সারাদেশ

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা

ডেস্ক রিপোর্ট: বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই শীর্ষ তিনের মধ্যে থাকছে ঢাকার নাম। আজও বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে অবস্থানে ঢাকা।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বায়ুমানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২৬৮ স্কোর। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

এ ছাড়া একই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঘানার আক্রা। ২৫৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ২৪২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা এবং ১৮৬ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।

ঢাকায় বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। ভয়াবহ এই দূষণের ফলে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

শীতপ্রবণ জেলায় নেই আবহাওয়া অফিস!

ছবি: বার্তা ২৪

দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলা ব্যতীত চারটি উপজেলায়ই সীমান্ত ঘেঁষা। পাশ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড় দেশের সর্বোত্তরের জেলা। হিমালয়ের পাশাপাশি ও সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ায় এ জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। সবার আগে শীত এসে জেঁকে বসে। আবার সবার পরে শীতের বিয়োগান্ত ঘটে। তবে শীতের জেলা হলেও এ জেলার মানুষ জানতে পারেন না কোনদিন কত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দিন কাটে তাদের। জেলায় কোন আবহাওয়া অফিস না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষক ও পেশাজীবি মানুষেরা। 

শীতের দাপটে এ জেলার মানুষ অভ্যস্ত হলেও এবারে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। চলতি বছরের শুরুতে শীতের প্রকোপে পরেছেন জেলার মানুষ। সারাদিন ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত চারপাশ আর হিমালয়ের হিম শীতল বাতাসে স্থবির হয়ে পরেছে জনজীবন।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত পাঁচ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি। অথচ আবহাওয়া অফিস না থাকায় সঠিক তাপমাত্রার তথ্য বিভ্রান্তিতে পড়েছেন জেলার সকল মানুষ।

আবহাওয়া অফিস না থাকার ফলে, গণমাধ্যম কর্মীরা সঠিক তাপমাত্রার খবর প্রচার করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষকেরা। অনেকের আলু ক্ষেতে পচন ধরেছে ও বোরোধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সারাদেশে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সঠিক তথ্যের অভাবে বন্ধ হচ্ছে না প্রতিষ্ঠান গুলো। এতে করে তীব্র শীতেও শিক্ষার্থীদের আসতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানে।

ঠাকুরগাঁও সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রেজাউল প্রধান বলেন, ‘শীতের সময়ে তাপমাত্রা নিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের আপডেট দিতে হয়। অনেক সময় পাশ্ববর্তী জেলা আবহাওয়া অফিস থেকে তথ্য নিতে হয়। আবার কখনো মুঠোফোনে দেখে তথ্য দিতে হয়। এতে করে আমরা সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হই।’ 

ঠাকুরগাঁও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকতার হোসেন বলেন, ‘নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রাখার কথা রয়েছে। আবহাওয়া অফিস না থাকার কারনে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। মুঠোফোনে একেক সময় একেক রকম তাপমাত্রা দেখা যায়।’ 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির সাথে সম্পৃক্ত। আবহাওয়া অফিস হলে আগে থেকে পূর্বাভাস জানা সম্ভব হবে। এতে করে কৃষকরা ফসলের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।’ 

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন,’ জেলায় আবহাওয়া অফিস হলে ভালো হয়। আমরা বিষয়টি অধিদপ্তরকে অবহিত করব।’ 

;

‘পাঠ্যবই ছিঁড়ে আসিফ মাহতাব ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে’

ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবের চাকরিচ্যুতির ঘটনায় নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। এতে পাবলিক ফোরামে শিক্ষক আসিফ মাহতাবের ‘পাঠ্যবই ছেঁড়া’ কে ধ্বংসাত্মক কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) অফিস অফ কমিউনিকেশন্স থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসন বিভাগ।

এতে বলা হয়, সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সকল মত ও আদর্শের জন্য সহনশীলতা ও সম্মানের ভিত্তিতে গঠনমূলক আলোচনা, বিতর্ক এবং পারস্পরিক মতবিনিময়ে বিশ্বাস করে। 

কিন্তু ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য আচরণ যা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সমর্থন করে না। সাম্প্রতিক সময়ে আসিফ মাহতাব উৎস কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারের প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণির জাতীয় পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছেঁড়া এবং পাবলিক ফোরামে অন্যদেরকে একই কাজ করতে বলার ঘটনাটিকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি একটি ধ্বংসাত্মক কাজ বলে মনে করে। এবং এ ধরনের অশিক্ষকসুলভ আচরণকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না।

এ কারণে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের স্প্রিং সেমিস্টারের জন্য আসিফ মাহতাব উৎসকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নতুন চুক্তি না দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ শিক্ষক মাহতাবকে এই সেমিস্টারের প্রস্তুতিমূলক কাজে তার সময় ও প্রচেষ্টার জন্য পারিশ্রমিক প্রদান করবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সকল ক্ষেত্রে দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং দেশের প্রচলিত বিধিবিধান মেনে চলার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সমকামিতার প্রচার ও প্রসারের সাথে যুক্ত সামাজিক মাধ্যমে কিছু মহলের এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রত্যেকটি মানুষের সমান অধিকার এবং সম্ভাবনা বিকাশের পথে সমান সুযোগ সৃষ্টিতে বিশ্বাস করে।

;

পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে সপ্তাহ ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের দাপটে বিপর্যস্ত উত্তরের জনপদ।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল একই সময়ে রেকর্ড হয়েছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে এ জেলায় মৃদু, মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ অঞ্চলে।

সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি নিশ্চিত করে জেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ । তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকে মেঘ-কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সূর্য। কুয়াশার কারণে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। দিনের তাপমাত্রাও নিম্নমুখী।’ 

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চারপাশ ঘন কুয়াশায় আবৃত ভোর থেকেই। হিম বাতাসে ঝরছে শিশির। শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নানান শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা।

শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গতকালের চেয়ে আজ সামান্যতম তাপমাত্রা বাড়লেও তীব্র থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। সোমবার ভোর ৬ টায় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার সকাল ৯ টায় ৫ ডিগ্রি ও ভোর ৬ টায় রেকর্ড হয়েছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এক সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলে মৃদু, মাঝারি ও দুইদিন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে এ জেলায়। এদিকে নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও সকালেই দেখা মিলছে সূর্যের মুখ। হিমশীতলের বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

;

শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার (৫৮) মারা গেছেন। রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 

আব্দুস সাত্তার কলারোয়া উপজেলার কয়লা গ্রামের মৃত লতিফের পুত্র। তিনি কয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলেন।

সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের সুপার আবুল বাশার জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সাত্তার বুকে যন্ত্রণা অনুভব করলে তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, রাতে আব্দুস সাত্তারকে জরুরি বিভাগে আনা হলে পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারাগার থেকে হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। 

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় ২৭ জানুয়ারি ২০২১ সালে সাড়ে ৩ বছরের সাজায় দণ্ডিত হন আব্দুস সাত্তার। এরপর থেকে তিনি জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন আব্দুস সাত্তার। তাকে তিন বছর ৬ মাসের সাজা দেয় আদালত। 

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে যান শেখ হাসিনা। সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তার ওপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। পাশাপাশি করা হয় গুলিও। 

এ ঘটনায় শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা সেদিন আহত হন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *