মামলা তুলে নিতে আয়ানের বাবাকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
ডেস্ক রিপোর্ট: মামলা তুলে নিতে আয়ানের বাবাকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর বাড্ডায় ইউনাইটেড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নিহত শিশু আয়ানের বাবা হসপিটালের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, আজ সকালে শামীম আহমেদ নামের একজন সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এ দিকে শিশু আয়ানের বাবা জিডিতে অভিযোগ করেছেন, রোববার সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে আমি ও আমার মামা আবদুস সালাম কবীর সহ শাহবাগ থানার বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগে রিট প্রিটিশন নং-২০১/২৪ এর শুনানিতে আসি। এই শুনানি শেষে সুপ্রীম কোর্ট থেকে বের হয়ে দুপুর আনুমানিক সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগ থানার হাইকোর্ট মাজার গেইট থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে পায়ে হেঁটে আসার পথে ফুটপাতের উপর পৌঁছালে বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলার হাসপাতালের পক্ষে ৬ থেকে ৭ জন ব্যক্তি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
আমি যদি মামলা তুলে না নেই তবে আমার অফিসে যাওয়ার সময় ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এর আগেও গত ২৫ জানুয়ারি সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের ক্যান্টিনের সামনে তিনজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি একই ভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। এই ঘটনার বিষয় আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। তারা যেকোন সময় আমার ও আমার পরিবারে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে।
বিশ্বকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সংকট অবসানের পথ খুঁজতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন এবং সেখানে তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, পুরো বিশ্বের উচিত এই সংকটের সমাধান খুঁজে বের করা, যাতে মিয়ানমারের নাগরিকরা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে এবং সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে ব্রিটিশ ক্রস পার্টির একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৭ সালে অমানবিক নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গাদের ব্যাপকভাবে দেশত্যাগের পর তারা তাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে, কিন্তু ছয় বছর অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এখনও এই লক্ষ্যে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, তিনি বলেন।
কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বৈশ্বিক আর্থিক সহায়তা কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশের জন্য বিশাল বোঝা হয়ে উঠছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারে নৃশংস দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
;
বিশ্ব ইজতেমায় পুলিশ-আনসার-র্যাবের ৬ হাজার সদস্য
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এবার ছয় হাজার পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। রাস্তায় হকার বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোলরুমের সামনে পুলিশ কমিশনার এসব কথা বলেন।
বিশ্ব ইজতেমার কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগির খালি জায়গাগুলো পূরণ করা হবে। এবার দুই পর্বেই ছয় হাজার করে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। প্রতিবছরের মতো পুলিশ ছাড়াও আনসার, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
তিনি বলেন, তাবলিগের বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। এখন কোনো সমস্যা নেই। তাদের সঙ্গে দুই পর্বের দায়িত্ব পালন নিয়ে কথা হয়েছে। কিছু অমীমাংসিত বিষয়ের মীমাংসা হয়েছে। দুপক্ষই একমত হয়েছেন।
জুবায়েরপন্থীদের প্রতিনিধি প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমরা দুই গ্রুপ বসেছিলাম। সব বিষয়ে ফয়সালা হয়েছে। এখন কোনো ঝামেলা নেই।
একই গ্রুপের শূরা সদস্য আহাম্মদ আলী বলেন, ‘৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ফাঁকা জায়গার শামিয়ানা বিভিন্ন জেলা থেকে আসবে। ইজতেমার জায়গা বেড়েছে, তাই চাহিদাও বেড়েছে। এছাড়া দিয়াবাড়িতে থাকা শামিয়ানা আসবে বলে জানান তিনি।
সাদ গ্রুপের প্রতিনিধিদলের প্রধান রেজাউল করিম বলেন, সমঝোতা হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।
ওই গ্রুপের শূরা সদস্য মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, গত বছর কিছু দামি জিনিসপত্র ওরা নিয়ে গিয়েছিল। সেই বিষয়ে কথা হয়েছে।
উল্লেখ্য, টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী ২-৪ ফেব্রুয়ারি ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এর দ্বিতীয় পর্ব ৯-১১ ফেব্রুয়ারি। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
;
সাফারি পার্কে প্রবেশে অনলাইনে টিকিট: পরিবেশমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জনগণ যাতে ঝামেলা মুক্তভাবে কক্সবাজার ও গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রবেশ করতে পারে এজন্য অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন টিকেটের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, সাফারি পার্কের পরিবেশ ও বন্য প্রাণীর ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত ও যুগোপযোগী করা হবে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-‘২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন যথাসময়ে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি। সভায় মন্ত্রী প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়নে সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিবেদিত প্রাণে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সমস্যা হলে সাথে সাথে জানাতে হবে। সরকারি বরাদ্দ সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগাতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হব।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
;
‘অবৈধ ও লাইসেন্স ছাড়া ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করুন, নইলে ব্যবস্থা’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন
অবৈধ এবং লাইসেন্স ছাড়া যে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে এখনও কার্যক্রম চালানো হচ্ছে তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। এটা অমান্য করে যদি কেউ কার্যক্রম চলমান রাখে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি, যারা এ ধরনের ক্লিনিক চালাচ্ছেন তারা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করুন। না হলে আমরা কিন্তু তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেব এবং তাদেরকে একটা সময় দেব। হঠাৎ করে আমরা একটা ক্লিনিক বন্ধ করতে পারি না। একটা নিয়ম আছে, প্রসিডিউর আছে। আমি সেভাবে এগোব।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
অনিবন্ধিত হাসপাতালের বিষয়ে আপনাদের পদক্ষেপ কী থাকবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ এবং লাইসেন্স ছাড়া যে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, আমি এ ব্যাপারে কথা বলেছি। হঠাৎ করে বন্ধ করলে তো হবে না। আমাকে তো পরীক্ষা করতে হবে। আমার কাছে তালিকা এসেছে, আমরা সেই তালিকা ধরে কাজ করব। কোনো হাসপাতাল অবৈধ কিংবা ইলিগ্যালভাবে কাজ করবে, সেটা অন্তত আমি হতে দেব না। এ ব্যাপারে আমার কঠোর নির্দেশ।
স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের উত্তরে সামন্ত লাল সেন বলেন, রাতারাতি কোনো কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব না। মানুষের আস্থা নেই বললেই মানুষ চলে যাচ্ছে। আমাদের দেশের মানুষ ভারত যাচ্ছে, ব্যাংকক যাচ্ছে। রংপুর থেকে মানুষ ঢাকায় আসছে, তার মানে আস্থাহীনতার অভাব। আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
ফিরিয়ে আনতে হলে গ্রাস রুট লেভেলে কাজ করা, যেটি আমি শুরু করেছি মাত্র। আমাকে আরও সুযোগ দিতে হবে। আমি চেষ্টা করছি। আমি পারব না শতভাগ, তবে আমি চেষ্টা করব, বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়াবেন, আমরা দেখেছি বরাদ্দ ফেরত যায়। বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আপনার পরিকল্পনা কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট সচিব ও ডিজির সঙ্গে বসে একটা বাৎসরিক পরিকল্পনা করব। আমার চিন্তা হচ্ছে যে প্রকল্প এবং যে কার্যক্রম নিলে জনসাধারণের উপকার হবে সে ধরনের প্রকল্প নেব। অপ্রয়োজনীয় কোনো প্রকল্প নিলাম বা কোনো খাতে খরচ করলাম, সে ধরনের কোনো বরাদ্দ নেব না যাতে সাধারণ মানুষের কাজে না লাগে।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।