সারাদেশ

কঠিন প্রশ্ন করায় পদত্যাগপত্রে শিক্ষকের স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: কঠিন প্রশ্ন করায় পদত্যাগপত্রে শিক্ষকের স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় অবস্থিত আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পীযুষ কান্তি পালকে প্রধান শিক্ষকের রুমে আটকে রেখে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে পটিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।

সাধারণ ডায়েরিতে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য শফিউল আক্তার (৪৮), রাশেদ হোসেন খাদেমী প্রকাশ বাহার (৫০), মো. নাছির উদ্দিন (৪৮), তৌফিক ইবনে সালামসহ (৪৯) অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

সাধারণ ডায়েরিতে শিক্ষক পীযুষ কান্তি পাল লিখেছেন, বর্ণিত বিবাদীরা আমার বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য। ২০২৩ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় যে সব ছাত্ররা ৫-৮টি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে তাদের পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গত ২১ জানুয়ারি হতে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অকৃতকার্য ছাত্রদের কাছ থেকে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষার প্রথম দিন অর্থাৎ গত ২১ জানুয়ারি বর্ণিত বিবাদীদের সম্মুখে তৈরিকৃত প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে বলে মনে করে অকৃতকার্য ছাত্ররা আবারও অকৃতকার্য হবে বলে মন্তব্য করে। এতে ওই অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিকভাবে নালিশ করে। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমার কাছে লিখিত কৈফিয়ত তলব করে। আমি কৈফিয়ত তলবের জবাব দিলেও প্রধান শিক্ষক গ্রহণ করেননি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ ঘটনার পর থেকে বিবাদীরা আমাকে বিদ্যালয় থেকে পদচ্যুত করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক পৌনে ১০টায় আমি আমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের অফিস কক্ষে গিয়ে বিবাদীদের সাথে বিরোধটি নিস্পত্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে বিকালে তাদের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করিয়ে দেবে বলে আশ্বস্ত করেন।

প্রধান শিক্ষকের কথামতো রোববার দুপুর আনুমানিক ২টায় তার অফিস কক্ষে বিবাদীদের সাথে কুশল বিনিময় করি। একপর্যায়ে তারা হঠাৎ করে অফিসের দরজা বন্ধ করে তাদের তৈরি করা পদত্যাগপতত্রে স্বাক্ষর করতে আমাকে বাধ্য করে। আমি তাদের ভয়ে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হই।

পরবর্তীতে তারা আবারও আমার হাতে লেখা পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার জন্য বাধ্য করে। আমি নিরূপায় হয়ে নিজ হাতে পদত্যাগপত্র লিখে জমা দিতে বাধ্য হই। ওই সময়ে তারা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। আমাকে হুমকি প্রদান করে তারা বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে কাউকে জানালে বা মামলা মোকদ্দমা করলে সময় ও সুযোগমত আমার বড় ধরণের ক্ষতি করবে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন বলেন, স্কুলের সহকারী শিক্ষক পীযুষ কান্তি দে রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মরা গরুর মাংস বিক্রয়ের অভিযোগে দুই কসাই জনতার হাতে ধরা

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

যশোরে মরা গরুর মাংসসহ দুই কসাই জনতার হাতে ধরা পড়েছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির স্থানীয় রেলস্টেশন সংলগ্ন কলাবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

কসাইরা হলেন, যশোর শহরের পুরাতন কসবা লিচুবাগান এলাকার আব্দুল গনির ছেলে তরিকুল ও টালিখোলার বাবু। তারা পালবাড়ি মোড়ে দেশি এড়ে গরু হিসেবে মাইকিং করে ৬শ’ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করে থাকেন। তবে কসাই তরিকুল দাবি করেছেন, মরা নয় তারা রুগ্ন গরু জবাই করেছেন।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় পালবাড়ির এলাকার কয়েকজন কসাই চুড়ামনকাটি রেলস্টেশনের পাশের একটি কলাবাগানে মরা গরু জবাই করেছেন বলে জানতে পারে। পরে তারা জোটবদ্ধভাবে সেখানে গিয়ে মাংসসহ কসাই তরিকুল ও বাবুকে ধরে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।

এই বিষয়ে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন জানান, সন্ধ্যায় মরা গরুর মাংস দাবি করে এলাকাবাসী দুই কসাইকে ধরে আনে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি তিনি প্রশাসনকে জানান। রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ না আসার কারণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

কসাই তরিকুল ইসলাম জানান, মরা নয় তারা রুগ্ন গরু জবাই করেছেন। কিন্তু এলাকাবাসী মরা গরুর মাংস হিসেবে তাদের ধরে আনে। সন্ধ্যায় কলা বাগানে গরু জবাই করলেন কেনো জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

স্থানীয় সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) সেলিম হোসেন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই।

যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস জানান, ঘটনাটি চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন তাকে মুঠোফোনে অবহিত করেন। মাংসসহ কসাইদের কোতোয়ালি পুলিশে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

;

মর্টার শেল বিস্ফোরণে নিহত ২ জনকে কক্সবাজার হাসপাতাল মর্গে আনা হয়েছে

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

মিয়ানমার জান্তার মর্টারশেল বাংলাদেশের ভুখণ্ডের বসতবাড়িতে বিস্ফোরণে নিহত দু’জনের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় পুলিশ পাহারায় মরদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হয়।

নিহতরা হলেন- ঘুমধুমের জলপায়তলী সীমান্তের বাদশা মিয়ার স্ত্রী হুসনে আরা (৫০) ও তাদের বাড়িতে কাজ করা নবী হোসেন (৬৫) নামের এক রোহিঙ্গা।

ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবু সায়েম এবং পাভেল মল্লিকের পাহারায় দু’জনের মরদেহ মর্গে নিয়ে আসা হয়।

উপপরিদর্শক আবু সায়েম এবং পাভেল মল্লিক বলেন, আমরা স্যারদের নির্দেশনায় মরদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে এসেছি। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে জলপায়তলী সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমার জান্তার মর্টারশেল বাংলাদেশের ভুখণ্ডের বসতবাড়িতে বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হয়।

;

পাসপোর্ট অফিসে সার্ভার ত্রুটি, ভোগান্তিতে সেবাগ্রহীতারা

ছবি: সংগৃহীত

মোহাম্মদ ফাহিম উদ্দিন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। প্রবাস ফেরত এই যুবক পাসপোর্টের ভুল সংশোধন করে নতুন করে আরেকটি পাসপোর্ট পেতে আবেদন করেছেন চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। পাসপোর্টটি প্রস্তুত হয়েছে জানিয়ে সেটি সংগ্রহ করতে ফাহিমের মোবাইলে মেসেজও আসে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পাসপোর্টটি সংগ্রহ করতে আসেন তিনি। কিন্তু পাসপোর্ট অফিসে  এসে শোনেন ‘সার্ভার কাজ করছে না। চলে যান, আজকে হবে না।’

শুধু ফাহিম নন, এদিন পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসা সব ধরনের গ্রাহককেই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর হঠাৎ এমন ঘোষণা শুনতে হয়েছে। আগেভাগে সার্ভার জটিলতার বিষয়টি গ্রাহকদের না জানানোয় প্রায় সবাই ভোগান্তিতে পড়েন। পরে হতাশা নিয়ে তাঁদের ফিরতে হয়।

জানা গেছে, এদিন সকাল ৯টা থেকেই সার্ভারের জটিলতার কারণে পাসপোর্টের আবেদন থেকে ডেলিভারি বন্ধ আছে সব সেবা। এসময় নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী-পুরুষ ও বৃদ্ধসহ সব বয়সী সেবাগ্রহীতারা দীর্ঘক্ষণ পাসপোর্ট অফিসের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেও কোন ধরণের সেবা নিতে পারিনি। একসময় বিরক্ত হয়ে ফিরে যায় তারা।

এদিন দুপুর ১২টার পরে অফিসটির বাইরে গেটে তারিখ সময়বিহীন একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে বলা করা হয়, ‘সার্ভার জটিলতার কারণে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সকল কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।’

ফাহিম উদ্দিন নামের ওই ভুক্তভোগী বার্তা২৪.কমকে বলেন, অফিস থেকে ছুটি নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে আসছি। এসে দেখি অনেক মানুষ লাইলে দাঁড়িয়ে। যারা এসেছেন কেউ কোনো কাজ করতে পারেনি। ওখানে থাকা আনসার-পুলিশরা সবাইকে বলছে, সার্ভারে সমস্যা। আজকে কাজ হবে না, চলে যান। ঢাকা থেকে লোক আতেছে সার্ভার ঠিক করতে। ঠিক হলে পরে কাজ করা যাবে। এসব শুনে পরে দুপুরে চলে আসছি। তারা যদি এটি আগে জানিয়ে দিত। তাহলে মানুষের কষ্ট হত। যেমন একটি ফেসবুকে নিজস্ব পেজ করেও তো জানানো যায়। সেটিও পাইনি খোঁজে।

সেবা নিতে আসা আরও এক গ্রাহক জানান, অনেক দূর থেকে আসছি। এভাবে এসে ফিরে যেতে হবে ভেবে কষ্ট হচ্ছে। আনসার সদস্যরা বলছেন সার্ভারে কি যেন সমস্যা তাই আজ সব কার্যক্রম বন্ধ। আগামীকাল আসতে বললো। তবে নিশ্চয়তা নেই কাজ হবে কিনা।

অফিসের পাশেই একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ব্লাস্ট হওয়ায় সার্ভারের যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন এদিন দায়িত্ব পালন করা এক পুলিশ সদস্য। তিনি জানান, সকাল ৯টা থেকেই বন্ধ আছে পাসপোর্ট অফিসের সেবা প্রদান। ঢাকা থেকে সার্ভার ঠিক করতে লোকজন আসছেন। তারা এলে ঠিক করবেন।

এ বিষয়ে জানতে পাঁচলাইশ পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক তারিক সালমানকে কল করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

;

নিজের অস্ত্রেই গুলিবিদ্ধ পুলিশ কনষ্টেবল

ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে মৎস্য বিভাগের সাথে অভিযানে গিয়ে নিজের শর্টগানের গুলিতে বিদ্ধ হয়েছে এক পুলিশ কনষ্টেবল। আহত পুলিশ কনষ্টেবলের নাম মো. কায়সার আহমেদ।

সোমবার( ৫ জানুয়ারী) উপজেলার চর শেফালী নলচর খালের মুখে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন মেহেন্দিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন।

পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন বলেন, নদীতে অবৈধ জাল দিয়ে জাটকা শিকার বন্ধে চালানো অভিযানে তাদের সহায়তায় গিয়েছিলো মেহেন্দিগঞ্জ থানার পুলিশের একটি দল।

তিনি আরও জানান, অভিযানের সময় কনষ্টেবল কায়সার তার সাথে থাকা শর্টগানের গুলি লোড করতে যায়। অসাবধানতাবশত সেই গুলি বাম পায়ের বুট ভেদ করে আহত হয় কায়সার। পরে তাকে প্রথমে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ঢাকা পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *