ইসির নির্দেশনার তিন সপ্তাহেও নদভীর বিরুদ্ধে হয়নি মামলা
ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচনী প্রচারণায় দিয়ে মাদ্রাসার মাহফিলে এক কোটি অনুদানের ঘোষণাসহ নানা কাজের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার অংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত ১১ জানুয়ারি ইসির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও তিন সপ্তাহেও হয়নি মামলা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে সময় লাগায় মামলা করতে সময় লাগছে।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব (আইন) মো. আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মামলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন এবং স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর প্রচারণায় গিয়ে চুনতি মাদ্রাসার সিরাতুন্নাবী (সা.) মাহফিলে এক কোটি টাকা অনুদান, পাশাপাশি এক সমর্থকের ছেলেকে চাকুরীর ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে স্কলারশীপ প্রদানের ঘোষণা দেন।
এ ছাড়া মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরী পুটিভিলা তাঁতীপাড়ায় এক সমাবেশে ২ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন।
এমন অভিযোগে অভিযুক্ত করে দুইজনের বিরুদ্ধে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধির ১১(ক) বিধান লঙ্ঘন করা হয় মর্মে প্রতিবেদন জমা দেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
এর প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে নির্দেশনা দেয় ইসি।
এদিকে, চিঠি জারির তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলা করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট আসনের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
মামলার বিষয়ে ২৩ জানুয়ারি পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন জানিয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রিপন চাকমা জানান, ‘আমি গত সোমবারও পাবলিক প্রসিকিউটরের সঙ্গে দেখা করেছি। কাগজপত্র রেডি করতে একটু সময় লাগছে। সব রেডি হলে অভিযোগ দায়ের করা হবে।’
জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘কাগজপত্র সব কিছু প্রস্তুত করা হয়েছে৷ আগামী রবিবার অথবা সোমবার নাগাদ মামলা করতে পারবো।’
মামলা করতে কালক্ষেপনের বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেবের কাছে। এই আসনে প্রায় ৪৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন এমপি নদভী।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।