আন্তর্জাতিক

৭ অক্টোবরের হামলা ছিল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ : হামাস

ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গোষ্ঠী রবিবার (২১ জানুয়ারি) বলেছে, গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে তাদের হামলা ছিল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

কিন্তু গোষ্ঠীটি হামলার বিষয়ে ১৬ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে স্বীকার করেছে যে, ‘ইসরায়েলি নিরাপত্তা, সামরিক ব্যবস্থার দ্রুত পতন এবং গাজার সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার কারণে হামলায় কিছু ত্রুটি ঘটেছে।’

গাজার সামরিকীকৃত সীমান্ত ভেঙ্গে হামলার ন্যায্যতা দিয়ে এটিই হলো ইংরেজি এবং আরবি ভাষায় প্রকাশিত হামাসের প্রথম পাবলিক প্রতিবেদন।

ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যানভিত্তিক এএফপির তথ্য অনুযায়ী, হামাসের হামলার ফলে প্রায় ১,১৪০ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

হামাস বলেছে, ‘আক্রমণটি ছিল ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সমস্ত ইসরায়েলি ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করার জন্য একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।’

হামলার সময় প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে হামাস। ইসরায়েলের পরিসংখ্যান ভিত্তিক এএফপির সমীক্ষা অনুসারে, গাজায় এখনো প্রায় ১৩২ জন জিম্মি রয়ে গেছে, যাদের মধ্যে অন্তত ২৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণ এবং স্থল আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ২৫,১০৫ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু।

অন্যদিকে, গাজার উপর ইসরায়েলি আগ্রাসন অবিলম্বে বন্ধ করার, সমগ্র গাজার জনসংখ্যার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ এবং জাতিগত নির্মূলের আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

গোষ্ঠীটি গাজার যুদ্ধোত্তর ভবিষ্যত নির্ধারণের জন্য আন্তর্জাতিক ও ইসরায়েলের যেকোনও প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছে।

হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা জোর দিচ্ছি যে, ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো সাজানোর ক্ষমতা রয়েছে। বিশ্বের কোনও পক্ষের তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *