সারাদেশ

ভারতীয়সহ এক বাংলাদেশি বহনকারী জাহাজে হুথিদের হামলা

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতীয়সহ এক বাংলাদেশি বহনকারী জাহাজে হুথিদের হামলা

ছবি: বিবিসি

এডেন উপসাগরে যুক্তরাজ্যের সাথে যুক্ত একটি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথি। ২২ ভারতীয়সহ জাহাজে একজন বাংলাদেশিও ছিলেন। হামলায় জাহাজে কয়েক ঘণ্টা ধরে আগুনে জ্বলছিল।

শনিবার( ২৪ জানুয়ারি) ভারতীয় নৌবাহিনীর বরাতে সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

মার্লিন লুয়ান্ডা নামের বিশালাকৃতির জাহাজটি এডেন উপসাগরে পৌঁছানোর পরপরই আক্রান্ত হয়। জাহাজটি লক্ষ্য করে জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় হুথি বিদ্রোহীরা।

বিবিসি জানায়, ইয়েমেনে অবস্থিত ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী বলেছে, “আমেরিকান-ব্রিটিশ আগ্রাসনের” প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার মার্লিন লুয়ান্ডাকে লক্ষ্য করে আক্রমন করেছে। পরে ফরাসী, ভারতীয় এবং মার্কিন নৌবাহিনী জাহাজটিকে সহায়তা প্রদান করে।

লোহিত সাগর অঞ্চলে জাহাজে হামলার জবাবে হুথিদের লক্ষ্য বিমান করে হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব গ্রান্ট শ্যাপস এই হামলাকে ‘অসহনীয় ও অবৈধ’ বলে অভিহিত করেছেন।

এক্স-এর এক পোস্টে বলেন, লোহিত সাগরে নৌচলাচলের স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য এবং আমরা সেই কারণে বরাবরের মতোই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকি। মার্লিন লুয়ান্ডার অপারেটরটি যুক্তরাজ্যের একটি নিবন্ধিত কোম্পানি ওসিওনিক্স সার্ভিসেস লিমিটেড হিসাবে নিবন্ধিত।

ট্যাঙ্কারটি মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের পতাকার নিচে উড়ে এবং ট্রাফিগুরা – একটি বহুজাতিক ট্রেডিং কোম্পানির পক্ষে পরিচালিত হয়।

শনিবার একটি আপডেটে, ট্রাফিগুরা বলেছে যে সমস্ত ক্রু নিরাপদ এবং একটি কার্গো ট্যাঙ্কের আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। জাহাজটি এখন একটি নিরাপদ পোতাশ্রয়ের দিকে যাত্রা করছিল, সংস্থাটি জানিয়েছে।

এটি লোহিত সাগরে এবং এর আশেপাশে হুথিদের বাণিজ্যিক জাহাজের উপর সর্বশেষ হামলা। গোষ্ঠীটি বলেছে যে তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এই অঞ্চলে জাহাজগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করছে, যেখানে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

একটি বিবৃতিতে, একজন হুথি মুখপাত্র দাবি করেছেন যে মার্লিন লুয়ান্ডা একটি ব্রিটিশ জাহাজ এবং “আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আমেরিকান-ব্রিটিশ আগ্রাসনের” প্রতিক্রিয়া হিসাবে এটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

নভেম্বর থেকে, হুথিরা বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম শিপিং লেন, লোহিত সাগর দিয়ে ভ্রমণকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে দফায় দফায় হামলা শুরু করেছে।

ফিলিপাইনে কট্টর ইসলামপন্থী ৯ জঙ্গি নিহত

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে দেশটির সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে কট্টর ইসলামপন্থী ৯ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন সন্দেহভাজন রয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

দেশটির সামরিক বাহিনী শনিবার (২৭ জানুয়ারি) জানিয়েছে, এই জঙ্গি গোষ্ঠী ক্যাথলিক অনুসারীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছিল।

ফিলিপাইনের সামরিক ইউনিটের কমান্ডার জানান, গত বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় পিয়াগাপো পৌরসভার কাছের একটি পাহাড়ি খামারে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি গোষ্ঠী ‘দাওলাহ ইসলামিয়া’র প্রায় ১৫ সন্দেহভাজনের সঙ্গে সেনাদের বন্দুকযুদ্ধ হয়।

সেনাবাহিনীর ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল ইয়েগর রে ব্যারোকুইলো এএফপিকে বলেন, সেখানে সংঘটিত যুদ্ধে বন্দুকধারীদের মধ্যে ৯ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, গত মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় মারাউই শহরের একটি স্কুলে ক্যাথলিক জনতার ওপর বোমা হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন ৬ জনের মধ্যে ৩ জনই বৃহস্পতিবারের বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে।

গত ৪ ডিসেম্বর মারাউই’র মিন্দানাও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বোমা বিস্ফোরণের কথা উল্লেখ করে ব্যারোকুইলো বলেন, এই ৯ জনের মধ্যে ৩ জন এমএসইউ-এর বোমা হামলায় সরাসরি অংশ নিয়েছিল।

ইউনিভার্সিটি চত্বরে চালানো ওই বোমা হামলায় ৪ জন নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়েছিল।

ব্যারোকুইলো বলেন, এখনও অভিযুক্ত প্রধান পরিকল্পনাকারীসহ আরও তিনজন বোমা হামলাকারী পলাতক রয়েছে। এসব হামলার প্রধান হোতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ছাত্র। সে আবার ইঞ্জিনিয়ার নামেও পরিচিত।’

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় বিভিন্ন বাস, ক্যাথলিক চার্চ এবং সরকারি মার্কেট লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়ে থাকে। দেশটিতে বিগত কয়েক দশক ধরেই এ ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

;

মার্কিন নাগরিকদের বাহামা ভ্রমণে সতর্ক করলো যুক্তরাষ্ট্র

ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকদের বাহামা দ্বীপপুঞ্জে ভ্রমণের সতর্কতা জারি করেছে সেখানকার মার্কিন দূতাবাস। ওই সতর্ক বার্তায় চলতি শীতে দ্বীপ দেশটিতে ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, বাহামাতে সহিংসতার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং চলতি মাসে সেখানে ১৮টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য মূলত গ্যাং-সম্পর্কিত কার্যকলাপই জন্য দায়ী।

তাই পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন।

মার্কিন কর্মকর্তারা পরিস্থিতির তীব্রতার উপর জোর দিয়েই ওই সতর্কতা জারি করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বাহামার নাসাউতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। কারণ, ২০২৪ সালের শুরু থেকে নাসাউতে এ পর্যন্ত ১৮টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এসব খুনের ঘটনা রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত হয়েছে। ওইসব খুনের নেপথ্যে রয়েছে প্রতিশোধমূলক গ্যাং সহিংসতা।’

সতর্ক বার্তায় বর্তমানে বাহামায় অবস্থান করা মার্কিনীদের রাতে হাঁটা বা গাড়ি চালানোর সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ভ্রমণকারীদের ওই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া হিসাবে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা এবং আপডেট করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুসারে, সংকট মোকাবিলায় রাস্তা অবরোধ এবং গোপন পুলিশি পদক্ষেপসহ নানান ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছেন বাহামার প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ ডেভিস।

এ ছাড়াও জ্যামাইকা ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতাকে চারটির মধ্যে তিন স্তরে উন্নীত করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

কারণ, দেশটির সব-অন্তর্ভুক্ত রিসোর্টে যৌন নিপীড়ন ঘন ঘন ঘটে থাকে। তাই ভ্রমণকারীদের সতর্কতা অবলম্বন করার এবং জ্যামাইকা ভ্রমণের জন্য তাদের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

;

গাজায় গণহত্যা প্রতিরোধের নির্দেশের পরদিন ১৭৪ জনকে হত্যা

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘন্টায় ১৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৩১০ জন আহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জনিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত গণহত্যা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেয়ার পরে ইসরায়েল গাজায় বোমা হামলা জোরদার করছে।

এতে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ হাজার ২৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছে আরো ৬৪ হাজার ৭৯৭ জন।

এদিকে জাতিসংঘের জানিয়েছে, ইসরায়েলি আক্রমণের ফলে গাজার জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ওই অঞ্চলের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

;

মালয়েশিয়ায় ৭ নথিবিহীন বাংলাদেশি আটক

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পাসার হারিয়ান সেলেয়াংয়ে এক যৌথ অভিযানে ১০৮ জন নথিবিহীন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের সাত প্রবাসীও আছেন।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে একটি অভিযানে অভিবাসনসংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধে তাঁদের আটক করা হয়।

এলাকার চারপাশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে যারা অনথিভুক্ত অভিবাসীদের সঙ্গে জড়িত তাদের আটক করাই এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল বলে জানিয়েছেন শহরের পুলিশপ্রধান দাতুক আলাউদিন আব্দুল মজিদ।

তিনি বলেন, বুকিত আমানের জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিভাগের নেতৃত্বে এবং ইমিগ্রেশন বিভাগ ও মালয়েশিয়ার সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের সহযোগিতায় ৪৬৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মী একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।

মজিদ আরোও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে লক্ষ্য ছিল অনথিভুক্ত অভিবাসীদের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাগুলো মোকাবেলার পাশাপাশি এলাকার যেকোনো অপ্রীতিকর কার্যকলাপকে দূর করা।’

অভিযানে ২১৩ জন বিদেশি নাগরিককে তল্লাশির পর বিভিন্ন অপরাধের জন্য ১০৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের ১০৪ জন পুরুষ এবং চারজন নারী। তাঁরা ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের বাসিন্দা।

পুলিশপ্রধান জানিয়েছেন, আটককৃত সবাইকে ইমিগ্রেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের কাছে ভ্রমণের বৈধ নথিপত্র না থাকা এবং অতিরিক্ত সময় মালয়েশিয়ায় অবস্থানের দায়ে ১৯৫৯ সালের ইমিগ্রেশন আইনের ধারা ৬(১)(সি) এবং ১৫(১)(সি)-এর অধীনে তদন্ত করা হবে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *