পারিবারিক বৈঠক করেও ঠেকানো গেল না বিচ্ছেদ
ডেস্ক রিপোর্ট: সম্পর্কটা একটু একটু করে শেষ হয়ে গিয়েছিল বেশ আগেই। তারপরও ভালোবাসার মানুষটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন সানিয়া। কিন্তু তাতেও লাভ হলো না। প্রায় ১৪ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে তার জীবন থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিক।
ভারতের টেনিস তারকা খেলোয়াড় সানিয়া মির্জার সঙ্গে শোয়েবের বিচ্ছেদ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল গুঞ্জন। সে গুঞ্জনকে আনুষ্ঠানিক রুপ দিলেন শোয়েব নিজেই, গত ২০ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের নতুন বউয়ের সঙ্গে বিয়ের সাজে ছবি আপ্লোড দেন তিনি। আর তাতেই তোলপাড় শুরু হয় মিডিয়া জগতে।
পাকিস্তানের সামা টিভির লাহোর ব্যুরো চিফ নাঈম হানিফের থেকে জানা গেছে, গত প্রায় তিন বছর ধরেই পাকিস্তানের মডেল ও অভিনেত্রী সারা জাভেদের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্কে যুক্ত ছিলেন শোয়েব। সেসময় দুজনেই বিবাহিত ছিলেন। গত তিন-চার মাস আগে এই বিষয়ে জানতে পারেন সানিয়া মির্জা। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদও হয়েছিল বলে জানান এই সাংবাদিক।
সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ হোক এটা শোয়েবের পরিবারও চায় নি। বরং শোয়েবের পরিবারের অভিব্যক্তি থেকে এটা স্পষ্টত যে, শোয়েবের এই তৃতীয় বিয়ে নিয়ে তার পরিবারও অখুশি। সানিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করে নিতে পারিবারিকভাবে সাক্ষাৎ ও বৈঠকের ব্যবস্থাও করেছিল তারা, কিন্তু শোয়েব চান নি সানিয়ার সঙ্গে আর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে। তাই ২০২২ সালে সেই বৈঠকের পরই ভিন্ন পথে জীবন এগিয়ে নিতে থাকেন শোয়েব-সানিয়া।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ‘দ্য পাকিস্তান ডেইলি’ জানিয়েছে, সানা জাভেদের সঙ্গে শোয়েবের বিয়েতে শোয়েবের পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তারা আরও জানায়, ‘টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া নিয়ে শোয়েবের বোনেরাও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শোয়েবের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সানিয়া হাঁপিয়ে উঠেছিলেন।’
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।