সারাদেশ

কুমারখালীর সেই গ্রাম পরিদর্শন করলেন ডিসি-এসপি 

ডেস্ক রিপোর্ট: আর মাত্র পাঁচ দিন পরেই ২২ জানুয়ারী ভারতের উত্তর প্রদেশে অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই মেগা উদ্বোধন উপলক্ষে রামের জন্মভূমিতে পড়ে গিয়েছে সাজো সাজো রব।

এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ দেশ থেকে বিদেশে পৌঁছে দিতে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তের শুন্য রেখায় দুই বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতি অনেকটা মিলনমেলায় রুপ নেয়।  

উদ্বোধনের আগে সেখানকার ‘ভূমি পূজার প্রসাদ’ হিসেবে বাংলাদেশীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় আতব চাল (অক্ষত চালের) দুটি কলস। এ প্রসাদ বাংলার হিন্দু পরিবারের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হবে। মিলনমেলা অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় এসময় সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের কঠোর নজরদারি ছিল।

নিমন্ত্রণপত্র ও প্রসাদ প্রদান অনুষ্ঠানে ভারতের পক্ষে ছিলেন, ভারতের ২৪ পরগনা বঁনগা উত্তরের বিধায়ক শ্রী অশোক কৃতনিয়া ও বঁনগা হিন্দুত্ববাদী নেতা গোবিন্দ ভট্রাচার্য।

বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন-জাতীয় হিন্দু মহাজোটের যশোর জেলা শাখার সভাপতি শ্রী অমল অধিকারী সাহস, সহসভাপতি অমল ভাস্কর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রী সঞ্জিত অধিকারী, ছাত্র মহাজোট যশোর শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত দাস ও প্রচার সম্পাদক জয় দত্তসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

এদিকে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রামমন্দির উদ্বোধনের আগে বড় ঘোষণা দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মার। অযোধ্যায় শ্রীরাম বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেখানে থাকবে রামায়ণ ও শ্রীরাম সাহিত্য়ের গবেষণাকেন্দ্র। এ ব্যাপারে একাধিক বেসরকারি সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার।

আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অযোধ্যায় গড়ে উঠবে শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। রামমন্দির উদ্বোধনের আগে সরযূ পাড়ে দাঁড়িয়ে এবার এই আশ্বাস দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা। শুধু তাই নয়, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে রামায়ণ ও শ্রীরাম সাহিত্য নিয়ে গবেষণাকেন্দ্র তৈরির কথাও বলতে শোনা গিয়েছে তাকে।

মঙ্গলবার রামের জন্মভূমিতে পা দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ডেপুটি। সেখানে তিনি আরও বলেন, ‘ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি, অযোধ্যায় যেন শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের পাশাপাশি রামায়ণ ও রাম সাহিত্য নিয়ে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন দীনেশ শর্মা। তার কথায়, এদেশে রামায়ণ একাধিক ভাষায় লেখা হয়েছে। সেগুলোর সাহিত্য গুণ যেমন অনন্য, তেমনি আবার আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্যও আছে। তুলসীদাস রচিত রামচরিতমানসের মতো প্রাচীন সাহিত্য সংরক্ষণ করা খুবই দরকার। গবেষণা সংস্থা সেই কাজ করবে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *