সারাদেশ

প্রতিটি জেলায় রেলপথ চালু করা হবে: রেলমন্ত্রী 

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রতিটি জেলায় রেলপথ চালু করা হবে: রেলমন্ত্রী 

ছবি: বার্তা ২৪

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ‘আমাদের অনেক রেলপথ বন্ধ করে দিয়েছিল বিএনপি। আপনারা রাজবাড়ীতেই দেখেছেন কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেলপথ বন্ধ করে দিয়েছিল তারা। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বন্ধ হয়ে যাওয়া সকল রেলপথ পুনরায় চালু করেছেন। রেলপথ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশাল পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের প্রতিটি জেলায় রেলপথ চালু করা হবে।’ 

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ ও গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ণমন্ত্রী হওয়ার পর আজই তিনি প্রথম নিজ জেলায় প্রবেশ করলেন। এর আগে সকাল ৯ টায় ন্যাম ভবনস্থ সরকারি বাসভবন থেকে সড়ক পথে বের হয়ে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে এসে বিআইডব্লিউটিসির নির্ধারিত একটি ফেরিতে দৌলতদিয়া ঘাটে আসেন। আগামি শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকাল চারটায় তিনি আবার ঢাকায় ফিরে যাবেন। এর মধ্যে তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগহণ করবেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ঐতিহ্যগত ভাবেই রাজবাড়ী জেলাকে রেলের শহর বলা হয়। রেলের শহরের মানুষকে রেলমন্ত্রী বানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাকে যেমন সম্মানীত করেছেন ঠিক তেমনি রাজবাড়ীবাসীকেও সম্মানীত করেছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ 

‘আপনারা জেনে খুশি হবেন- রাজবাড়ীর বন্ধ হওয়া সকল ট্রেন আবার চালু করা হবে। রাজবাড়ীতে যে লোকোসেড ছিল সেটি জীবিত করা হবে। এখানে ট্রেনের স্পেশাল কোচের মেরামত করা হবে। লোকেসেডের বেহাত হওয়া জমি উদ্ধার করা হবে। রেলের কোন জমি বা সম্পদ কেউ অবৈধভাবে দখল করে রাখতে পারবে না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে রেলপথ চালু করলে দেশের উন্নয়ন হবে। অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়বে। রেলপথ চালু হলে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। কৃষি পণ্যসহ বিভিন্ন মালামাল খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহন করা যাবে। আপনাদের সবার সহযোগিতা ও দোয়া আমার সাথে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ প্রধানমন্ত্রী যে উদ্দেশ্যে আমাকে মন্ত্রী বানিয়েছেন সেই উদ্দেশ্য সফল করতে পারব।’ 

সাতক্ষীরায় দেশীয় অস্ত্রসহ ভূমিদস্যু বাহিনীর প্রধান আটক 

ছবি: বার্তা ২৪

সাতক্ষীরার দেবহাটায় ভূমিহীন অধ্যুষিত জনপদ ঢেপুখালিতে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ভূমিদস্যুদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঘুমন্ত ভূমিহীন জনপদে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ভূমিদস্যুদের ছোড়া গুলি ও পরপর কয়েকটি বিষ্ফোরণে বিকট শব্দে মুহুর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশি সহায়তা চান ভূমিহীনরা। কিন্তু ভূমিদস্যুদের অপতৎপরতা ক্রমশ বাড়তে থাকায় পুলিশ পৌঁছানোর আগেই ঐক্যবদ্ধভাবে চারপাশ থেকে ভূমিদস্যুদের ঘিরে ফেলে পিটুনি দেন ভূমিহীনরা। এ সময় দেশীয় অস্ত্রসহ ভূমিদস্যু বাহিনী প্রধান রুহুল আমিন ও প্রায় ডজনখানেক অস্ত্রধারীকে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসি।

ভূমিহীন জনপদের সালেহা খাতুন, ছফেদ আলী সরদার সহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সখিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালামতুল্যাহ গাজি, কাজলা ইন্দ্রনগরের রহিম পাড় ও করিম পাড়, নাংলা গ্রামের হারুন বিশ্বাস এবং দেবীশহর গ্রামের কিংকর স্বর্ণকারের মালিকানাধীন নওয়াপাড়া ইউনিয়নের রামনাথপুর মৌজার ৪৬১৭ দাগে প্রায় ১৪০ বিঘা জমি ১৯৯৭ সালে পাওয়ারনামা স্বত্তে কিনে তাতে বসতি গড়ে তোলেন অর্ধশতাধিক ভূমিহীন পরিবার। জমিটি একপর্যায়ে খাস খতিয়ানে অর্ন্তভূক্ত হলে আইনি প্রতিকারের জন্য সরকারের সাথে মামলায় জড়ান মালিকপক্ষ।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভূমিহীনদের হটিয়ে জনবসতিপূর্ন ওই গোটা জনপদ জবরদখলের হুমকি দিয়ে আসছিলেন কালাবাড়িয়া গ্রামের বর্তমান বাসিন্দা ও কালীগঞ্জের সন্যাসীরচক গ্রামের মৃত রুপচাঁদ গাজির ছেলে ডাকাতি-হত্যা ও অস্ত্রসহ অন্তত ডজনখানেক মামলার আসামি, চিহ্নিত ভূমিদস্যু রুহুল আমিন ও তার স্ত্রী তানিয়া বেগম। এ নিয়ে গেল কয়েক মাস ওই জনপদে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভূমিদস্যু রুহুল আমিন, তার স্ত্রী তানিয়া বেগম ও ছেলে তানভীর ওরফে সজিব দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অন্তত ৩০/৪০ জনের বাহিনী নিয়ে অতর্কিত হামলা, গুলিবর্ষণ ও একে একে কয়েকটি বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে গোটা জনপদ দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। অবস্থা বেগতিক দেখে এ সময় ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশি সহায়তা চান ভূমিহীনরা। একপর্যায়ে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই এলাকাবাসি একত্রিত হয়ে চারদিক থেকে ভূমিদস্যুদের ঘিরে ফেলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পাশাপাশি ভূমিহীনদের পিটুনিতে আহত ভূমিদস্যু বাহিনীর লোকজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায় দেবহাটা থানা পুলিশ। 

দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এসএম জামিল আহমেদ বলেন, ‘জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি সহ সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এতে আহত ও আটকদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরী একটি পাইপগান সাদৃশ্য অস্ত্রসহ বেশ কিছু ধারালো রাম দা, কুড়াল ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’ 

;

কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে মসলা তৈরি, কারখানা মালিকের কারাদণ্ড

ছবি: বার্তা ২৪.কম

চট্টগ্রাম নগরীর চাক্তাইয়ে মসলা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে রঙ ও কাঠের গুঁড়া মিশ্রিত ৯০০ কেজি ভেজাল মসলা জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। এ সময় কারখানার মালিক বাচ্চুকে ১ লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি ১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে চাক্তাই এলাকায় মিয়াখান নগর ব্রিজের পাশে একটি মসলা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।

এ সময় কারাখানার মূল মালিক বাচ্চু মিয়াসহ চার শ্রমিককে হাতেনাতে আটক করা হয়।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, ওই কারখানা থেকে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রঙ, কয়লা, কাঠের গুঁড়া এবং অত্যন্ত নিম্নমানের ভূষি মিশ্রিত ৯০০ কেজি মসলা জব্দ করা হয়।

মূলত এগুলো ব্যবহার করে ঐ কারখানায় হলুদের গুঁড়া এবং মরিচ গুঁড়া তৈরি করা হচ্ছিল। পরে মূল অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়াকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি জব্দকৃত মালামাল জনসমক্ষে ধ্বংস করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘প্রতি বছরই পবিত্র রমজান মাসে অধিক মুনাফা লাভের আশায় বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে এরূপ ভেজাল মসলা উৎপাদন ও বাজারজাত করেন। এ বছর রমজানে চট্টগ্রামে যেন এরকম ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও বাজারজাত না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।’

;

সংস্কার চায় বিশ্বব্যাংক, সহায়তা আশ্বাস ভিশন-২০৪১ এ: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, দেশের অর্থনীতির সংস্কার চায় বিশ্বব্যাংক। সেই সাথে সরকারের ভিশন-২০৪১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সব রকম সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এসেছিলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। আমিই তাকে নিয়ে গিয়েছিলাম। রোহিঙ্গারা তো এখনো যায়নি, যে কারণে সেই সম্পর্ক আছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য কাজ করে। তারা বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চান।

মন্ত্রী বলেন, তারা সংস্কার চাচ্ছে। সংস্কার তো অবশ্যই দরকার। তারা বলেছে, তারা বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

তবে কোন কোন জায়গায় সংস্কার দরকার তা জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। বলেছেন, দেখি আমরা, কাজ শুরু করি। আমাদের মধ্যে ভালো একটা সম্পর্ক রয়েছে। তারা সেটা অব্যাহত রাখবে।

এর আগে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা করেছি। আরও ১৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সহায়তা করা হবে।

বাংলাদেশের জন্য এখন অর্থায়ন দরকার উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বাংলাদেশের ২০৪১ সালের পরিকল্পনা সামনে রেখে অর্থ সহায়তা যেমন দরকার, তেমনই সংস্কারও করতে হবে।

;

উত্তরঞ্চলে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য

ছবি: বার্তা ২৪.কম

শীতকাল আর হেমন্ত মানেই উত্তরঞ্চলের ভ্রমণপিপাসু মানুষদের কাছে সুবর্ণ সময়। হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থানের জন্য এ সময় এই অঞ্চলে শীতের যে প্রকোপ তা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের থেকে একদম ভিন্ন। এ কারণে শীতকালে উপভোগের রাজ্য এই অঞ্চল।

শহরের রাস্তার ধারে গরম ভাপা পিঠাসহ নানান ধরণের পিঠার সমারোহ যেমন আছে। তেমনি গ্রামে রয়েছে গাছ থেকে নামিয়ে আনা খেজুর রসের হাঁড়ি আর দিগন্তজুড়ে সরষে ফুলের হাতছানি। যতদূর চোখ যায় শুধু হলদে রাঙানো সরিষার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। নজরকাড়া সরষে ফুলে ঘেরা, নিরিবিলি গ্রামে ঘুরে বেড়াতে আসেন তরুণ তরুণীরা। সরিষার সৌন্দর্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে শাড়ি পরে ফটেসেশন করেন তরুণীরা।

রংপুরে ঘুরতে আসা তরুণী বলেন, দিগন্ত বিস্তৃত চারদিকে সরিষা ফুলের অপার সৌন্দর্য। সরিষা ফুলের ঘ্রাণে মন করে আনচান। অসাধারণ প্রকৃতির রূপ দেখে মুগ্ধ হয়েছে। পুরো পৌষ আর মাঘের অর্ধেক মাসজুড়ে আবহ বাংলার অধিকাংশ জেলার মাঠ এই রকম হলুদ বর্ণ ধারণ করে। পাখির কুহু কুহু ডাক, দিগন্তজুড়া সরষে ফুলের ঘ্রাণ শুঁকতে শুঁকতে, গুঁটি গুঁটি পায়ে হেঁটে চলে যাই সরষে ক্ষেতের আইল ধরে দূর অনেক দূর।

স্থানীয়রা জানান, এবার আলুর ফলন বেশি হয়েছে সে কারণে গত কয়েক বছরের তুলনায় সরিষা কম।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *