সারাদেশ

ভৈরব-কিশোরগঞ্জ লক্কড়-ঝক্কড় সড়ক এখন মরণফাঁদ

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের মতো বড় শহরে যেতে কিশোরগঞ্জের মানুষেরা যে সড়কের ব্যবহার করেন সেই সড়কটি মরণফাঁদ হয়ে আছে। সংস্কারের অভাবে সড়কটির এমন বেহাল দশা বলছেন ভুক্তভোগীরা।

তিন বছরের বেশি সময় ধরে সড়কে চলাচলকারীরা ভোগান্তির মধ্যে থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ চোখে পড়েনি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দরপত্রের প্রক্রিয়া চলছে, কিন্তু কবে হবে সে সংস্কার এনিয়ে আশার কথা শোনাতে পারেনি নির্দিষ্ট করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহাসড়কের সর্বশেষ কাজ হয় ২০১৮ সালে। ব্যয় হয় প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এরপর কয়েক বছর শর্ত অনুযায়ী মেরামত কাজ চালিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর আর কোন কাজ হয়নি।

এদিকে, সংস্কারের অভাবে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ঢালাই পিচ দেবে গেছে এবং অনেক জায়গায় আবার ফুলে নালার মতো হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে স্থানে-স্থানে খানাখন্দ। এতে করে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন কোন গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। ঘটছে হতাহতের ঘটনা।

আগরপুর বাজার থেকে কটিয়াদী পর্যন্ত সবচেয়ে দূরাবস্থা রাস্তার। বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই যান ও যাত্রীদের চলাচল করতে হচ্ছে। গন্তব্যে পৌঁছাতে লাগছে বেশি সময়। বেহাল সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেনযাত্রীরা। খানাখন্দের ওপর দিয়ে চলতে গিয়ে যানবাহনেও প্রায় দেখা দিচ্ছে সমস্যা।

২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন বছরে এই আঞ্চলিক মহাসড়কে ১৬৪টি দুর্ঘটনায় ১৪৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কিশোরগঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের বড়পুল থেকে কটিয়াদী উপজেলা অংশের ২৭ কিলোমিটারের মধ্যে বাঁক রয়েছে ৪১টি। এর মধ্যে পুলেরঘাট বাজার থেকে কটিয়াদী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটারে বাঁকের সংখ্যা ২৫টি, যার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অন্তত ৭টি। গত তিন বছরে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার ৭০ শতাংশ ঘটেছে সড়কের বেহাল দশা ও অতিরিক্ত বাঁকের কারণে।

কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম জানান, সড়কের যে অংশে সমস্যা রয়েছে তা সমাধানের জন্য দরপত্রের প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।

কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ‘দুর্ঘটনা রোধকল্পে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছি। এ ছাড়া সড়কগুলো সংস্কার, রোড সাইন স্থাপন, দুর্ঘটনার স্থান চিহ্নিত করে বিভাজক তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *