সারাদেশ

বিকালে ঢাকায় শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ করবে আ.লীগ

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগ হচ্ছে এদেশের সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য। তাই আওয়ামী লীগকে বয়কট করুন, বর্জন করুন এবং রাজপথে নামুন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। 

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুব অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত দ্রব্য-মূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘যারা এত কষ্ট করে রাষ্ট্রকে পাহারা দিচ্ছে তাদেরকে রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে কিছুই করেনি। এর কারণ হলো তারা (সরকার) ভারতের গোলাম, তারা ভারতের দাস। একটা ব্যর্থ কার্যকর রাষ্ট্রে বাংলাদেশকে পরিণত করা হচ্ছে। একটা জাতিকে নৈতিকভাবে ধ্বংস করে, তাদের চারিত্রিক অধঃপতন ঘটিয়ে দেশকে ধ্বংস করা হচ্ছে।’ 

নুর আরও বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেন সাইদী সাহেব একবার ওয়াজের মাঠে বলেছিলেন বাংলাদেশের উত্তর গগনে কালো মেঘ ছেয়ে যাচ্ছে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে না পারি তাহলে সুবেহ সাদিক হবে না। আজকে তা-ই হচ্ছে। কাজেই আজকে দল মত নির্বিশেষে ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে হবে। আর এদেশে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তাই আওয়ামী লীগকে বয়কট করুন, বর্জন করুন এবং রাজপথে নামুন।’ 

তিনি বলেন, ‘এখন বর্তমানে দুইটা সংসদ চলছে। আন্দোলন আমরা বন্ধ করি নাই। গণতন্ত্র অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। যেদিন প্রথম ভুয়া, ডামি পার্লামেন্ট বসবে সেদিন গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে আমরা সংসদ ঘেরাও কর্মসূচি দিব। তাই আমরা এখন সারা বাংলাদেশ থেকে ঢাকায় এসে অবস্থান নেয়ার আহ্ববান জানাচ্ছি। সংসদ ডাকার সাথে সাথে সংসদ ঘেরাও যেন আমরা করতে পারি। ২৮ জুলাই, ১০ ডিসেম্বর, ২৮ অক্টোবরের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা আগামীতে সফলতা আনবোই। ব্যর্থতাই সফলতার সোপান। সুতরাং ঐ ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা নিয়েই বিএনপি জামায়াত বামপন্থী ডানপন্থী সকল বাংলাদেশপন্থীদের উক্ত কর্মসূচিতে এখন থেকে অংশগ্রহণ করার আহ্ববান জানাচ্ছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র দ্রব্যমূল্য না সমস্ত জায়গায় মানুষ একটা সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। সিন্ডিকেটের মূল হোতা হচ্ছে এই সরকার। কাজেই এই সরকারকে হটাতে না পারলে সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না। এই সরকারের শক্তির মূল হচ্ছে মোদির হিন্দুত্ববাদী ভারত। তাই আজকে আমরা বলছি যে বাংলাদেশের মার্কেট থেকে ভারত খেদাও, প্রশাসন থেকে ভারত খেদাও, সাংবাদিক কমিউনিটি থেকে ভারত খেদাও। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ভারতীয়দের খেদাও ভারতীয়দের আধিপত্য ঠেকাও। আমরা আজকে পরিস্কারভাবে বলতে চাই যারা (ভারতীয়রা) এই দেশে ব্যবসা করছেন তারা ব্যবসা গুটিয়ে নেন। আর কোন দোকানে ভারতীয় পণ্য রাখবেন না।’ 

নুরুল হক নুর বলেন, ‘আজকে ভারতীয় তাবেদাররা আমাদের দেশের শিক্ষকদের চরিত্র নষ্ট করেছে, শিক্ষাকেও নষ্ট করেছে। পাঠ্যবইগুলোতে শরীফ থেকে শরীফার মতো এরকম অসংখ্য ঘটনা আছে। এখন ধর্মীয় পাঠ্যবইগুলো থেকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.) এর জীবনী উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। এগুলো এখন পাঠ্য-পুস্তকে নাই। এখন বিজেপি লাইনের সিলেবাস আমাদের দেশের পাঠ্য-পুস্তকে ঢুকানো হচ্ছে।’ 

নুর আরও বলেন, ‘ইসরাইলের নেতানিহাহু যেমন উন্মাদ তেমনিভাবে ভারতের মোদি হচ্ছে আরেক উন্মাদ। ইসরায়েল যেমনিভাবে ফিলিস্তিনের নাম মুছে দিয়ে ইসরায়েলকে একটা ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা করতে চায় তেমনিভাবে ভারতের মোদি, আরএসএস, বিজেপি তারাও ভারতকে পৃথিবীর বুকে একটা হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই কারণে মোদি সরকার ৫০০ বছর আগের মুসলমানদের বাবরি মসজিদ ভেঙে সেখানে রাম মন্দির করেছে।’ 

এ সময় যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোরশেদ মামুনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *