সারাদেশ

এস আলম গ্রুপের অর্থপাচার অনুসন্ধানে হাইকোর্টের রুল আপিলে খারিজ

ডেস্ক রিপোর্ট: এস আলম গ্রুপের অর্থপাচার অনুসন্ধানে হাইকোর্টের রুল আপিলে খারিজ

এস আলম গ্রুপের অর্থপাচার অনুসন্ধানে হাইকোর্টের রুল আপিলে খারিজ

এস আলম গ্রুপের বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয় অনুসন্ধানে হাইকোর্ট যে রুল জারি করেছিলেন তা খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

সুবর্ণচরে ভোটের রাতে গণধর্ষণ: ১০ জনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন

নোয়াখালী আদালত

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পছন্দের দলকে ভোট দেওয়ায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে ১৫ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন এবং এক আসামি পলাতক।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সুবর্ণচরের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মো. সোহেল (৩৮), মো. হানিফ (৩০), স্বপন (৪২), মো. চৌধুরী (২৫), ইব্রাহীম খলিল বেচু (২৫), মো. বাদশা আলম বসু (৪০), আবুল হোসেন আবু (৪০), মোশারফ (৩৫), মো. সালাউদ্দিন (৩২), মো. জসিম উদ্দিন (৩২), মো. হাসান আলী বুলু (৪৫), মো. মুরাদ (২৮), মো. জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝি (২৮) ও মো. সোহেল (২৮)। মো. মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮) ঘটনার পর থেকে পলাতক।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী। নির্যাতিত নারীর অভিযোগ ছিল, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জের ধরে ওই হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার পরদিন (৩১ ডিসেম্বর) নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কার হওয়া প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ছালেহ আহম্মদ সোহেল খান বলেন, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। আসামি পক্ষের পাঁচজন সাফাই সাক্ষী প্রদান করে। তবে কোনো সাক্ষীই ভোটকেন্দ্রে পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ায় জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেনি।

;

স্বামীকে আটকে রেখে নারীকে ধর্ষণ, জাবির চার শিক্ষার্থী রিমান্ডে

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে বহিরাগত এক ব্যক্তিকে হল কক্ষে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চার আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আসামিদের ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান। শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডকৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের হাসানুজ্জামান (৪৫তম ব্যাচ), সাগর সিদ্দিকী (৪৬ ব্যাচ) এবং বোটানি বিভাগের সাব্বির হোসেন (৪৭ ব্যাচ)। এরা ৪ জনই ছাত্রলীগের কর্মী ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী। এদের মধ্যে সাগর সিদ্দিকী ছাত্রলীগের হল কমিটিতে সভাপতি পদ প্রত্যাশী ছিলেন।

জাবিতে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ স্বামীকে আটকে রেখে নারীকে ধর্ষণ, জাবির চার শিক্ষার্থী রিমান্ডে রোববার রাত পৌনে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে প্রক্টরিয়াল বডি, হল প্রভোস্ট, হল ওয়ার্ডেনের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে হল থেকে পালাতে সাহায্য করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন জঙ্গলে বহিরাগত ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণে অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ও বহিরাগত যুবক মামুন (৪৫)।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই দম্পতির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন অভিযুক্ত মামুন। এর প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে আনেন তিনি। পরে ক্যাম্পাসে আসলে তাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন অভিযুক্তরা।

এরপর তার স্ত্রীকে দিয়ে নিজের রেখে আসা জিনিসপত্র আনতে বলেন মামুন। মামুনের কথা মতো তার জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী নারী। পরে জিনিসপত্র নিয়ে মামুন হলের ভিতরের ওই কক্ষে রেখে আসেন। এরপর তার স্বামী অন্যদিক থেকে আসবে বলে ওই নারীকে হল সংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

ভুক্তভোগী নারী সাভার থানায় দেওয়া তার এক জবানবন্দিতে বলেন, ‘মামুন ভাই আমাদের বাসায় ভাড়া থাকতো। তিনি আমার স্বামীর মাধ্যমে ফোন দিয়ে আমাকে তার জিনিসপত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসতে বলেন। আমি জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে যাই। তখন তিনি আমাদের বাসায় থাকবেন না বলে জানান। এছাড়া তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলের মোস্তাফিজ ভাইয়ের কাছে থাকবে বলেও জানান।’

ভুক্তভোগী সেই নারী বলেন, ‘এরপর মামুন আমার কাছ থেকে তার জিনিসপত্রগুলো নিয়ে হলে রেখে আসে। পরে আমার স্বামী অন্যদিকে থেকে আসবে বলে আমাকে হলের সামনে থেকে পাশের জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যায়। তার সাথে মোস্তাফিজ ভাইও ছিল। তখন তারা আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে’।

;

এফআর টাওয়ারে আগুন অধিকতর তদন্তেও অভিযুক্ত ৮ জন

ছবি: সংগৃহীত

বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিহতের ঘটনায় পিবিআইও অধিকতর তদন্ত করে সেই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে।

এবারও লিয়াকত আলী খান মুকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত পিবিআই এর দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- এফআর টাওয়ার ভবনের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকা এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভিরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর রহমান, মিসেস ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুল নবী ও রফিকুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে ফারুক জমির মূল মালিক। বিএনপি নেতা তাজভীরুল ইসলাম ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। অপর ছয়জন ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্য।

আসামিদের মধ্যে মনিরুজ্জামান, মাহমুদুল নবী, সেলিম উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম ও ওয়ারদা ইকবাল পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামি ১২ মার্চ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম এসব তথ্য জানান।

২০১৯ সালের ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে ১ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন ৭১ জন। ওই ঘটনায় বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত ৩০ মার্চ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

ঘটনার প্রায় তিন বছর ৯ মাস পর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সমীর চন্দ্র সূত্রধর।

তবে লিয়াকত আলী খান মুকুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

২৭ ডিসেম্বর মামলাটির ধার্য তারিখ ছিলো। ওই দিন চার্জশিটটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ না করে মামলাটি পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

;

মোটরসাইকেল চুরি মামলায় দুই ইউপি সদস্য কারাগারে

ছবি: সংগৃহীত

গাজী নোমান নামে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরি মামলায় ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সদস্য আলী আশ্রাফ সোহেল ও আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম কিবরিয়া শামীমের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত এ নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর সোনাগাজী পৌরসভার রাকিব প্লাজার সামনে থেকে গাজী নোমান নামে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ভুক্তভোগী নোমান আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইউপি সদস্য গোলাম কিবরিয়া শামীম ও আলী আশ্রাফ সোহেল এবং ফেনী সদর উপজেলার দক্ষিণ ফরহাদনগরের মৃত আলি আহম্মদের ছেলে মিন্টু মিয়াসহ আরো তিনজনকে আসামি করা হয়।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সালেহ উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেন, মামলাটি প্রথমে পিবিআই তদন্তের পর বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনরায় তদন্ত করে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। পরে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম সরকার মামলাটি তদন্ত করে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় দুই ইউপি সদস্য ও আরো তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

তিনি জানান, আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। বৃহস্পতিবার সকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে দুই ইউপি সদস্য জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল হক হিরণ বলেন, ইউপি সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি শুনেছি। তবে এটি যেহেতু আদালতের বিষয়, আমার কিছু বলার নেই।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *