সারাদেশ

নাইজেরিয়ায় রাজাকে গুলি করে হত্যা, রানিকে অপহরণ

ডেস্ক রিপোর্ট: নাইজেরিয়ায় রাজাকে গুলি করে হত্যা, রানিকে অপহরণ

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ-পশ্চিম নাইজেরিয়ার একটি রাজ্যে প্রাসাদে ঢুকে রাজা সেগুন আরেমুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্দুকধারীরা রাণী ও অপর একজনকে অপহরণ করেছে।

বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাতে এ ঘটনা ঘটে।

বন্দুকধারীদের কারো পরিচয় জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত রানীর মুক্তিপণও দাবি করা হয়নি।

সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।।

বিবিসির প্রতিবেদন বলা হয়েছে, গত বছর মে মাসে বোলা টিনুবু প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশটির ১ হাজার ৮০০’র বেশি মানুষ অপহৃত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার কাছে জরুরি অবস্থা জারির দাবি জানিয়েছে সুশীল সমাজের ৫০টি সংগঠন।

কোয়ারা রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারির দাবির পরেই এ ঘটনা ঘটলো। নিহত রাজা উপাধি ধারণ করা সেগুন আরেমু একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল। তিনি রাজ্যটির প্রথাগত রাজা ছিলেন।

এ হত্যার ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক ও জঘন্য’ উল্লেখ করে নাইজেরিয়ার গভর্নর আব্দুল রহমান আব্দুল রাজ্জাক বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।

দেশটির পুলিশ বলছে, বন্দুকধারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

৮ মাস পর সন্দেহভাজন পায়রাকে মুক্তি দিল ভারত

কবুতর

৮ মাস আগের কথা। ভারতের আরসিএফ (রাষ্ট্রীয় কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্টিলাইজারস)-এর পুলিশ একটি পায়রা খুঁজে পায়৷ চেম্বুরের শহরতলির পীর পাউ জেটিতে পাওয়া যায় তাকে। তবে, সেটি কোনো সাধারণ পায়রা ছিল না। তার পায়ে ২ টি আংটি বাঁধা ছিল। একটি তামার, অন্যটি অ্যালুমিনিয়ামের। এছাড়াও, তার দুই পাখার নিচে বার্তা লেখা কাগজ পাওয়া যায়। তবে, সন্দেহজনকভাবে বার্তাগুলো লেখা ছিল ম্যান্ডারিন ভাষায়।   

চীন এবং ভারতের সম্পর্ক খুব একটা মিত্রতার নয়। তাই দুই দেশ একে অপরের প্রতিপক্ষ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। চাইনিজ ভাষায় লেখা কাগজ সহ কবুতর রহস্যজনক বলে মনে হয়। তাই প্রথম ধাপে, চীনের গুপ্তচর হিসেবে সন্দেহ করা হয় পায়রাটিকে। তাই একে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। এতদিন ধরে পায়রাটির উপর তদন্ত চলছিল।

দীর্ঘ ৮ মাস ধরে আটকে রাখা হয়েছে কবুরতটিকে। পরবর্তীতে জানা যায়, পুলিশের সন্দেহ ভুল। এটি কোনো গুপ্তচর নয়। তাইওয়ানের একটি রেসিং অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল সেই পায়রা। সে ঘটনাক্রমে কোনোভাবে ভারতে উড়ে গিয়েছিল বলে আবিষ্কার করা হয়েছে। তাই পরে পুলিশ অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

চীনের গুপ্তচর বলে সন্দেহ করা একটি কবুতর সম্প্রতি মুম্বাইতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ‘বাই সাকারবাই দিনশ পেটিট হাসপাতাল ফর অ্যানিমালস’ হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে এতদিন ছিল সে। পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। তারপর কবুতরটিকে সুস্থ অবস্থায় ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তথ্যসূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

;

রাখাইনের রাজধানী সিত্তেতে কারফিউ জারি

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তেতে কারফিউ জারি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ থাকবে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেলবেলায় থেকে সিত্তেতে কারফিউ জারির ঘোষণা দেওয়া হয়।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিত্তের এক বাসিন্দা বলেছেন, সিত্তের পৌরসভাগুলো ছাড়াও বেশ কয়েকটি দুর্গম এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। পুরো শহরের অলিগলিতে লাউড স্পিকার এবং হ্যান্ড মাইকে কারফিউর ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়াও যারা রাতে বাইরে বের হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।’

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে সামরিক জান্তার অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এরপর রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র লড়াই শুরু হয় যা এখনও চলমান রয়েছে। এতদিন রাজধানী সিত্তের আশপাশে লড়াই চললেও এখন সিত্তেতে পৌঁছে গেছে আরাকান যোদ্ধারা। রাজ্যটিকে দখলে নিতে মরিয়া আরাকান আর্মি যাদের প্রতিরোধে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে সামরিক জান্তা বাহিনী। বর্তমানে ইয়ো কায়া ব্রিজের নিচে এবং সাউথ কোরিয়া পোর্ট ব্রিজের কাছে অবস্থান নিয়েছেন সামরিজ জান্তার সেনারা।

সিত্তের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা এখন নিয়মিত রাতের বেলা গোলাগুলি এবং সেনাবাহিনীর বিমান ওঠা-নামার শব্দ শুনতে পান। রাতের বেলা সামরিক বিমানের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমান ওঠা-নামার শব্দ শুনতে পান বলে জানান তারা।

;

মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবিরে দাঙ্গা, ১০০’র বেশি রোহিঙ্গার পলায়ন

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় একটি রোহিঙ্গা বন্দিশিবিরে দাঙ্গার পর সেখান থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।

পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় গাড়ির ধাক্কায় একজন মারা গেছেন বলে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পাশাপাশি রোহিঙ্গা মুসলিমরা মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতেও আশ্রয় নেয়। 

বেশিরভাগ রোহিঙ্গা সমুদ্রপথে ঝুঁকি নিয়ে আবার অনেকে থাইল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করে। অবৈধ পথে যাওয়ায় তাদেরকে অনেক সময় বন্দিশিবিরে রাখা হয়। তবে বিভিন্ন অধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের যে পরিবেশে রাখা হয় তা যথাযথ নয়।

২০২৩ সালে অবৈধ পথে সাগর পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার পথে অন্তত ৫৬৯ রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছেন যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। মূলত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ পথে ভ্রমণ করার সময় দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

;

‘২০৫০ সালের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের হার বাড়বে ৭৭ শতাংশ’

ছবি: সংগৃহীত

২০৫০ সালের মধ্যে নতুন করে ক্যান্সার আক্রান্তের হার ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি)।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে আইএআরসি এই পূর্বাভাস দিয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএআরসি জানায়, ২০২২ সালে আনুমানিক ২০ মিলিয়ন নতুন ক্যান্সারের ঘটনা ঘটেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ নতুন করে ক্যান্সার আক্রান্ত হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ক্যান্সার এজেন্সির পূর্বাভাস অনুসারে, বিশ্বব্যাপী নতুন ক্যান্সারের সংখ্যা ২০৫০ সালে ৩৫ মিলিয়নে পৌঁছাবে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭৭ শতাংশ বেশি।  

আইএআরসি পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, ২০২২ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে আনুমানিক ৯ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষর মৃত্যু হয়েছে। ১৮৫ টি দেশে ৩৬ ধরনের ক্যান্সারের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যার প্রভাবে এতো অধিক মানুষের মৃত্যু হয়। সমীক্ষার তথ্যের ভিত্তিতে আইএআরসি তার দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদনের পাশাপাশি ২০৫০ সালের জন্য এমন আভাস দেয়।

প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তাদের জীবদ্দশায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। প্রতি নয়জন পুরুষের মধ্যে একজন পুরুষ এবং ১২ জন নারীর মধ্যে একজন নারী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় বলেও জানায় সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধমান ক্যান্সারের কারণ হিসেবে জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত ঝুঁকিকে দায়ী করছে সংস্থাটি। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাথে সাথে তামাক ও অ্যালকোহল আসক্তিতা বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণ ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ার মূল কারণ বলে উল্লেখ করেছে আইএআরসি। 

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *