শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘সেইফ ফুড কার্নিভাল’
ডেস্ক রিপোর্ট: উৎপাদনকারী ও ভোক্তাদের মধ্যে নিরাপদ খাদ্যের বার্তা পৌঁছে দিতে ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে প্রথমবারের মতো রাজধানীতে শুরু হচ্ছে তিন দিনের ‘সেইফ ফুড কার্নিভাল’।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ কক্ষে ‘সেইফ ফুড কার্নিভাল-২০২৪’ সম্পর্কে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া তিন দিনের এ সেইফ ফুড কার্নিভাল চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, দেশব্যাপী নিরাপদ খাদ্যের বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি সেইভ ফুড কার্নিভাল করার। সেখানে খাদ্য পরিবেশন, উৎপাদনসহ সবকিছুই যাতে নিরাপদ হয় সেটাই ইন শিওর করা মূল উদ্দেশ্য।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ যেভাবে তাদের কাজগুলো পরিচালনা করে তার মধ্যে সবথেকে প্রায়োরিটি হলো অ্যাওয়ারনেস বিল্ডাপ বা জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। জনগণ এবং খাদ্য উৎপাদকদের মধ্যে নিরাপদ খাদ্যের গুরুত্বের বার্তাটা পৌঁছে দেয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। এই বার্তাটা সকলের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই আমরা এই কার্নিভালটা আয়োজন করতে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি যাতে নিরাপদ খাদ্যের গুরুত্বটা আমরা সবার মধ্যে পৌঁছে দিতে পারি। বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাকারিকুলাম এর মধ্যে আমরা এই নিরাপদ খাদ্যের বার্তাটা অন্তর্ভুক্তির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন খাদ্যপ্রতিষ্ঠানের খাবার উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানিতে কী ধরনের নিরাপত্তা বজায় রাখে, তা জনসাধারণকে জানানো এবং প্রতিষ্ঠাগেুলোর মধ্যে আন্ত:সমন্বয় বাড়াতে এ কার্নিভাল আয়োজন করছে বিএফএসএ। এই কার্নিভালে ঐতিহ্যবাহী খাবারসহ পাঁচ তারকা হোটেল এবং বৃহৎ ও ক্ষুদ্র বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান খাদ্যপণ্য প্রদর্শন করবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে থাকবে, আকিজ, প্রাণ, কোকাকোলা, ফিনলে, বেঙ্গলমিট, ইউনিলিভার, নেসলে, ডমিনোজ, আবুল খায়ের, স্কয়ার।
মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে থাকবে বনফুল, ওয়েলফুড, প্রিমিয়াম সুইটস, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার, বনলতা সুইটস, ভাগ্যকূল, ব্রেড এন্ড বিয়ন্ড, সুমি’স হট কেক, ননী।
ফাইভ স্টার হোটেলগুলোর মধ্যে থাকবে হলিডে ইন, ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ক্রাউন প্লাজা, প্যান প্যাসিফিক, ঢাকা রিজেন্সী, হোটেল আমারি।
ঐতিহ্যবাহী খাবার: কক্সবাজারের শালিক, মুক্তাগাছার মন্ডা, রাজশাহীর কালাই, কুমিল্লার মাতৃভান্ডার, বগুড়ার দই, চট্টগ্রামের মেজবান।
রেস্টুরেন্ট: কেএফসি, পিৎজা হাট, হারফি, বার্গার কিং, সুলতানস ডাইন, কাচ্চি ভাই। এছাড়াও থাকবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন খাবার।
এই কার্নিভাল ঘিরে তিন দিনের আয়োজনে যা থাকছে:
৮ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকার খাবার নিয়ে আঞ্চলিক বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
৯ ফেব্রুয়ারি শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ডমিনোজ পিৎজা কর্তৃক লাইভ পিৎজা প্রদর্শনী, আন্তর্জাতিক কুইজিন প্রদর্শনী, ম্যাজিক শো, চিত্রনায়ক ফেরদৌসের নেতৃত্বে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সেলিব্রিটি বার্তা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় জিআই পণ্য এবং অর্গানিক ফুডের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার।
১০ ফেব্রুয়ারি পিঠা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা কুইজিন প্রদর্শনী, বিশেষ আকর্ষণ, পুতুল নাচ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোক্তাদির।
এ সময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসের) সদস্য নাজমা বেগম ড. মোহাম্মদ সোহেব এবং সচিব আব্দুল নাসের খান।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।