সারাদেশ

বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা কারাগারে

ডেস্ক রিপোর্ট: বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা কারাগারে

ছবি: সংগৃহীত

মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গের অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা জাহিদুল ইসলাম আরফীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত এই আদেশ দেন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুজানুর ইসলাম আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে একটি প্রতিনিধিদল বিএনপি কার্যালয়ে যাচ্ছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয়ে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মিয়ান আরফি নামের ওই ব্যক্তি। এক পর্যায়ে তাকে নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। তবে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানায়, মিয়ান আরফি মার্কিন সরকারের কেউ না।

জানা গেছে, মিয়ান আরফির পুরো নাম জাহিদুল ইসলাম আরফী। তার ডাক নাম বেল্লাল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে থাকেন। তিনি একজন বাংলাদেশি আমেরিকান। জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায়।

রংপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

রংপুর আদালত

রংপুরের পীরগাছায় চাঞ্চল্যকর ফেরেস মিয়া হত্যা মামলায় ৪ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ শহিদুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামিরা। পরে পুলিশি পাহারায় তাদেরকে আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাহিন মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, সাজেদুল ইসলাম ও কাল্টু মিয়া। তাদের সকলের বাড়ি কান্দি ইউনিয়নে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার কান্দি কাবিলপাড়া গ্রামের আমির মিয়ার ছেলে ফেরেস মিয়া মাংস বিক্রেতা ছিলেন। ২০১৯ সালের ৭ ফ্রেরুয়ারি দুপুরে চৌধুরানী হাটে ছাগল বিক্রি করে বাড়িতে ফিরেন ফেরেস মিয়া। এরপর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেড়িয়ে স্থানীয় কান্দি বাজারে জনৈক কাশিনাথের চায়ের দোকানে নাস্তা আর চা পান করেন। এরপর সে আর বাসায় ফিরে আসেনি। দু’দিন ধরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান পায়নি স্বজনরা।

এ ঘটনায় ৯ ফেরুয়ারি পীরগাছা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা আমির মিয়া। এর দুদিন পর ১১ ফেব্রুয়ারি স্বজনরা জানতে পারেন কাবিলপাড়া গুচ্ছ গ্রামে বালুর স্তুপের মধ্যে একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। স্বজনরা সেখানে গিয়ে ফেরেস মিয়ার মরদেহ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পীরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহত ফেরেস মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহত ফরেস মিয়ার বাবা আমির মিয়া বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে প্রথমে একই গ্রামের শাহিন মিয়া ও জাহিদুল ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা দুজনই ফেরেস মিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করে আরও দুই সঙ্গী সাজেদুল ও কাল্টু মিয়ার নাম জানায়। পুলিশ শাহিন মিয়া ও জাহিদুল ইসলামকে আদালতে হাজির করলে তারা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) আজিম উদ্দিন ৪ আসামি শাহিন মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, সাজেদুল ইসলাম ও কাল্টু মিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি ৪ জনকে দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং লাশ গুম করার অপরাধে ২০১ ধারায় আরো ৫ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন। উভয় দণ্ডই এক সঙ্গে কার্যকর হবে এবং তারা যতদিন ধরে কারাগারে আটক আছে সে সময়টা সাজা থেকে বাদ যাবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।

সরকার কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক জানান, এ রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা ন্যায় বিচার পাওয়ায় খুশি। এদিকে রায় ঘোষণার সময় আসামিপক্ষের কোন আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

;

নাশকতার মামলায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড, খালাস ২৬

ছবি: সংগৃহীত

দশ বছর আগের নাশকতার মামলায় বাড্ডা থানা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর মোল্লাসহ ১১ জনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত সব আসামিই পলাতক রয়েছেন।

অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ২৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও করা হয়েছে, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।

দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন, মান্নান মোল্লা, কামরুজ্জামান স্বপন, শায়রুল, সাইফুল ইসলাম, দীপক কুমার দাস ওরফে টাইগার মেম্বার, শাকিল আহমেদ, আব্দুর রহিম ওরফে টিটু, বাবুল ওরফে বাবুল জামাই, রেফাতুল আলম ও জসিম ঢালী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর সকাল সোয়ার ৭ টার দিকে বিএনপিসহ ১৮ দলের ডাকা ৪৮ ঘন্টার হরতালে মধ্য বাড্ডা প্রগতি সরনাস্থ আলাতুন্নেছা গলির মুখে আসামিরা যানবাহনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং একটি বাসে আগুন দেন। এ ঘটনায় ওইদিনই বাড্ডা থানার সাব-ইন্সপেক্টর রহমত আলী মামলাটি দায়ের করেন।

২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল মামলাটি তদন্ত করে একই থানার সাব-ইন্সপেক্টর ওবায়দুল ইসলাম ৩৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

;

বিএনপি নেতা রবিউলসহ ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ৫৭

ছবি: সংগৃহীত

বেআইনী সমাবেশ ও অবৈধভাবে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী রবিউল আলম ওরফে রবিসহ ১০ জনকে আড়াই বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ৫৭ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন, শাহ আলম সৈকত, জহিরুল হক, মোজাম্মেল হক বাবু, জাকির হোসেন, শাহীন ওরফে চাবি শাহিন, নোমান, কামরুজ্জামান চৌধুরী ওরফে মাসুদ, এলিন ও শহিদুল হক।

অবৈধ বাধা সৃষ্টির অভিযোগে তাদের দুই বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বেআইনী সমাবেশের অভিযোগে তাদের ৬ মাসের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে তাদের সর্বোচ্চ সাজা দুই বছরের কারাভোগ করতে হবে।

অভিযোগ করা হয়, ২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বিএনপির ডাকা ৬০ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে আসামিরা ২৬ অক্টোবর দুপুর দেড়টার দিকে কলাবাগান থানাধীন কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের দোকানের সামনে ৫/৬ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় কলাবাগান থানার সাব-ইন্সপেক্টর এ এফ এম মনিরুজ্জামান মন্ডল মামলাটি দায়ের করেন।

;

হলি আর্টিজান মামলায় সাত জঙ্গির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা মামলায় নব্য জেএমবির সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন, আসলাম হোসেন র‌্যাশ, মো. হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মো. আব্দুল সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামুনুর রশীদ রিপন।

মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের ওপর ১১ অক্টোবর শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী আজ রায় দেওয়া হলো।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ হামলায় বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করে। রায়ে সাত জঙ্গিকে ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত।

এরপর ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর মামলার রায়ের কপি উচ্চ আদালতে পাঠায় বিচারিক আদালত।

হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল শুনানির জন্য নিয়ম অনুযায়ী পেপারবুক তৈরি করতে হয়। পেপারবুক তৈরি হলে প্রধান বিচারপতি মামলার শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ দিলে সেখানে মামলার শুনানি হয়।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *