, নিশি ভোট, ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করে দেশে জংলি আইনের শাসন কায়েম করেছে।’

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *