খেলার খবর

দীপু-জাদরান তাণ্ডবে জয় দিয়ে আসর শুরু চট্টগ্রামের

ডেস্ক রিপোর্ট: লক্ষ্যটা ১৮০ ছুঁইছুঁই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা বেশ চ্যালেঞ্জিংই বটে।  তারওপর দলে নেই সেই অর্থে তারকা তকমা পাওয়া কোনো ক্রিকেটার। এরপরও ব্যাট হাতে সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছে চট্টগ্রামের ব্যাটাররা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে শুরুতে তানজিদ তামিম ও ইমরানুজামানের উইকেট হারালেও দলকে ভেঙে পড়তে দেননি অভিশকা ফার্নান্দো। পরে তাকে অনুসরণ করেছে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা শাহাদাত হোসেন দীপু ও নজিবুল্লাহ জাদরান। দুজনে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় জয় এনে দিয়েছে চট্টগ্রামকে। সিলেটকে হারিয়ে দারুণ জয়ে আসর শুরু করেছে চট্টগ্রাম।

উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেটের দেওয়া ১৭৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। দলীয় ১৪ রানেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় তামজিদকে। এরপর অবশ্য একপ্রান্তে ঝড় তোলেছেন ফার্নান্দো। ২৩ বলে ৩৯ রান করে তিনি থাকলেও দলকে পথে রাখেন প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলতে নাম দীপু।

টেস্ট ব্যাটারের তকমা পাওয়া এই তরুণ শুরুর দিনেই নিজেকে চিনিয়েছেন ভিন্ন রূপে। জানান দিয়েছেন টেস্ট ব্যাটার হিসেবে তাকে সবাই জানলেও তিনি টি টোয়েন্টি মেজাজেও ব্যাট চালাতে পারেন। অভিজ্ঞ আফগান ব্যাটার জাদরানকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন দীপু। জয়ের পথে ৩৯ বলে সমান ৪টি করে চার ও ছক্কা হাঁকান দীপু। করেন ৫৭ রান। তার মতোই অপরাজিত ছিলেন জাদরান। ৩০ বলে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে ৬১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দুজনের অনবদ্য জুটিতে দারুণ জয়ে আসর শুরু করে চট্টগ্রাম।

এর আগে, এদিন ২৫০ দিন পর মাঠে নেমে সিলেটের নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফির। চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম টসে জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠান মাশরাফির দলকে। ব্যাট হাতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছে সিলেট। দুই ওপেনার নাজমুল শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুন দু’জনেই পেয়েছেন রানের দেখা।

তাদের দু’জনের জুটি ভাঙে ৬৭ রানে। শান্তকে ফিরতে হয় ৩০ বলে ৩৬ রান করার পর। এরপর জাকির হাসান এসে সঙ্গ দেন মিঠুনকে। ৯৫ রানে ব্যক্তিগত ৪০ রানে থামেন মিঠুন। তবে ভুল করেননি জাকির। তুলে নিয়েছেন চলতি আসরের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। পথে দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন হ্যারি টেক্টরের কাছ থেকে। দু’জনের ব্যাটেই চট্টগ্রামকে লড়াকু টার্গেট দিয়েছে সিলেট।

ব্যাট হাতে ৪৩ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৭০ রান করেন জাকির। অন্যপ্রান্তে তাকে সঙ্গ দেওয়া টেক্টর করেন ২০ বলে ২৬ রান। দু’জনের জুটিতে এসেছে ৮২ রান। তাদের দিনে বল হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি চট্টগ্রামের কোনো বোলার।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *