আন্তর্জাতিক

টিআই-র দুর্নীতি সূচকে রাজনৈতিক ইন্টারেস্ট আছে: কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণাসূচকে কিছু রাজনৈতিক ইন্টারেস্ট আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে ক্ষমতার যে দ্বন্দ্ব সেখানে অবস্থানগত ভাবে কোন কোন জোট বা দেশ তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের পাহারাদার এসব প্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

টিআইবি বলছে, এশিয়ার মধ্যে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ চার নম্বরে আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টিআইবি তো বিএনপির দালাল, বিএনপি যা বলে টিআইবিও তা বলে।

টিআই -এর দুর্নীতির ধারণা সূচকে নিচের দিক থেকে দুই ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ ১০ নম্বরে। এর মানে তো দুর্নীতি বেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এইসব প্রতিষ্ঠানের কিছু রাজনৈতিক ইন্টারেস্ট আছে। বিশ্বজুড়ে ক্ষমতার যে দ্বন্দ্ব সেখানে অবস্থানগত ভাবে কোন কোন জোট বা দেশ তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের পাহারাদার এসব প্রতিষ্ঠান। কারো স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এসব কমেন্ট করা হয়। এসব অপবাদ দেওয়া হয়। এটা অতীতেও দেওয়া হয়েছে। আমরা এগুলোর পরোয়া করি না। আমরা আমাদের কাজ জনস্বার্থে করে যাচ্ছি। দুর্নীতি শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই আছে কম-বেশি। কিন্তু যেভাবে অপবাদটা বাংলাদেশ নিয়ে দেওয়া হয় এটা মোটেও সত্য নয়।

সরকারের প্রতিপক্ষ সিন্ডিকেট নাকি বিরোধী দল এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুইটা দুই ধরনের বিষয়। বিরোধীদলের ব্যাপারটা হলো রাজনৈতিক, আর সিন্ডিকেটের বিষয়টি অর্থনৈতিক। এখন বিরোধীদল সহিংসতা করবে, সংঘাত করবে, আগুন সন্ত্রাস করবে সেটা এক ধরনের বিষয়। সেটা যেমন আমাদের প্রতিপক্ষ, দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারটাও আমাদের এক ধরনের প্রতিপক্ষ। দুই প্রতিপক্ষকেই মোকাবিলা করতে হবে।

১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, তিনি নির্বাচনে জেতেননি তো… জিতলে বোধহয় এই কথা বলতেন না।

মন্ত্রিসভার কলেবর বড় হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বাড়তে পারে একটু। মহিলাদের সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন শেষ হলে সেখান থেকেও যুক্ত হতে পারে। এর সঙ্গে যদি আরও প্রাইম মিনিস্টার ইচ্ছা করেন তিনি যুক্ত করতে পারেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে একটা প্রতিক্রিয়া ছিল। ঢাকায় তাদের যে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গণতন্ত্র অগ্রযাত্রা বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। ইউরোপের অনেক দেশও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মত দল যদি অংশ নিতো, ভালো হতো। যে নির্বাচনে ৪১ শতাংশ ভোটার উপস্থিত ছিল সে নির্বাচনকে পৃথিবীর মানদণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে কোনো অবস্থাতেই ভোটারবিহীন নির্বাচন অপবাদ দিতে পারবেন না। তবে বিএনপির মত দলগুলো যদি থাকতো তাহলে আরও প্রতিযোগিতামূলক হত। সেই ত্রুটি আমাদের সৃষ্ট নয়, সেটা বিরোধীদলের সৃষ্টি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ব্যর্থতার জন্য গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে অপবাদ দিয়ে কোন লাভ নেই। এ ধরনের কর্মসূচি গণতন্ত্রের অভিযাত্রার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র৷

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *