সারাদেশ

রাবিতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের যোগদান

ডেস্ক রিপোর্ট: রাবিতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের যোগদান

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নতুন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে যোগদান করেছেন অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল হাসান।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দায়িত্বে যোগদান করেন তিনি। একইদিন দুপুরে ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে যোগদান করেছেন অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম খান।

ড. তারিকুল হাসান রসায়ন বিভাগের অধ্যাপকের দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে রেজিস্ট্রারের এবং ড. আশরাফুল পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধ্যাপকের দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করবেন।

দায়িত্বে যোগদানের পর নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) তার দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।

অন্যদিকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম খান বলেন, আমি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের অটোমেশন সিস্টেমের কাজটি বাস্তবায়ন করবো। আশা করি, অতি দ্রুত সেটা হয়ে যাবে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে স্বচ্ছতা আনার বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে বিএসসি (অনার্স) ও এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ফেলোশিপে জাপান থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ও ২০০৪ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. মো. তারিকুল হাসান ১৯৯৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন এবং ২০১২ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। তিনি প্রক্টরের দায়িত্বসহ অন্যান্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন। তার বেশ কিছু গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশে প্রকাশিত হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবেষণা তত্ত্বাবধান করেছেন।

তিনি বেশ কয়েকটি বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাজীবী সংস্থার সদস্য। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে তিনি কিছুদিন পেট্রোবাংলায় এসিস্ট্যান্ট কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার ও বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে প্রভাষক হিসেবে চাকুরি করেছেন।

এছাড়া অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম খান রাবি থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে বিএসসি (অনার্স), এমএসসি ও এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। ২০১১ সালে তিনি জাপান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০১ সালে তিনি রাবির পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন এবং ২০১৭ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। শিক্ষকতার পাশাপাশি রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ তিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশে প্রকাশিত হয়েছে ও বেশ কয়েকটি গবেষণা তত্ত্বাবধান করেছেন। বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলসহ অন্যান্য কয়েকটি বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাজীবী সংস্থার কর্মকাণ্ডে তিনি সংশ্লিষ্ট আছেন।

চবিতে ‘প্রেজেন্টেশন হ্যাকস ২.০’ শীর্ষক কর্মশালা ১১ ফেব্রুয়ারি

ছবি: বার্তা ২৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে ‘প্রেজেন্টেশন হ্যাকস ২.০’ শীর্ষক কর্মশালা শুরু হবে ১১ ফেব্রুয়ারি। চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বিজনেস স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব প্রেজেন্টেশন প্রো’র উদ্যোগে এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হবে। 

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংগঠনটির সভাপতি তাসমিয়া মোস্তফা। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির হেড অব অর্গানাইজার আব্দুল কুদ্দুস ও হেড অব একাডেমি সুজয় সাহা। 

তাসমিয়া মোস্তফা বলেন, ১১ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট তিনটি বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। কম্প্রিহেন্সিভ প্রেজেন্টেশন, আইডিয়া জেনারেশন ও স্লাইড মেকিংসহ তিন বিষয়ে ১৫০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করবেন। ৩-৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে টিম গঠন করা হবে। কর্মশালার নিবন্ধন চলমান। চবির যেকোনো শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে ‘প্রেজেন্টেশন হ্যাকস ২.০’ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। নিবন্ধন ফি ৪৪৯ টাকা।

তিনি জানান, কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রেজেন্টেশন প্রো’র সাবেক নেতৃবৃন্দ।

সার্বিক সহযোগিতায় থাকছে ব্রোঞ্জ পার্টনার ডেল্টা ইমিগ্রেশন, হসপিটালিটি পার্টনার- সোহানী’স ইন্টেরিয়র, এডুকেশন পার্টনার- পিএফইসি গ্লোবাল, স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার- ‘লীড বাংলাদেশ’। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে- চবি সাংবাদিক সমিতি, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণ।

;

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রার্থী ১০৭

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ছয়টি অনুষদ ও একটি ইন্সটিটিউটের অধীনে আসন রয়েছে ১ হাজার ৮৪৪টি। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫৯টি। সে হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ১০৭ জন।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫৯টি আবেদন জমা পড়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫২ হাজার কম। ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ পর্যন্ত ভর্তি ফি প্রদান করার সময়সীমা রয়েছে। তখনই সর্বমোট কতটি আবেদন পড়েছে তা বলা যাবে।

তিনি আরও জানান, এবার ‘এ’ ইউনিটে (গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি) ৪৪৬টি আসনের বিপরীতে ৫০ হাজার ৩১২ জন, ‘বি’ ইউনিটে (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদ) ৩৮৬টি আসনের বিপরীতে ১৭ হাজার ৬৫৪ জন, ‘সি’ ইউনিটে (কলা ও মানবিক অনুষদ এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট) ৩৮৮টি আসনের বিপরীতে ৩৯ হাজার ৭৩৮ জন, ‘সি-১’ ইউনিটে (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ) ৬৪টি আসনের বিপরীতে ৪ হাজার ২১০ জন, ‘ডি’ ইউনিটে (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ৩১০টি আসনের বিপরীতে ৬৯ হাজার ২৮১ জন, ‘ই’ ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ) ২০০টি আসনের বিপরীতে ১২ হাজার ৬৪৫ জন এবং আইবিএ-তে ৫০টি আসনের বিপরীতে ৩ হাজার ৫১৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।

সে হিসেবে ‘এ’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ১১২ জন, ‘বি’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ৪৫ জন, ‘সি’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ১০২ জন, ‘সি-১’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ৬৫ জন, ‘ডি’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ২২২ জন, ‘ই’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ১৯৭ জন, এবং ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনে (আইবিএ) প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ৭০ জন।

উল্লেখ্য, আবেদনকারী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আগামী শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে। ভর্তি পরীক্ষা ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

;

কুবি মাতাল অ্যাশেজসহ তিন মিউজিক ব্যান্ড 

ছবি: বার্তা ২৪

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মাতিয়ে গেল অ্যাশেজসহ দেশসেরা আরও তিনটি মিউজিক ব্যান্ড। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে এই জমকালো আয়োজন করা হয়।

‘ওহ অহনা একটু ভালবাসো না’ গান দিয়ে শুরু করে কুবির মিউজিক ব্যান্ড ‘প্ল্যাটফর্ম’। এরপরই ক্রমান্বয়ে মঞ্চ মাতান বে অব বেঙ্গল, সোনার বাংলা সার্কাস এবং এভয়েড রাফা। রাত ১২ টার দিকে মঞ্চে আসে অ্যাশেজ।

অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৫ টা থেকে। এ সময় শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবর্তনের শিল্পীরা, এরপরই প্ল্যাটফর্মসহ বাকি মিউজিক ব্যান্ডগুলো মঞ্চে ওঠে।

আয়োজক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২ হাজার মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেছিল। তবে তারা প্রায় ২০ হাজার মানুষের কথা চিন্তা করেই এই কনসার্টের আয়োজন করছেন। পাশাপাশি ছিল দুই শতাধিক ভলেন্টিয়ার।

এদিন চাঁদপুর থেকে আসা ইমরান হোসেন বলেন, ‘এখানে এসে ভাবিনি এতো মানুষ হবে। ভেবেছি ছোট ক্যাম্পাস তেমন ভিড় হবে না। এটা প্রত্যাশারও অনেক বাইরে ছিল। আমি সহ আমার পাঁচজন বন্ধু ইভান ভাইয়ের গান শোনার জন্য এসেছি। এখানকার পরিবেশ খুবই ভালো লাগছে। সুন্দর আয়োজন। এক কথায় দারুণ লাগছে।’

প্লাটফর্মের ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম সার্বিক বিষয়ে বলেন, ‘আমরা গত তিন মাস চেষ্টায় ছিলাম কিভাবে ক্যাম্পাসে একটি বড়সড় প্রোগ্রামের আয়োজন করা যায়। তারই প্রেক্ষিতে আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করি এবং শেষ পর্যন্ত লেট’স ভাইব এগিয়ে আসে। আমরা কোনরকম গণ্ডগোল না হওয়ার চেষ্টায় ছিলাম। আর এটা মেইনটেইনের জন্যে প্রক্টরিয়াল বডি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, উপাচার্য স্যার আামাদের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন। যে কারণে আমরা সফলভাবে প্রোগ্রামটা শেষ করতে পারছি। এর পাশাপাশি আমাদের ২০০ এর উপরে ভলেন্টিয়ার ছিল।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময়ই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন-মিশনের পজিটিভ ব্র্যান্ডিংকে প্রায়োরিটি দিয়েছি। আর প্রোগ্রামের সফলতার জন্য আমরা সকল কুবিয়ানকে কৃতিত্ব দিচ্ছি।’

;

চবিতে শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন

ছবি: বার্তা ২৪.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিজ্ঞান অনুষদের রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এরআগে অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর আগে একই দাবিতে সকাল দশটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত বিভাগের সভাপতির কক্ষের সামনেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত রয়েছেন।

জানতে চাইলে বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সাজিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা সেই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধনে নেমেছি। যতদ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যা ঘটেছে তা আমাদের বিভাগের জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।

সাবিহা নামের চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, স্যারকে বিভাগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হোক। আমরা কিছুদিন পর ওই সেশনে যাব, যদি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে আমরা কোথায় পড়ালেখা করতে আসছি? আমরা শেষ পর্যন্ত এই শিক্ষকের বহিষ্কার দেখতে চাই।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশিষ পালিতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আজ বেলা সাড়ে ১১টায় একাডেমিক কমিটির সকল শিক্ষক মিলে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনায় বসেছি। কিন্তু আমাদের একটা সীমাবদ্ধতা আছে, কারণ আমাদের সব কিছুর অভিভাবক হচ্ছেন উপাচার্য। তিনিই বড় সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে থাকেন। তবে আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যতদিন পর্যন্ত তদন্তের কাজ শেষ না হয় ততদিন পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

অভিযোগ সত্যতার ব্যাপারে জানতে চাইলে দেবাশিষ পালিত বলেন, এটা আমরা শুনেছি, তবে তদন্ত করা ছাড়া সত্যতার ব্যাপারটা বলা যাচ্ছে না। আজ এটা নিয়ে উপাচার্যের সাথে মিটিং হবে তখন বোঝা যাবে। তবে আমরা অভিযোগটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।

গতকাল বুধবার দুপুরে উপাচার্য শিরীণ আখতারের কাছে এক শিক্ষার্থী নিজ বিভাগের এক অধ্যাপক সম্পর্কে লিখিতভাবে যৌন হয়রানি, যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেন।

তবে অভিযুক্ত অধ্যাপক অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। ৩১ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এ ধরনের কাজের সাথে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তিনি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *