সারাদেশ

পাহাড় কাটায় ইটভাটার মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

ডেস্ক রিপোর্ট: পাহাড় কাটায় ইটভাটার মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

পাহাড় কাটায় ইটভাটার মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পাহাড় কেটে ইটভাটায় মাটি সরবরাহের অভিযোগে এক ইটভাটার মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এই জরিমানা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গড়িয়াইশ এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ পেয়ে বুধবার রাত ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এটি পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান।

এ সময় গড়িয়াইশ এলাকার রেললাইনের পূর্ব পাশে পাহাড় এবং পাহাড়সংলগ্ন কৃষিজমির মাটি কাটার সত্যতা পাওয়া যায়। তিনটি পয়েন্টে স্থানভেদে ১৫-২০ ফুট গভীর পর্যন্ত মাটি কাটা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, এলাকায় তিনটি পয়েন্টে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত তিনটি এক্সকাভেটর (খনন যন্ত্র) পাওয়া গেলেও চালক কিংবা হেলপার কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাস্থলের কাছেই এসবিকে ইটভাটায় গত সাত দিন ধরে পাহাড়ের মাটি সরবরাহ করার কথা স্বীকার করেন ইটভাটার মালিক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় তাকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুসারে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, পাহাড়ের মাটি বা কৃষিজমির মাটি ইটভাটায় ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে এই জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তৃতীয় বারের মতো শুরু হচ্ছে বাজুস ফেয়ার-২০২৪

ছবি: বার্তা ২৪

বিগত দুই বারের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় দেশের ঐতিহ্যবাহী ও জুয়েলারি পণ্যভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) এর উদ্যোগে তৃতীয় বারের মতো শুরু হতে যাচ্ছে সর্ববৃহৎ জুয়েলারি মেলা বাজুস ফেয়ার-২০২৪।

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) নবরাত্রি (হল নম্বর-৪) এ আগামী ৮, ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি মোট তিন দিন চলবে এই মেলা। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা দর্শনার্থীদের জন্যে মেলার গেট খোলা থাকবে। মেলায় প্রবেশের টিকেটের মূল্য ধরা হয়েছে জনপ্রতি ১০০ টাকা। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য বিষয়- ‘সোনায় বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের সঞ্চয়।’ 

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বসুন্ধরা সিটিতে বাজুসের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনের মুখপাত্র ডা. দিলিপ কুমার রায়। 

সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধশালী করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে একটি নতুন অবস্থান তৈরিতে এই মেলা সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা তাদের। দেশের স্বর্ণ শিল্পীদের হাতে গড়া নিত্য নতুন আধুনিক ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি বাড়বে। এছাড়া মেলা শেষে মেলায় অংশগ্রহণ করা প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হবে। এতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা, দেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, অভিনেতা, মডেল ও শোবিজ তারকারা উপস্থিত থাকবেন। 

এবারের মেলায় মোট ৪১ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এর মধ্যে ৯ টি প্যাভিলিয়ন, ১৭ টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ১৫টি স্টল থাকবে।

অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, আমিন জুয়েলার্স, কুঞ্জ জুয়েলার্স, রয়েল মালাবার, আপন জুয়েলার্স অন্যতম।

;

ডিএমপির ৪৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ছবি: সংগৃহীত

‘সেবা ও সদাচার, ডিএমপির অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে নানা আনুষ্ঠানিকতায় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) উদ্‌যাপিত হচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

এ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সকাল ১১ টায় সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভা শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে রয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান।

উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৬ হাজার পুলিশ সদস্য এবং ১২ থানা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ডিএমপি। ঢাকা মহানগরের প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি ৫০ থানায় বিস্তৃত হয়েছে।

বর্তমান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে কাজ করছেন ৬ জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি), ১২ জন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অতি. ডিআইজি), ৫৭ জন উপকমিশনারসহ (এসপি), ৩৪ হাজার অফিসার ও ফোর্স।

;

সাগরপারে ১২৫টি ডিম পেড়ে সাগরে ফিরল কাছিম

সাগরপারে ১২৫টি ডিম পেড়ে সাগরে ফিরল কাছিম

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একটি সামুদ্রিক কাছিম ১২৫টি ডিম পেড়েছে। গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সৈকতের সোনারপাড়া এলাকায় অলিভ রিডলে প্রজাতির এই কাছিম ডিমগুলো পাড়ে। বালিয়াড়িতে প্রায় দুই ফুট গর্ত করে মা কাছিমটি ডিমগুলো পেড়ে আবারও সাগর ফিরে গেছে।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে খবর পেয়ে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা ডিমগুলো সংগ্রহ করেছেন।

এসব ডিম প্রজননের জন্য সোনারপাড়া সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘেরা দিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান বোরির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ।

তিনি বলেন, ডিমগুলো বাচ্চা ফোটাতে ৬০ থেকে ৬৫ দিন সময় লাগবে। এ সময়ে বোরির বিজ্ঞানীরা গবেষণার পাশাপাশি এই হ্যাচারিটি দেখভাল করবেন। হ্যাচারিতে ডিমগুলো প্রজননের জন্যে প্রায় দুই ফুটের দুটি গর্ত খোঁড়া হয়।

ডিমগুলো সংরক্ষণের সময় ভারতের রাঁজকাকড়া বিশেষজ্ঞ ও জৈব সমুদ্র বিজ্ঞানী ড. গোবিন্দ চন্দ বিসওয়াল, বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য গবেষক আহমদ গিয়াস, বোরির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.শিমুল ভুঁইয়াসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, অলিভ রিডলে প্রজাতির কাছিমটি ১২৫টি ডিম পেড়ে সাগরে ফিরে গেছে। গত বছর একই সৈকতে একটি কাছিম ৯১টি ডিম পেড়েছিল। এই ডিম সৈকতের প্রাকৃতিক পরিবেশে সংরক্ষণ করে প্রজননের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেখানে ৮৪টি সুস্থ-সবল কাছিমের বাচ্চা ফোটানো সম্ভব হয়েছিল।

তিনি বলেন, প্রজনন মৌসুম শুরুর পর প্রতিবছর অক্টোবর থেকে সমুদ্রতীরে আসতে শুরু করে কাছিম। এপ্রিল পর্যন্ত কাছিম ডিম পাড়ে।

গবেষণার কাজে কক্সবাজার আসা ভারতের রাঁজকাকড়া বিশেষজ্ঞ ও জৈব সমুদ্র বিজ্ঞানী ড. গোবিন্দ চন্দ বিসওয়াল বলেন, কাছিম প্রজননের এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর। তবে প্রজনন বাড়াতে জনসচেতনতা সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করেন তিনি। 

কক্সবাজারে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের পাশাপাশি পরিবেশবাদী সংস্থা নেচার কনজার্ভেশন ম্যানেজমেন্টসহ(নেকম) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাছিমের ডিম সংরক্ষণ ও প্রজনন প্রক্রিয়ায় কাজ করছে।

;

দাদুর ইচ্ছায় হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে

ছবি: বার্তা২৪.কম

কুষ্টিয়া কুমারখালী শহরে হঠাৎ করে দেখা যায় রাজার পোশাক পরিহিত যুবক। হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যাচ্ছেন।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে কুমারখালী কুন্ডুপাড়া নবগ্ৰহ মন্দিরের সামনে দেখা গেছে এমনই এক ব্যতিক্রমী বিয়ের।

বিয়ে উপলক্ষে এক সপ্তাহ ধরে চলছিল প্রস্তুতি। ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে হাতি ভাড়া করা হয়েছে। সব আত্নীয়-স্বজন ও প্রিয়জনদের দাওয়াত করে হৈ হুল্লোড় এবং ভুরিভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল এ আয়োজনে।

অনেক আগে রাজা-বাদশারা হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যেতেন। সেই প্রথা এখন আর দেখা না গেলেও অনেকে শখের বশে হাতির পিঠে চড়ে থাকেন। কিন্তু এখনকার সময়ে হাতির পিঠে চড়ে বিয়েতে যাওয়া অনেকটাই বিলুপ্ত।

হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়া যুবকের নাম ধ্রুব অধিকারী। তিনি শহরের কুন্ডুপাড়া এলাকার তপন অধিকারীর ছেলে। বিয়ের পর হাতির পিঠে চড়ে একইভাবে তিনি নিজ বাসায় ফিরে আসেন এবং কনেকে গাড়িতে করে নিয়ে আসেন। বরের বাসা থেকে পায়রা চত্বর ঘুরে কুমারখালী এলঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে হাতির পিঠে চড়ে রওনা দেন বর।

এসময় সুসজ্জিত হাতি আর বরকে দেখার জন্য রাস্তার দুই পাশে ভিড় জমে যায় মানুষের।

জানা যায়, কুমারখালী শহরের এলঙ্গিপাড়া এলাকার অচিন্ত পালের মেয়ে অন্তরা পালের সঙ্গে ধ্রুব অধিকারীর বিয়ে হয়। বরের কাকা জানান, ধ্রুবর দাদু চেয়েছিলেন হাতির পিঠে বর সাজিয়ে বিয়ে করবে নাতি। সেই ইচ্ছা পূরণ করতেই ছেলেকে রাজকীয় সাজে সজ্জিত করে হাতির পিঠে উঠিয়ে কনের বাড়িতে পাঠানো হয়।

বর ধ্রুব অধিকারী বলেন, আমার দাদু চেয়েছিলেন প্রিয় নাতিকে হাতিতে করে রাজকীয়ভাবে বিয়ে করাবেন। আর সেই ইচ্ছা পূরণের জন্যই আমার হাতির পিঠে করে বিয়ে করা।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *