সারাদেশ

প্রতিদিন মে‌ট্রো‌রে‌লে কত যাত্রীর যাতায়াত; জানাল কর্তৃপক্ষ

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রতিদিন মে‌ট্রো‌রে‌লে কত যাত্রীর যাতায়াত; জানাল কর্তৃপক্ষ

ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রতি‌দিন গড়ে ১ লাখ ৩০ হাজার থে‌কে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ মে‌ট্রো‌রে‌লে যাতায়াত ক‌রে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএএন ছিদ্দিক।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনের প্রবাসীকল্যাণ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএএন ছিদ্দিক।

তিনি বলেন, মে‌ট্রো‌রেল চলাচল শুরুর পর থে‌কে দিন দিন মানু‌ষের যাতায়াত বৃ‌দ্ধি পে‌য়ে‌ছে। বর্তমা‌নে প্রতি‌দিন গ‌ড়ে ১ লাখ ৩০ হাজার থে‌কে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ মে‌ট্রো‌রে‌লে যাতায়াত ক‌রেন।

এদিকে ২০ জানুয়া‌রি থেকে উত্তরা-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলাচল কর‌বে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

শনিবার থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল
এমএএন ছিদ্দিক ব‌লেন, সকাল ৭টা ১০ মি‌নিট থে‌কে সকাল স‌ড়ে ১১টা পর্যন্ত মি‌নিট পর্যন্ত “পিক আওয়ার” ১০ মি‌নিট পর পর চলাচল কর‌বে মে‌ট্রো রেল। ১১টা ৩১ মি‌নিট হ‌তে বিকাল ৪টা পর্যন্ত “অফ পিক আওয়ার” ১২ মি‌নিট পর পর চলাচল কর‌বে এবং ৪টা ১‌মি‌নিট হ‌তে রাত ৮টা পর্যন্ত “পিক আওয়ার” ১০‌মি‌নিট পর পর চলাচল কর‌বে মে‌ট্রো রেল।

র‌্যা‌পিড পাস সংক্রান্ত জা‌নি‌য়ে তি‌নি ব‌লেন, সকাল ৭টা ১০ মিনিটে এবং সকাল ৭ টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে দুইটি মেট্রো ট্রেন মতিঝিলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। মেট্রো ট্রেন দুইটি সকল মেট্রোরেল স্টেশনে থামবে। এই মেট্রো ট্রেন দুইটিতে শুধু এমআর‌টি বা র‌্যা‌পিড পাস ব্যবহার করে ভ্রমণ করা যাবে।

টি‌কিট কাট‌তে দূ‌র্ভোগ এড়া‌নো বিষ‌য়ে এক প্রশ্নের জবা‌বে তি‌নি বলেন, দূ‌র্ভোগ এড়া‌তে সবাই র‌্যা‌পিড পাস ব‌্যবহার কর‌তে হ‌বে তাহ‌লে টি‌কিট কাট‌তে লাই‌নে দাড়া‌নো বা দূ‌র্ভো‌গে পড়তে হ‌বে না।

সাভারে তিন রেস্টুরেন্টকে জরিমানা

ছবি: বার্তা ২৪.কম

সাভারে খোলা, বা‌সি, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার রাখা ও পরিবেশনসহ বি‌ভিন্ন অপরা‌ধে তিন রেস্টুরেন্ট মালিককে মোট ৩ লাখ টাকা জ‌রিমানা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার(১৮ জানুয়ারি) দুপু‌রে সাভার বাসস্ট্যান্ডের সুরুচি রেস্টুরেন্ট, ইসলামীয়া হোটেল ও হোটেল শুভেচ্ছা এন্ড রেস্টুরেন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন বাংলা‌দেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. সোহেল রানা।

অভিযানে ঢাকা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোছা. রৌশন আরা বেগমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও ব্যাটালিয়ন আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শেষে উপ-পরিচালক মো. সোহেল রানা বলেন, সাভারের সুরুচি, শুভেচ্ছা ও ইসলামিয়া হোটেলের প্রত্যেকটিকে ১ লাখ টাকা করে মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য্য করে আদায় করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন, মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার, নোংরা পরিবেশ, নোংরা রান্নাঘর, খাদ্যকর্মীদের নোংরা পোশাক, ট্রেড লাইসেন্স সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এই জরিমানা করা হয়েছে।

;

২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই কমানো হলো সোনার দাম

ছবি: সংগৃহীত

একদিন না পেরোতেই কমানো হলো সোনার দাম। ভরিতে এক হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকা। অথচ গতকাল ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে এক লাখ ১২ হাজার ৪৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা আজ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।   

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১২ হাাজার ৪৪১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৫ হাজার ৬৭৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯০ হাজার ৫৭১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম ৭৫ হাজার ৪৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজুস সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৩০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ২৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস।

;

জনগণের দোরগোড়ায় সরকারকে নিয়ে যেতে হবে: পরিকল্পনা মন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

আমরা জনগণের সরকার। আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। জনগণের দোরগোড়ায় সরকারকে নিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নান্দাইল উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংবিধানের ধারা অনুযায়ী একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। নির্বাচন পরিচ্ছন্ন হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কোনো মিডিয়াতে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশিত হয়নি। এটা তুমুল প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন ছিল।

উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কর্তব্য ও নিষ্ঠার সহিত নিজ নিজ দপ্তরের কাজ পরিচালনা করবেন। পরিকল্পনা মাফিক কর্মপন্থার মাধ্যমে পরিচ্ছন্নভাবে কাজ সম্পন্ন করবেন। গ্রামীণ অবকাঠামো, সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতসহ অন্যান্য খাতে মানোন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি কোনোভাবেই চলবে না। সেটা নির্মূল করতে আপনাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রশাসনকে জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকতে হবে। জনগণের প্রয়োজন বুঝে সর্বদা সেবা দিতে হবে। জনগণের জন্য একটি স্বস্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পদের সুষ্ঠু ও সমবন্টনে কাজ করতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুন কৃষ্ণ পাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ জুয়েল , উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সারোয়ার হাসান জিটু , উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা জুয়েল প্রমুখ।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয়-১৫৪ (ময়মনসিংহ-৯) আসন হতে জয়ী হয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম।

;

দ্রুতই শহরের চেহারা পাল্টে যাবে: মসিক মেয়র

ছবি: বার্তা ২৪

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘নাগরিকের জীবনমান উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই শহরের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১৬’শ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ দিয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র ৩০০ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে আরও ১৩০০ কোটি টাকার কাজ হবে। এ কাজগুলো শেষ হলে দ্রুতই শহরের চেহারা পাল্টে যাবে।’ 

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ময়মনসিংহ ল্যাবরেটরি স্কুলে নির্মিত অভিভাবক ছাউনি এবং স্কুল প্রাঙ্গণে নির্মিতব্য শহীদ মিনারের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন মেয়র।

তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমাদের চ্যালেঞ্জ- রাস্তাকে প্রশস্ত করা, চলাচলকে নির্বিঘ্ন করা। কোভিড এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে উন্নয়ন এবং স্বাভাবিক কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এরপরও আমরা থেমে ছিলাম না। করোনার বিপর্যয়ে আমরা মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। উন্নয়নকে গতিশীল রাখার চেষ্টা করে গেছি।’ 

মেয়র জানান, শিশুদের উন্নত বিকাশের জন্য ৪০ একর জায়গায় বিস্তৃত একটি শিশু পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা কয়েক মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে বলে আশা করা যায়। আধুনিক সুবিধা সম্বলিত এ পার্ক শিশুর শরীর ও মনের বিকাশে ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি গোলাম ফেরদৌস জিল্লু, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল হক, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *