সারাদেশ

দুর্নীতি মামলায় ছেলেসহ বাবুল চিশতির ১২, স্ত্রীর ৫ বছরের কারাদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট: দুর্নীতি মামলায় ছেলেসহ বাবুল চিশতির ১২, স্ত্রীর ৫ বছরের কারাদণ্ড

দুর্নীতি মামলায় ছেলেসহ বাবুল চিশতির ১২, স্ত্রীর ৫ বছরের কারাদণ্ড

দুর্নীতির মাধ্যমে ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী ও তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতীকে ১২ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

একই মামলায় মাহবুবুল হক চিশতীর স্ত্রী রোজী চিশতি ও ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খানকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি বেলাল হোসেন এসব তথ্য জানান।

বাবুল চিশতি, তার স্ত্রী ও ছেলেকে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার দ্বিগুন ৩১৯ কোটি ৯০ লাখ ৯৯ হাজার ২৪০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে বাবুল চিশতি ও রাশেদুল চিশতিকে দুই বছর ও রোজি চিশতিকে এক বছরের সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

রায়ে তাদের সকল সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মাসুদুর রহমান খানকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তারও সকল সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার আগে বাবুল চিশতীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রাশেদুল হক জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। তবে রোজি চিশতি ও মাসুদুর রহমান এদিন আদালতে হাজির হননি। আদালত জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলাটির বিচার চলাকালীন আদালত ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায়ের বিবরণ থেকে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে বেশিরভাগ অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন। হিসাবগুলোতে গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিং এর মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং নিজেদের নামে ক্রয়কৃত ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিল্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।

২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর বাবুল চিশতীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

নাইকো মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন কানাডিয়ান পুলিশ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের লয়েড শোয়েপ ।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেওয়া শুরু করেন। অপর সাক্ষী কেবিন দুগ্গান আদালতে উপস্থিত রয়েছেন।

গত ১৯ অক্টোবর সাক্ষ্য দিতে তাদের সমন পাঠানো হয়।

গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠন করেন আদালত।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম । এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান তিন জন মারা গেছেন। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরের বছরের ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

;

হরতালে পেছাল ডা. নিতাই হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

হরতালে কারাগার থেকে আদালতে আসামি না আনতে পারায় রাজধানীর বনানীতে চিকিৎসক নেতা নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নিতাই হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি পেছানো হয়েছে।

রোববার (১২৯ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলাটি বাকি যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু হরতালে কারাগার থেকে আদালতে আসামি হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি পেছানোর আবেদন করা হয়।

আদালত যুক্তিতর্ক শুনানের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৬ নভেম্বর পরবর্তী যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, ডা. নিতাইয়ের গাড়িচালক কামরুল হাসান অরুণ, মাসুম মিন্টু ওরফে মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, মাসুম ওরফে প্যাদা মাসুম, রফিকুল ইসলাম, সাঈদ ব্যাপারী, বকুল মিয়া, মো. সাইদ মিজি, মো. আবুল কালাম ওরফে পিচ্চি কালাম, সাইদুল ও ফয়সাল। এরা সবাই কারাগারে রয়েছেন।

২০১২ সালের ২৩ আগস্ট মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে নিজের বাড়িতে খুন হন ডা. নিতাই। এ ঘটনায় ডা. নিতাইয়ের বাবা তড়িৎ কান্তি দত্ত ওই দিনই বনানী থানায় মামলা করেন।

২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ১০ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গাজী আতাউর রহমান।

চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, চুরি করতে গিয়ে তারা ডা. নিতাই চন্দ্রকে হত্যা করেন। মিন্টু, রফিকুল, পিচ্চি কালাম, সাইদুল, প্যাদা মাসুদ, ফয়সাল এই মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ওই বছরের ২২ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এছাড়াও পাঁচজন আসামি নিজেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন।

;

‘তর্কাতর্কির একপর্যায়ে গুলি করা হয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে’

ছবি: সংগৃহীত

২৫ বছর আগে খুন হওয়া নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় তার বন্ধু কুমিল্লা-৮ আসনের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চোধুরী, ব্যবসায়ী আহমেদ সাঈদ এবং ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক প্রফেসর ডা. মো. বেলায়েত হোসেন খান সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এম আলী আহমেদের আদালতে হাজির হয়ে তারা সাক্ষ্য প্রদান করেন। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে মামলাটিতে ৯ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

জবানবন্দিতে সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী বলেন, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাত ১টা থেকে দুইটার মধ্যে কোনো এক সময়ে বনানীর আবেদীন টাওয়ারের ট্রামস ক্লাবে এ ঘটনা ঘটেছে শুনেছি।

তিনি বলেন, সোহেল চৌধুরী ক্লাবে যাওয়ার পর গেইটে প্রবেশ করা নিয়ে ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ড বা তাদের ম্যানেজমেন্টের লোকদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, ভোর অনুমান ৫টা, সাড়ে ৫টার দিকে আমার স্ত্রী জানায় সোহেল চৌধুরী মারা গেছে। এরপর সোহেল চৌধুরীর বাসায় যায় লাশ দেখতে। পরদিন আদনান নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। আর অন্য কোনো আসামির নাম জানতে পারিনি।

ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই বছরই এক আসামি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল৷ ২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। তারও সাত বছর পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত।

;

স্ত্রী হত্যা: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, শ্বশুর-শ্বাশুড়ির ৭ বছরের কারাদণ্ড

স্ত্রী হত্যা: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, শ্বশুর-শ্বাশুড়ির ৭ বছরের কারাদণ্ড

ঢাকা জেলার দোহারে শিখা আক্তার হত্যা মামলায় স্বামী রুহুল আমিনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। লাশ গুমে সহায়তা করায় রুহুল আমিনের বাবা মনোয়ার হোসেন, মা আছমা বেগম ও ভাই মারুফ খানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডের অতিরিক্ত তাদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত প্রথম দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর দীপক কুমার দেব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রায়ের বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৬ মে রুহুল আমিনের সাথে ভিকটিম শিখার বিবাহ হয়। ৩ আগস্ট বিভিন্ন মালামাল দিয়ে তাকে শশুর বাড়িতে পাঠানো হয়। মালামাল দেখে পছন্দ হয় না শিখার শশুর বাড়ির লোকজনের। তারা শিখার বাবা-মার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।

৬ আগস্ট সকালে শিখার বাবা নাস্তা নিয়ে মেয়ের শশুরবাড়ি যান। তখন শিখার শাশুড়ি আছমা বেগম তাকে জানান শিখাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রুহুল তার শশুরকে জানায়, রাতে শিখার সাথে ঝগড়া হয়েছে। এতে তাদের সন্দেহ হয় যে, শশুড় বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে। পরে রুহুল আমিনের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ওইদিন বেলা পৌনে ৪ টার দিকে শিখার লাশ পায় পরিবার। এসময় শিখার গলায় ওড়না কাপড় দিয়ে সিলভারের কলসীর সাথে বাঁধা ছিল।

ওই ঘটনায় শিখার মা রুনু আক্তার ৬ আগস্ট দোহার থানায় মামলা করেন।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দোহার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসিন মুন্সী। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *