আরও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ডেস্ক রিপোর্ট: আরও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিজ্ঞান অনুষদের আরও এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন এক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিভাগীয় সভাপতি বরাবর ওই অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। মাস্টার্সের লিখিত পরীক্ষার সময় অসদুপায় অবলম্বন করার কারণে একজন স্যার কর্তৃক আমাকে বরখাস্ত করা হয়। ওই কারণ প্রদর্শনপূর্বক পরীক্ষা কমিটির সভাপতি স্যার আমাকে তার রুমে একা ডেকে পাঠান। রুমে প্রবেশের পর স্যার রুমে বসার নির্দেশ দেন। বসার পর হঠাৎ করে পেছন দিকে স্যার আমার কাছে চলে আসেন এবং আমি উনার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে চমকে উঠি।’
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমি চেয়ার থেকে ভয়ে উঠে চিৎকার করে কান্নাকাটি করে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে দেখি রুমের দরজা লক করা। তারপর তিনি আমাকে অনুরোধ করেন এভাবে কান্নাকাটিরত অবস্থায় বাইরে না যেতে। তারপর তিনি আমাকে কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখেন কান্না থামানোর জন্য। পরে আমি কোনও রকম স্বাভাবিক হয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় সভাপতি বলেন, ‘এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের মাস্টার্সের এক ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ তুলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনভর ওই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
পুলিশের টহলভ্যানের সাথে পিকআপের ধাক্কা, আহত ৪
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ডিউটি চলাকালে পুলিশের একটি টহল ভ্যানে পিকআপের ধাক্কায় পুলিশের এএসআইসহ ৪ সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১ টা ৫০ মিনিটের দিকে পতেঙ্গা আউটার লিংক রোডের চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- পতেঙ্গা থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আজিজুল হক, কনস্টেবল নজরুল ইসলাম, মশিউর রহমান ও সুজন খান।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা বলেন, ‘রাতে ডিউটি চলাকালে লিংক রোডে টহল ভ্যানের পণ্যবাহী একটি পিকআপ ধাক্কা দেয়। এতে আমাদের একজন এএসআইসহ ৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তার মধ্যে দুইজনের অবস্থা বেশি গুরুতর। তারা মাথায় আঘাত পেয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালেটি বিভাগের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এবং একজনকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে। তাকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’
;
কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত শিক্ষার্থীর ৯ দিন পর মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত
টাঙ্গাইলের বাসাইলে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী জিজান হাসান দীপ্ত (১৮) মারা গেছেন।
হামলার ঘটনার ৯ দিনের মাথায় শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬ টার দিকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত জিজান হাসান দীপ্ত সখীপুর উপজেলার চাকদহ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম মল্লিকের ছেলে। দীপ্ত ঢাকায় বিজিবি পিলখানায় অবস্থিত বীর শ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ থেকে ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। দীপ্ত মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
জিজান হাসান দীপ্তর চাচাতো মামা বাসাইল পৌরসভার কাউন্সিলর প্রিন্স মাহমুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, জিজান হাসান দীপ্ত গত ২৩ জানুয়ারি বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় তার নানা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে ২৪ জানুয়ারি দুপুরে সমবয়সী বাসাইল উত্তরপাড়ার নাঈম ও সজল খানের সঙ্গে জিজান হাসান দীপ্ত বাসাইল বাজারে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে নাঈমকে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান শাকিল বাসাইল বাজারের একটি ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। এসময় জিজান হাসান দীপ্ত ও সজল খানও উপস্থিত ছিল। এরপর সন্ধ্যায় আবার তারা তিনজনে মিলে বাসাইল বাজারের দিকে যাওয়ার সময় বাসাইল মনি ক্লিনিকের সামনের মোড়ে পৌছালে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান শাকিলের নেতৃত্বে অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় নাঈম ও সজল প্রাণ রক্ষার্তে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে জিজান হাসান দীপ্তকে ধারালো দা, কাঠের স্ট্যাম্প, লোহার পাইপে মোটরসাইকেলের চেইন প্রিমিয়াম ঝালাইযুক্ত দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান শাকিলসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে জিজান হাসান দীপ্তকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে ঢাকায় হস্তান্তর করা হয়। ওইদিন থেকে তাকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
বুধবার(৩১ জানুয়ারি) ঢাকার সিএমএইচ হাপাতালে নেওয়া হয়। শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বলেন, সকালে জিজান হাসান দীপ্তর মা ও বাবা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) হামলার ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী জিজান হাসান দীপ্ত’র মা বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩/৪জন অজ্ঞাত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত তিজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
;
সাজেকে মধ্যরাতে আগুন, পুড়লো রিসোর্ট ও দোকান
ছবি: বার্তা২৪.কম
রাঙামাটির অন্যতম পর্যটন স্পট সাজেকে মধ্যরাতে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে সাজেক ভ্যালীর কংলাক পাহাড়ের হোটেল-মোটেল রিসোর্ট এলাকায় আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তের মধ্যেই আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
অগ্নিকাণ্ডে মেঘছোয়া রিসোর্ট, ফুরেংগি রিসোর্ট, দুমদে রিসোর্ট ও কাঠের তৈরী একটি বসত ঘর আগুনে পুড়ে যায়। এতে অন্তত ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি চাইথুয়াং অং চৌধুরী জানিয়েছেন, মেঘছোঁয়া রিসোর্ট থেকে আগুন লেগে পাশের ফড়িংগি রিসোর্ট, স্থানীয় ভূবন ত্রিপুরার বাড়ি ও একটি দোকান পুড়ে যায়। তবে রিসোর্টে অবস্থানরত পর্যটকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ৩৬নং সাজেক ইউনিয়নের পর্যটন পাড়া নামে পরিচিত কংলাক পাড়ার মেঘছোঁয়া রিসোর্টের পাশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে সাজেক বিওপি ও সাজেক আর্মি ক্যাম্প হতে ২টি টহল দল ঘটনাস্থলে গমন করে স্থানীয়দের সহায়তায় দীর্ঘ ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে এরই মধ্যে আগুনে দুইটি রিসোর্ট, একটি বাড়ি ও একটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
;
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ছবি: বার্তা২৪.কম
ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫ টা থেকে নৌরুট এলাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক সালাম হোসেন বলেন, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট এলাকায় ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করে এবং ভোরের দিকে ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে যায়।
এতে করে নৌরুট এলাকায় ফেরি চলাচলে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে। যে কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। নদী এলাকায় কুয়াশা কমে এলে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানান সালাম হোসেন।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।