সারাদেশ

সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন

ডেস্ক রিপোর্ট: সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন

ছবি: বার্তা২৪.কম

টাঙ্গাইলের ধনবাড়িতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনির বাসভবনে ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে তারা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরোও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সুজন, দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ নূর আলম সরদারসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, “টাঙ্গাইলের ধনবাড়িতে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান রনির বাসভবনে ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। টাঙ্গাইলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট আহবান অবিলম্বে হামলাকারী সকল সন্ত্রাসী ও মদদদাতাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী হামলা সংঘটিত হচ্ছে যা কখনোই কাম্য নয়। শুধু নির্বাচন সম্পন্ন করে দায়িত্ব শেষ এরকম দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হওয়া উচিত নয়। নির্বাচন পূর্ববর্তী ও নির্বাচন পরবর্তী জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব।

নির্বাচন কমিশনের নিকট দাবি, অবিলম্বে নির্বাচন কেন্দ্রীক সকল হামলা ও সহিংসতার বিচার করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে এসব হামলার বিচার করতে হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে তারা কখনোই এধরণের সন্ত্রাসী হামলা করতে পারে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। দুঃসময়ের ছাত্রনেতা মেহেদী হাসান রনির ওপর হামলায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।”

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “দুর্দিনের ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান রনির বাসভবনে সাবেক কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের আত্নীয় স্বজনরা রাতের আধাঁরে হামলা চালিয়ে কাপুরুষোচিত আচরণের পরিচয় দিয়েছে। কিছুদিন আগে সরকারের বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য করে মন্ত্রীত্ব হারানো সাবেক কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থকরা মেহেদী হাসান রনির ওপর হামলা চালিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে আঘাত করেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই হামলার বিচার না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো। সমগ্র বাংলাদেশে নির্বাচন পরবর্তী যতোগুলো সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে প্রত্যেকটির বিচার করতে হবে। এসব সন্ত্রাসী ও মদদদাতাদেরকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।”

সংগঠনের সহ-সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সুজন বলেন, “নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমগ্র বাংলাদেশে অনেক বিজয়ী প্রার্থী প্রতিপক্ষের সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদের ধারা অব্যাহত থাকবে। সকল সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশব্যাপী সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ না হলে এসব হামলার মদদদাতা জনপ্রতিনিধিদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। মেহেদী হাসান রনির বাসভবনে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।”

ফেনী আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিতদের নিরঙ্কুশ জয়

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছেন। এ পরিষদ থেকে সভাপতি সম্পাদকসহ ১১ জন জয়লাভ করেছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ‘সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ৪টি পদে জয়ী হয়েছেন।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনে মোট ৩৩২ জন ভোটারের মধ্যে ৩২৫ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সন্ধ্যায় ভোট গণনা শুরু হয় এবং রাত ১২ টায় নির্বাচন কমিশনার সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল করিম মজুমদার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

ফলাফলে দেখা যায়, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ‘সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদ’ থেকে মো. আবদুছ ছাত্তার ১৭০ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন এবং একই পরিষদের মো. টিপু সোলায়মান ১৯৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রার্থী মো, আনোয়ারুল ইসলাম ফারুক ১৪৯ ভোট, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রসিক শেখর ভৌমিক ১২১ ভোট পেয়েছেন।

অন্যান্যদের মধ্যে সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদ থেকে সহ-সভাপতি পদে মো. ইসহাক ১৭২ ভোট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে এমদাদ হোসাইন ১৬২ ভোট, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ ভূঞা ১৬২ ভোট, অডিটর পদে মো. আরিফ ১৫১ ভোট এবং লাইব্রেরি সম্পাদক পদে মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খন্দকার ১৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ পরিষদ থেকে সদস্য পদে মো. মাঈন উদ্দিন রাজু ২০৬ ভোট, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন মিনু ১৯৮ ভোট, আনোয়ার হোসেন ফরহাদ ১৮৬ ভোট এবং মোহাম্মদ ইউসুফ ১৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

অনদিকে, সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে ৪ জন বিজয়ী হয়েছেন। এরমধ্যে সহ-সভাপতি পদে মো. শামছুল হুদা ১৭৯ ভোট, অর্থ সম্পাদক মো, আরশাদ আলী ভূঞা ১৮০ ভোট, সদস্য পদে কাজী মোজাহেরুল ইসলাম জাহিদ ১৭০ ভোট এবং ফারিহা জাহান ১৬৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

বিজয়ী ঘোষণার পর সভাপতি পদে বিজয়ী মো. আবদুছ ছাত্তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, এ জয়ে আমরা আনন্দিত। গতবছরও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা সমিতির নেতৃত্বে দিয়েছে। এবারের এ জয়ে সামনের পথচলায় সকলের সাথে আলোচনা করে সকল আইনজীবীদের স্বার্থে কাজ করে যাব।

সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী মো, টিপু সোলায়মান বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকে সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচন গণতন্ত্রের বিজয়। সমমনা আইনজীবী পরিষদের এ বিশাল জয় সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সারাদেশের ফলাফল কি হবে তা বুঝিয়ে দিল।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি-সম্পাদকসহ ১১টি পদে জয়লাভ করেছিল। আওয়ামী লীগ সমর্থিত ‘সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ৩টি কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হয়েছিল।

;

চট্টগ্রামবাসীর হাহাকার সরকারের কানে পৌঁছায় না: ডা. শাহাদাত

বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রামবাসীর গ্যাসের হাহাকার সরকারের কানে পৌঁছায় না বলে মন্তব্য করেছেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমান গণবিরোধী ডামি সরকার জনগণকে শক্র পক্ষ বলে মনে করে। জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না বলেই ভোটারবিহীন সরকার চট্টগ্রামবাসীর মৌলিক অধিকারকে উপেক্ষা করছে। সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনার কারণে এমনিতেই জনগণ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এর ওপর চট্টগ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাসের জন্য হাহাকার চলছে। গ্যাসের অভাবে শিল্প কারখানা, সিএনজিচালিত গাড়ি ও বাসাবাড়ির রান্নার চুলা জ্বলছে না। মানুষ না খেয়ে থাকছে। কিন্তু চট্টগ্রামবাসীর গ্যাসের হাহাকার সরকারের কানে পৌঁছায় না।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বর্তমানে বাজারে কোনো কিছু কেনার জো নেই। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। অথচ শহীদ জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে শিল্প বিপ্লব ঘটিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছিলেন। তিনি কৃষকের আইলে আইলে মাইলের পর মাইল হেঁটে কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। শহীদ জিয়া দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করেছিলেন আর বর্তমান সরকার তা ধ্বংস করেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই বলছেন, নির্বাচনের পর দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। আওয়ামী লীগের আমলে ৭৪ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। এখন ২৪ সালেও দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী সরকার ঐতিহ্যগতভাবে হিংসার চর্চা করে। এরা আইনের শাসনকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। যার কারণেই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে তারা দ্বিধা করে না। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাগবে এগিয়ে আসে না।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালিন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শম জামাল উদ্দিনসহ প্রমুখ।

;

বিরোধী দল আমরাই কিন্তু এখনো সিগন্যাল পাইনি: জিএম কাদের

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিরোধী দল আমরাই কিন্তু এখনো সিগন্যাল পাইনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত কিছুই জানতে পারিনি। তবে আশা করছি সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই স্পিকারের কাছ থেকে আমরা একটা মতামত পাবো হয়তো।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুর নগরীর সেনপাড়ার স্কাই ভিউ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বিরোধী দলে থাকা প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, আমরা গত সংসদে প্রধান বিরোধী দল ছিলাম। দেশ ও জাতির কল্যাণে সব সময় আমরা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছি। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা এবং আমাদের সুপারিশসহ অনিয়ম-দুর্নীতি ও জনগণের পক্ষে যেসব দাবি উত্থাপন করার কথা সেগুলো আমরা তুলে ধরেছি। এখনো আমরা সেই রাজনীতি করছি।

তিনি বলেন, সরকার যদি জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল হিসেবে অবস্থান নাও দেয় তারপরও দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের বিরুদ্ধে একমাত্র দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব থাকবে সরকারের সমালোচনা করা। জনগণের চোখে সরকারের যেসব ভুল-ত্রুটি ধরা পড়ছে সেগুলোকে সংসদে তুলে ধরা এবং সেগুলো সম্পর্কে সুপারিশ দিয়ে সরকারকে সহায়তা করে সঠিক পথে চালনা করা। 

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সংসদে প্রধান দুটি দলের মধ্যে একটি আওয়ামী লীগ। নৌকা মার্কা নিয়ে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দল হিসেবে সরকার গঠন করেছে। তারপরই লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির আমরা ১১ জন সংসদ সদস্য আলাদা আরেকটি রাজনৈতিক দল। আর যারা রয়েছেন তারা আওয়ামী লীগের সহমতের আওতার ভেতরে। সেই কারণে আমরা মনে করি সরকারের বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

জিএম কাদের বলেন, বিরোধী দলের নেতা বা অন্যকিছু পদ-পদবি নির্ধারণ করা স্পিকারের আওতাধীন। যদিও আমরা জানি সার্বিকভাবে এটা (বিরোধী দল) জাতীয় পার্টির পাওয়ার কথা।  আমরা যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেটা জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল থেকে আমাকে বিরোধী দলীয় নেতা, আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা এবং চিফ হুইপ হিসেবে মজিবুল হক চুন্নুর নাম আমরা প্রস্তাব করে একটা রেজুলেশন নিয়েছি। সেটা আমরা মাননীয় স্পিকারের কাছে পত্র মারফত পেশ করেছি।

নির্বাচনের পর ঢাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। অনেককে বহিষ্কার করা হয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে দল ভাঙছে আবার নতুন দলও হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির অবস্থান প্রসঙ্গে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্রের শিকার। সরকার থেকে সরে আসার পর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে। এক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় কাজ করেছে। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একটা ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। সেটাকে বিভিন্নভাবে নষ্ট করার জন্য তার প্রতিপক্ষরা চেষ্টা করেছিল। অনেক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার হয়েছে, সেগুলো পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তবে এখন ভাঙনের যে কথা বলা হচ্ছে, সেই সম্ভাবনা দেখছি না।

এসময় তিনি জানান, বিরোধী দল হওয়ার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কোনো সিগন্যাল পাননি। তবে সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই স্পিকারের কাছ থেকে একটা মতামত পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

;

আ.লীগ জঙ্গি সন্ত্রাসী দল হিসেবে কাজ করছে: সেলিমা রহমান

ছবি: বার্তা২৪

আওয়ামী লীগ নিজেরাই জঙ্গি ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

শনিবার (২০ জানুয়ারি, ২০২৪) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) উদ্যোগে আয়োজিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের রাজনীতি ও জিয়াউর রহমানের দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সেলিমা রহমান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে চিন্তা করতেই গেলে যার নাম আসে, সেটি হলো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। জনগণকে আশা দেখিয়ে যুদ্ধের যাওয়ার আহ্বান করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তার ডাকে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে একটি মিরাকল দিয়ে জিয়াউর রহমান একটি দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় পৌঁছে নিয়ে যান। তিনি যে সবুজ বিপ্লব করেছিলেন, সে দর্শন আজ পর্যন্ত কোনো সরকার করতে পারেনি।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে কাজ করেছিলেন, সেই হলো জাতিসত্তার পরিচয়, জাতীয়তাবাদ বলে জানান বিএনপির এই নেত্রী।

তিনি বলেন, জিয়া রহমানকে নিয়ে অনেক মিথ্যা কথা বলেছে সরকার। কিন্তু সরকার কী পেরেছে, কারো মনে দাগ বসাতে! তারা কারো মনে দাগ বসাতে পারেনি।

সরকারকে উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে সেলিমা রহমান বলেন, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল করা হয়েছে কার টাকায়? জনগণের টাকায় করেছে। জনগণের টাকা থেকে লুট করে পাচার করেছে।
পেশাজীবী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের হয়ে কাজ করেন। তাদেরকে সম্পৃক্ত করুন। আন্দোলন চলবে।

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএসপিপি’র সভাপতি ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএসপিপি’র সাবেক আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি (বিএনপিপন্থি) রুহুল আমীন গাজী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতা ড. শামসুল আলম, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন, কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম হারুন, জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল কুদ্দুস, প্রমুখ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *