সারাদেশ

মিশরের রাষ্ট্রদূতের সাথে স্পীকারের সাক্ষাৎ

ডেস্ক রিপোর্ট: মিশরের রাষ্ট্রদূতের সাথে স্পীকারের সাক্ষাৎ

মিশরের রাষ্ট্রদূতের সাথে স্পীকারের সাক্ষাৎ

জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহিম এলদিন আহমেদ ফাহমি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের নিজ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত।

এ সময় দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন তার। দুই দেশের সংসদীয় সম্পর্ক, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, সংসদীয় কার্যক্রম ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

সাক্ষাৎ শেষে স্পিকার বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাংলাদেশ-মিশর সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন করবে। মৈত্রী গ্রুপ উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মৈত্রী গ্রুপ গঠনের ফলে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সংসদ সদস্যগণের সফর ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে দু’দেশ উপকৃত হবে।

তিনি বলেন, মিশর বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে মিশরের ঐতিহাসিক সম্পর্কের বিষয়টি স্মরণ করে তিনি বলেন, মিশরের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতেও দু-দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, মিশর আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। মিশর ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে হচ্ছে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির সাথে মিশরের অনেক মিল রয়েছে। এ সময় তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদকে মিশরের পাশে থাকার জন্য আন্তরিক অনুরোধ করেন।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পীকার হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি’কে অভিনন্দন জানান।

এ সময় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

জনসম্পৃক্ততা সবার চেয়ে এগিয়ে ইকরামুল হক টিটু

ইকরামুল হক টিটু

সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, যে কারো ডাকে সাড়া দিয়ে নাগরিকের বিপদ-আপদে পাশে থাকেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।

আগামী ৯ মার্চের দ্বিতীয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও মেয়র পদপ্রার্থী তিনি। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা নিয়েও সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ছিলো তার। তবে একজন প্রার্থী হিসেবে ইকরামুল হক টিটুর জনসম্পৃক্ততা এবং সকল নাগরিককে নিজের মানুষ হয়ে উঠতে পারাকেই নির্বাচনের মাঠে তার সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

অফিস, বাসা বা চলার পথে ময়মনসিংহ শহরের যেকোন স্থানে ইকরামুল হক টিটুর সঙ্গে দেখা করা যায়। তিনি সকলের কথা মন দিয়ে শোনেন, সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করার চেষ্টা করেন। তার এই প্রচেষ্টার মধ্যে আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নাগরিকদের কখনো চোখে পড়ে না।

নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে করোনা মতোর ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে নিজের জীবনের মায়া না করে দায়িত্ব পালন করেছেন ইকরামুল হক টিটু। এ বিষয়টিও ভোটে প্রভাব রাখবে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ সে সময়ে মেয়র টিটু ছাড়া অন্য জনপ্রতিনিধিদের কার্যক্ষেত্রে খুব একটা দেখতে পায়নি নাগরিকগণ।

ইকরামুল হক টিটুকে তার মেয়াদকালে করোনা মহামারি ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করে সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে নিতে হয়েছে। তার সময়ে সিটি করপোরেশনের আধুনিক সড়কবাতি স্থাপনে ৪৯ কোটি টাকা, সড়ক উন্নয়নে ৪৮ কোটি টাকার কাজ শেষ হয়েছে এবং ১৫৭৫ কোটি টাকার সড়ক ড্রেনসহ অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

চলমান এসব সড়ক ও ড্রেন নির্মাণ কাজ নগরবাসীর স্বাচ্ছন্দে সাময়িক অসুবিধা তৈরি করলেও, কাজগুলো শেষ হলে শহরের যোগাযোগ ও ড্রেনেজ অবকাঠামোর ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হবে।

মেয়র ইকরামুল হক টিটু জানান, ১৫৭৫ কোটি টাকার প্রকল্পে ৩০০ কোটি টাকার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আরও প্রায় ১২শত কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হবে। এসব কাজ শেষ হলে শহর জনগণের প্রত্যাশাকে পূরণ করতে অনেকটাই সমর্থ হবো।

;

অর্থনীতির আরও প্রসার ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি: বার্তা২৪.কম

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আগামী বছর থেকে আন্তর্জাতিকভাবে অর্থনীতির আরও প্রসার ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে দেশের পণ্য যাতে বিশ্ব বাজারে পাঠানো সহজ হয় সেজন্য প্রতিনিধি দলকে বাণিজ্য মেলায় পাঠাতে রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘ব্রান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক বিজনেস সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে বাংলাদেশের নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে চাই আমাদের পণ্য নিয়ে। বাণিজ্য মেলা সেখানে বড় সুযোগ তৈরি করে দেয়। মেলায় বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীসহ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য একইসঙ্গে স্থান পাওয়ায় বিদেশি ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদার পণ্য সহজে খুঁজে নিতে পারেন।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক বৈশ্বিক যোগাযোগ অব্যাহত আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রবেশের পথ সুগম হবে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহ-সভাপতি এএইচএম আহসানেরর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগে. জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, বিজিএমইএর চেয়ারম্যান ফারুক হাসান, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব বিবেক সরকারসহ দেশের ব্যবসায়ী অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ।

;

বেনাপোলে ৯ পলাতক আসামি গ্রেফতার

বেনাপোলে ৯ পলাতক আসামি গ্রেফতার

যশোরের বেনাপোল সীমান্তে অভিযান চালিয়ে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ ৯জন গ্রেফতারি পরওয়ানা ভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশেষ এ অভিযান পরিচালনা করে বন্দর থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, কোরবান আলী (৪৫), জাহিদুল ইসলাম, ইমরান (২৪), সোহেল শেখ (২৬) শাওন, আনিছুর রহমান (৩৫), আবুল বাশার (৩৮), আলমগীর হোসেন (২৮) ও মিরাজ (২১)। গ্রেফতারকৃতদের সকলের বাড়ি বেনাপোল বন্দর থানা এলাকায়।

বেনাপোল পোর্ট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সুমন ভক্ত আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

;

দখলকৃত বনভূমি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে দখলকৃত বনভূমি উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এক প্রশ্ন জবাবে তিনি একথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশের মোট আয়তনের ১৫.৫৮ শতাংশ এলাকায় বনভূমি রয়েছে। বন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ ১০.৭৪ শতাংশ। দেশের বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জবরদখলকৃত বনভূমি উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বনভূমি জবরদখলের বিপরীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং এযাবৎ জেলা প্রশাসনে প্রেরিত ৭ হাজার ৩৭৬টি উচ্ছেদ প্রস্তাব, জেলা প্রশাসন কর্তৃক রুজুকৃত উচ্ছেদ মামলা ১৩টি, নিম্ন আদালতে দেওয়ানী মামলা ৮৫২টি, উচ্চ আদালতে রিট মামলা ১২২টি, উচ্চ আদালতে আপিল/মিস মামলা ৮৭টি, পিওআর মামলা ৭ হাজার ৫৩২টি ও অন্যান্য ব্যবস্থায় ৬ হাজার ১৩০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বন অধিদপ্তরের নিজস্ব উদ্যোগে ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬ হাজার ৪৭৪.০৭ একর জবরদখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধারপূর্বক বনায়ন করা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৮ হাজার ২০০ একর জবরদখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধার করে বনায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সরকারের এসডিজি এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫) বাস্তবায়নে বন অধিদপ্তর কর্তৃক দেশব্যাপী বনাচ্ছাদন ও বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ ২০২৫ সালের মধ্যে যথাক্রমে ১৫.২ এবং ২৪ শতাংশে উন্নীত করা হবে। উক্ত পরিকল্পনার আওতায় শালবনের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে ৭ হাজার ২২০ হেক্টর সমতলভূমি এবং ১ লাখ ৩০ হাজার ৫৮০ হেক্টর পাহাড়ি অরক্ষিত বনভূমিতে বনায়ন, ৫০০ হেক্টর আগর বাগান; ১৫ হাজার কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে অংশীদারিত্বমূলক বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাছাড়া বনায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৪৯৮.৫ হেক্টর ব্লক ও ১ হাজার ৭০১ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান এবং ৯হাজার ৪০৫ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজন করা হয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *