সারাদেশ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কর্নকাঠি গ্রামের এমএম টাওয়ারের ৬ষ্ট তলার মেস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেন। 

ওই ছাত্রীর নাম বৃষ্টি সরকার (২৩)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী। সাতক্ষীরার বাসিন্দা মধুসুদন সরকারের মেয়ে তিনি। 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মশিউর রহমান জানান, মেসের ওই কক্ষে ছাত্রী একাই থাকতেন। সহপাঠীরা জানালা দিয়ে তাকে ঝুলতে দেখতে পায়। পরে  তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বন্দর থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আব্দুল কাইউম বলেন, আমরা ঘটনা শোনার পড়ে সাথে সাথে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে যাই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো কর্মকর্তা সে জায়গায় উপস্থিত হয়ে থাকেন। আমরা যাওয়া পড়ে শুনি সে আর বেঁচে নেই। তার মৃত্যুর মূল কারণ কি সে মেন্টাল ডিপ্রেশনে ছিল না অন্য কোন রিলেশন জনিত কারণে ছিল না পারিবারিক কোন সমস্যায় ছিল এই বিষয় গুলোর তাৎক্ষণিক কোন তথ্য পাইনি। তবে খুব শীগ্রই আমারা জানার চেষ্টা করতে আছি। 

তিনি বলেন, আজকে যে ঘটনাটি হয়েছে সেটা আমাদের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। মেয়েটা অনেক চটপটে ছিল এবং ভালো মেধাবী ছিল। তার এই বয়সেই দুর্ঘটনা আমরা খুব মর্মাহত। আমরা সার্বিকভাবে সবকিছু নজর রাখছি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিব। 

প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড কিনা এই বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোক আছেন, সকলেই তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে মূল ঘটনা বোঝা যাবে। 

জবির অর্থ দফতরের পরিচালক ড. মো. মহসীন রেজা

ড. মো. মহসীন রেজা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অর্থ ও হিসাব দফতরের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মহসীন রেজা।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫-এর প্রথম সংবিধি ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মহসীন রেজাকে অর্থ ও হিসাব দফতরের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হলো। তিনি পরবর্তী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন এবং বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।”

এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মহসীন রেজা বলেন, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করবো। আর্থিক বিষয়াদিতে আমি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে আশাবাদী। আমাকে দায়িত্ব অর্পণ করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।

প্রসঙ্গত, ড. মো. মহসীন রেজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এর পূর্বে গত ৩১ ডিসেম্বর অর্থ ও হিসাব দফতরের পরিচালক পদ থেকে অধ্যাপক ড. কাজী মো. নাসির উদ্দীনকে অব্যাহতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

;

ইউজিসি ফেলোশিপ পেলেন চবির দুই শিক্ষক

ইউজিসি ফেলোশিপ পেলেন চবির দুই শিক্ষক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুইজন শিক্ষককে ইউজিসি পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপের জন্য নির্বাচন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসি)। শিক্ষক দুইজন হলেন ফাইন্যান্স বিভাগের ড. ফিরোজা আক্তার খানম ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ড. নুরুল আমিন নূরি।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ইউজিসি পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ মনোনয়ন বিষয়ক কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ড. নুরুল আমিন নূরি বার্তা২৪.কম এর সাথে অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমার জীবনে অনেক বড় একটা ডিগ্রি অর্জন করার স্বপ্ন ছিল। আল্লাহ তায়ালার রহমতে সেটা সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি বর্তমানে ‘ইসলামের দৃষ্টিতে পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ প্রতিকার’ শিরোনামে একটা গবেষণার কাজ করছি। এ ডিগ্রি পাওয়ার পর আমার কাজের গতি আরো বৃদ্ধি পাবে। আমি ইউজিসি ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ড. ফিরোজা আক্তার খানম নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমি খুব আনন্দিত। আর পাশাপাশি ইউজিসিকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে তারা আমাকে গবেষণার জন্য ভালো একটা সুযোগ করে দিয়েছেন। এটা আমাকে আরো বেশি উৎসাহ দিবে ভালো কিছু করার জন্য। আমি এখন ব্যাংকিং নিয়ে গবেষণার কাজ করছি। আমার মনে হয় এ সেক্টরে ভালো কিছু করতে পারব ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য, ইউজিসি পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ ২০২৩-এর জন্য দেশের বিভিন্ন পাবলিক, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় (শুধু স্থায়ী ক্যাম্পাস) এবং সরকারি কলেজের ৩০ জন গবেষক আবেদন করেছিলেন। নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, প্রকাশনা, গবেষণার শিরোনাম, সারসংক্ষেপ, সুপারভাইজারের সুপারিশের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ১০ জন গবেষককে ইউজিসি পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ ২০২৩-এর জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়েছে।

;

‘জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১’ বাতিলের দাবিতে জাবিতে গণস্বাক্ষর

ছবি: বার্তা২৪.কম

‘জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১’ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে স্বাক্ষর সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সজিব আহমেদ জেনিচের সঞ্চালনায় স্বাক্ষর সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন। উদ্বোধনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ।

উদ্বোধনকালে বক্তারা বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞান-মনুষ্যত্ব ধ্বংসকারী এ শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে একটা প্রজন্মকে ধ্বংস করা হচ্ছে। শিক্ষার মধ্য দিয়ে মানুষ গড়ে উঠে, চরিত্র গড়ে ওঠে, দক্ষতা সম্পন্ন মানুষ তৈরি হয়। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এক নয়। এই শিক্ষাক্রম শুধু দক্ষতাসম্পন্ন অনুগত শ্রমিক তৈরি করবে, কিন্তু জ্ঞান অর্জনের পথ রুদ্ধ হবে। এতে মানুষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন পশুতে পরিণত হবে৷ একদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করার কথা বলা হচ্ছে, অন্যদিকে বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলোকে সংকুচিত করা হচ্ছে। ফ্যাসীবাদী শাসন ব্যবস্থার পরিপূরক মনন তৈরির জন্যেই এ শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ বাতিলের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে সারাদেশব্যাপী ৫ লক্ষ স্বাক্ষর সংগ্রহের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ হয় বেলা ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।

;

ঢাবিতে নানা আয়োজনে উদযাপিত হলো চীনা নববর্ষ 

ছবি: বার্তা ২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চীনা নববর্ষ উপলক্ষে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট ও চীনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে নানাবিধ আয়োজনের মাধ্যমে ‘Beautiful China: Colorful Yunnan’ শীর্ষক Spring & Cultural Gala Festival অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল ৩.০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক হু জিনমিং এবং ইউনান প্রভিন্সিয়াল সিভিলাইজেশন অফিসের চেয়ারম্যান মি. পেং বিন।

এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অতিথিগণ জানান, অনুষ্ঠানটি চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যে আয়োজন করা হয়েছে। এটি মূলত চীনের বসন্ত উৎসব। বাংলাদেশের মানুষকে চীনের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের খেলার মাধ্যমে। খেলাধুলায় বিজয়ীদেরকে নান রকম চীনা পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। আমরা এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে ভালো লাগছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ক্যাম্পাসে চীনা প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দীর্ঘকাল যাবত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীন অনন্য অবদান রেখে চলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চীনের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ করে ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ এসব সম্পর্ক আগামীতে আরও জোরদার ও মজবুত হবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’ 

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ইউনান প্রভিন্সের উপ-মহাপরিচালক মি. পেং বিন বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের পরীক্ষিত ও পুরাতন বন্ধু দেশ। আমাদের দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশেষ করে শিক্ষা, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আগামীতে আরও উচ্চতায় নেওয়া হবে।’

তিনি কুনমিং প্রভিন্স সফরের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে আমন্ত্রণ জানান।

উল্লেখ্য, ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং যৌথ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম জোরদার করার ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করায় চীনা অতিথিদের ধন্যবাদ জানান।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *