আখাউড়া থেকে আগরতলা গেল বাংলাদেশের ট্রেন
ডেস্ক রিপোর্ট: নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দুই দিনে ৩৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার এজাহারে বিএনপির ১ হাজার ৫৪৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন।
এদিকে, রোববার গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫৬ জনকে। অর্থাৎ সমাবেশ ও হরতালের দুই দিনে গ্রেফতার হয়েছেন ১ হাজার ৭৭২ জন।
ডিএমপির মিডিয়া বিভাগ থেকে পাঠানো মামলা ও গ্রেফতারের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৯ অক্টোবর নতুন করে আরও ৮টি মামলা যুক্ত হয়েছে। মোট মামলার সংখ্যা ৩৬টি। নতুন করে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫৬ জন। ডিএমপির কোন কোন থানায় মামলাগুলো হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে উত্তরা বিভাগ ৯, গুলশান বিভাগ ১৯, মিরপুর বিভাগে ৭৩, তেজগাঁও বিভাগ ১৪, ওয়ারি বিভাগ ২২, মতিঝিল বিভাগ ৯৫, লালবাগ বিভাগ ১১ ও রমনা বিভাগ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এর আগে, ২৮ অক্টোবরের হিসেবে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মহাসমাবেশের নামে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় ডিএমপির ৮টি বিভাগে ২৮টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মতিঝিল বিভাগের পল্টন থানায় ১১ মামলা। সবচেয়ে কম উত্তরা ও রমান বিভাগে একটি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়াও গুলশান বিভাগে ভাটারা থানায় ২টি, বাড্ডা থানায় ১, মিরপুর বিভাগের প্রতিটি থানায় একটি করে সাত থানায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাতটি মামলা হয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের হাতিরঝিল থানায় ২টি এবং ওয়ারি বিভাগে ডেমরা, ওয়ারি ও যাত্রাবাড়ী থানায় একটি করে মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসব মামলায় সমাবেশেসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার ৬৯৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।এছাড়াও গত ২১ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোরবর পর্যন্ত ৮ দিনে ১৪৮০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
ডিএমপির পাঠানো গ্রেফতারের তালিকা অনুযায়ী পুলিশের ৮টি বিভাগের বিভিন্ন থানা ২১ অক্টোবর গ্রেফতার করেছে ৩১ জন, ২২ অক্টোবর গ্রেফতার ৪২, ২৩ অক্টোবর ৪২, ২৪ অক্টোবর ৮৫, ২৫ অক্টোবর ১১১, ২৬ অক্টোবর ২০২ ও ২৭ অক্টোবর ৩৪০জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন সর্বোচ্চ ৬৯৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যদিও সমাবেশের আগে গ্রেফতারের অভিযোগের বিষয়ে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, সমাবেশ উপলক্ষে কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, তদন্তে পাওয়া আসামি, নাশকতা ঘটাতে পারে এমন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে মহাসমাবেশ চলাকালে রাজধানীর রমনা থানার মিন্টো রোড এলাকার হেয়ার রোডে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৮। সেই মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এর আগে রোববার সকালে রাজধানীর গুলশান থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি)’র একটি দল। দিনভর আটক রাখার পরে রাতে তাকে রমনা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। এই মামলায় তাকে ইতিমধ্যে আদালতে তোলা হয়েছে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।