আন্তর্জাতিক

বাস্তুচ্যুতদের শেষ আশ্রয়স্থল রাফাতে স্থল হামলার পরিকল্পনা ইসরায়েলের

ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাদের স্থল হামলা দক্ষিণ গাজার রাফা’য় সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা করেছে, যেখানে অবরুদ্ধ ছিটমহলের বেশিরভাগ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের স্থল হামলার পরিকল্পনার খবর বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়েছে এবং বৈশ্বিক সাহায্য সংস্থাগুলোর উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

কারণ, গাজায় নিরাপদ অঞ্চল হিসাবে মনোনীত এই শেষ স্থানটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পরিকল্পনার দ্বারা হুমকির মুখে পড়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘হামাস সংগঠনের খান ইউনিস ব্রিগেড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমরা সেখানে মিশন শেষ করব এবং রাফাতে চালিয়ে যাব। আমরা শেষ অবধি চালিয়ে যাব, কারণ অন্য কোনও উপায় নেই।’

গাজার ২.৩ মিলিয়ন বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ১.৯ মিলিয়ন মিশরের সীমান্তের কাছে রাফাতে আটকে আছে।

আল জাজিরার হানি মাহমুদ শুক্রবার রাফাহ থেকে জানিয়েছেন, সেখানে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর শৌচাগার এবং পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানিসহ মৌলিক বিষয়ের অভাব রয়েছে। তারা কোনও কম্বল বা উপযুক্ত পোশাক ছাড়াই দিন পার করছে, যা তাদের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে।

মাহমুদ বলেছেন, গ্যালান্টের বিবৃতি রাফাহতে আতঙ্কের মাত্রা বাড়িয়েছে। কারণ, বাস্তুচ্যুতদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। এটিই গাজায় ফিলিস্তিনিদের শেষ আশ্রয়স্থল।।

রাফাহতে আশ্রয় নেওয়া ৫৫ বছর বয়সি ব্যবসায়ী এবং ছয় সন্তানের বাবা এমাদ রয়টার্সকে বলেছেন, ‘যদি ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক আসতে থাকে তবে আমাদের কাছে দুটি বিকল্প থাকবে। সেটি হলো মারা যাওয়া অথবা মিশরে প্রবেশ করা।’

মাহমুদ বলেন, ‘গ্যালান্ট বলেছে জয় সম্পূর্ণ হবে না যতক্ষণ না সামরিক বাহিনী রাফাতে বিস্তৃত হয়। ফিলিস্তিনিদের জন্য এর মানে আরেকটি গণহত্যা।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *