সারাদেশ

পঞ্চগড়ে পৃথক উপজেলায় দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট: পঞ্চগড়ে পৃথক উপজেলায় দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

ছবি: বার্তা২৪.কম

পঞ্চগড়ে পৃথক উপজেলায় টাবুল বর্মন (৪৮) ও নুরুল ইসলাম (৪০) নামে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত পঞ্চগড় সদরের চালকাহাট ইউনিয়নে ডলোপাড়া গ্রামের একটি আমবাগানের খাল থেকে মাটি চাপা অবস্থায় টাবুলের মরদেহ ও বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের সাঁওতালপাড়া ঘাট থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় নদী থেকে নুরুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত টাবুল মাগুরা ইউনিয়নের লাখেরাজ ঘুমতি এলাকার হাগিরাম বর্মনের ছেলে, পেশায় তিনি একজন কৃষক ও নুরুল ইসলাম বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের মুসলিমপুর কাউয়া খাল এলাকায় মৃত ইয়াসিন আলীর ছেলে, পেশায় তিনি একজন ভ্যান চালক।

জানা গেছে, টাবুল বর্মন গত ৩১ জানুয়ারি বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল। এর মাঝে পরিবারের দায়ের করা জিডির প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে তার পরকিয়া প্রেমিকা ললতিা রানীসহ ললিতার মেয়ে মনিকা (২৩) ও মেয়ের জামাই প্রভাতকে আটক করলে ললিতার দেয়া তথ্যে মাটি চাপা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, গত ২৭ জানুয়ারি ভ্যান নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হয় নুরুল। নিখোঁজের দুদিন পরে সাঁওতালপাড়া ঘাটে করতোয়া নদী থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় তান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় ও বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো মর্গে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে, একই সাথে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তসহ গ্রেফতারের চেষ্টে চলছে।

পটুয়াখালীতে মাদক কারবারিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৬ মাসের কারাদণ্ড

মাদক কারবারিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৬ মাসের কারাদণ্ড

পটুয়াখালীর বাউফলে এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০০ টাকা অর্থদণ্ডের সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের বড় ডালিমা এলাকায় মাদক কারবারিকে এই সাজা দেয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি একাধিক মাদক মামলার আসামি। তার নাম সাগর শিকদার (৩৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাগরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ের বাউফল থানার ৭টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। শুক্রবার রাতে মাদক সেবনরত অবস্থায় তাকে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ঘটনা স্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আসামিকে ৩৬ এর ১৯ (ক) ধারায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০০ টাকা অর্থদণ্ডের সাজা প্রদান করেন। সাগর শিকদার বাউফল উপজেলার বড় ডালিমা গ্রামের মৃত. দেলোয়ার শিকদারের ছেলে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনীত কুমার গায়েন বলেন, ‘সাগর শিকদার নিয়মিত মাদক কারবারিকে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। শুক্রবার রাতে মাদক সেবনরত অবস্থায় তাকে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আসামিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসেন।’

;

চার ঘণ্টার ব্যবধানে গোয়ালন্দে ঝড়ল ২ প্রাণ

ছবি: বার্তা২৪.কম

চার ঘণ্টার ব্যবধানে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আবারও সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল রনি মন্ডল (৩০) নামের এক যুবক।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে বেড়িবাধ সড়ক থেকে গোয়ালন্দের জমিদারব্রীজ এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রনি মন্ডল গোয়ালন্দ রেলগেট এলাকার আজাদ মণ্ডলের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত রনি মন্ডল তার স্ত্রী মোছা. শিল্পীকে (২৭) নিয়ে মোটরসাইকেল ঘুরতে বের হয়। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বেড়িবাধ সড়ক থেকে গোয়ালন্দের জমিদারব্রীজ এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে পৌঁছে। এ সময় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ঝিনাইদহগামী এমএম পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সাথে ধাক্কা লাগলে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে দু’জনই নিচে পড়ে যান।

স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রনি মণ্ডলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করলে সন্ধ্যা সাতটার দিকে সে মারা যান। তার স্ত্রী চিকিৎসাধীন আছেন।

আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম জানান, ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। চালক ও হেলপার পলাতক আছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ দিকে দুর্ঘটনার প্রতিবাদ এবং মহাসড়কে স্পিডব্রেকারের (গতিরোধক) দাবিতে এলাকাবাসী ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগ গতিরোধকের কাজ শুরু হলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়।

এর আগে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দের জমিদার ব্রিজ এলাকায় জুম্মার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে গোয়ালন্দে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের ধাক্কায় আকবর মল্লিক (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহত আকবর মল্লিক রাজবাড়ী সদরের পাচুরিয়া ইউনিয়নের মুকুন্দিয়া গ্রামের মৃত মনছের মল্লিকের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো গোয়ালন্দ বাজারে কাপড়ের দোকান বন্ধ করে জুম্মার নামাজ পড়ে বাইসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের জমিদার ব্রিজে পৌঁছালে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহন (কুষ্টিয়া-ব ১১-০০৪৮) বাসটি বাইসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে সড়কে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। পরে আশপাশের স্থানীয়রা দ্রুত এসে তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

;

টাঙ্গাইলে ট্রেন দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রেনে কাটা পড়ে একই পরিবারের দু’জনসহ তিনজন নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার আনালিয়াবাড়ী এলাকায় রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নাটোর বড়াই গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে রতন (৩৫) ও তার ছেলে সানি (৬)। অপর ব্যক্তির নাম শরীফ (৩৪)। তিনি রাজশাহী বেলপুকুর এলাকার আলম মণ্ডলের ছেলে।

স্থানীয় ও রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীগামী দূরপাল্লার একটি বাস আনালিয়াবাড়ী এলাকায় রাতে হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে। পরে বাসটি মেরামত করার সময় কিছু যাত্রী রেললাইনে হাঁটাহাঁটি করছিল। এসময় চিলাহাটিগামী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও এক নারী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে দু’জন সম্পর্কে বাবা-ছেলে। তাদের বাড়ি নাটোরের বড়াই গ্রামে। অপর এক ব্যক্তির শরীফ, তার বাড়ি রাজশাহীর বেল পুকুর এলাকায়। তারা নীলফামারীর চিলাহাটিগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় রতনের স্ত্রী ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছেন। ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়।

;

কক্সবাজারে মেয়র গোল্ডকাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট শুরু

ছবি: বার্তা২৪.কম

মাঠে গড়িয়েছে কক্সবাজার পৌরসভা মেয়র গোল্ডকাপ (আন্তঃ জেলা) ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা।

শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় কক্সবাজার পৌরসভা সংলগ্ন ব্যাডমিন্টন ইনডোর মাঠে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা ব্যাডমিন্টন এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী।

উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ইনডোর এবং মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারে প্রতি বছর জাতীয় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে।

জেলা ব্যাডমিন্টন এসোসিয়েশন আয়োজিত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এহেছান উল্লাহ, কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কক্সবাজার জেলা ব্যবস্থাপক দুলাল চন্দ্র দাশ (দেব), জাতীয় পর্যায়ের সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় বেলাল উদ্দিন চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দিন। ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় আবু নায়েম মোঃ খান পাপ্পুর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়, কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রথমদিনে ৪০ উর্ধ্বে মাঠে নামে হুমায়ুন ও সাইফুদ্দিন বনাম আমির হোসেন ও মাসুদ, দ্বৈত উন্মুক্ততে মাঠে নামে সাদ উদ্দীন ও সাইফুদ্দিন সিরাজী হামিম বনাম মোঃ সায়েম আনোয়ার তুষার ও মাহদী হাসান, মুহাম্মদ আশেক ও মামুন অর রশিদ বনাম মুহিন ও দেলোয়ার হোসেন মানিক, ৫০ বছরের উর্দ্ধে পরাক্রম ও বেলাল বনাম রেজাউল করিম ও জসিম উদ্দিন।

খেলোয়াড়েরা জানান, মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীর কারণে এরকম টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য ধন্যবাদ দেন মেয়রকে।

টূর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে ৫০ টি দল। তারমধ্যে দ্বৈত উন্মুক্ত ২৩টি, একক ১২টি, ৪০ বছরের উর্ধ্বে ১০টি ও ৫০ বছরের উর্ধ্বে ৫টি দল।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *