আন্তর্জাতিক

মিয়ানমার সংকটে কোন পথে যাবে বাংলাদেশ, জানালেন ড. সাহাব এনাম

ডেস্ক রিপোর্ট: মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে দেশটির জান্তাশাসিত সরকারের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপের যে অভ্যন্তরীণ সংঘাত চলছে তার আঁচ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশেও এসে পড়ছে। গতকাল সোমবার রাখাইনের অভ্যন্তরনের সংঘাতে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমঘুমে ২ জন নিহত হওয়ার পরদিন আজ মঙ্গলবারও (৬ ফেব্রুয়ারি) এক কৃষক গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর এসেছে গণমাধ্যমে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতময় এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বাতলে দেওয়া তত্ত্বে নির্ভর না করে বাংলাদেশকে নিজস্ব বহুমাত্রিক পলিসিতে এগুতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান।

মিয়ানমারের পূর্বাপর সংকট নিয়ে গবেষণা করে আসা এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ মনে করেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যে সংকট বাংলাদেশ মোকাবেলা করছে সেখানে বিদ্রোহীদের সঙ্গেও বাংলাদেশকে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ চালিয়ে যেতে হবে। রাখাইনে স্থিতিশীলতা এলেই কেবলমাত্র প্রত্যাবাসন শুরু করার প্রক্রিয়াটি এগিয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।

বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান। কথা বলেছেন পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।

বার্তা২৪.কম: মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত তীব্র ক্রমেই তীব্র হচ্ছে, এর আঁচ বাংলাদেশেও এসে পড়ছে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াচ্ছে বলে আপনি মনে করেন…

অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান: সংকট দিনকে দিন আরও জটিল হচ্ছে। এটি আগে থেকেই জটিল ছিল। সেখানে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এখন বড় রকমের অরাজক অবস্থা তৈরি করেছে। আমাদের এখানে একটি বদ্ধমূল ধারণা আছে যে মিলিটারি বোধহয় বিদায় হলো। এটার সম্ভাবনাটা একটু কম, এ কারণে যে দেশটির জনসংখ্যার সিংহভাগই বামা। তাদের একটা বড় রকমের ইনফ্লুয়েন্স আছে মিলিটারির ওপরে, আবার মিলিটারিও ইনফ্লুয়েন্স আছে বামার জনগোষ্ঠির ওপরে। সুতরাং বামার একটা বড় জনগোষ্ঠিই কিন্তু তাদেরকে সাপোর্ট করে। এখন হয়ত তাদের সাপোর্টে একটু ভাটা পড়তে পারে, কিন্তু ভাটা পড়লেও মিলিটারির একটা শক্ত অবস্থান থাকবে। একটা পর্যায়ে গিয়ে মিলিটারি এথনিক আর্মগ্রুপগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন নেগোসিয়েশন করবে যাতে তাদের অবস্থানটা বজায় থাকে। তাই বর্তমানে যে অবস্থাটি তা অতীতেরই আরেকটি নতুন ফেস। কিন্তু মুশকিলটা হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে শুধু ট্রাডিশনাললি মিয়ানমারের ওপর ডিপেন্ড করছে, মানে তাদের যে বৈধ সরকার তাদের সঙ্গে। ফলে বাংলাদেশে …ওভারথিংকিং মানে- চায়না কি ভাববে, ভারত কি ভাববে, আমেরিকা কি করবে-ইত্যাদি বিচিত্র রকমের চিন্তা ভাবনা করে আসছে। যার ফলে আমরা আসলে খুব একটা কংক্রিট রেসপন্সে যেতে পারিনি। এখন যে জিনিসটি বাংলাদেশকে করতে হবে তা হচ্ছে দ্বিপাক্ষিকভাবে বিষয়টি দেখতে হবে। প্রথম কথা হচ্ছে, দেশটির জান্তা সরকার কখনও বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগীতা করবে না। এরা চীনের মাধ্যমে হোক, আমেরিকার-ভারত বা জাপানের মাধ্যমে হোক, মিয়ানমার হয়ত নামমাত্র কিছু রোহিঙ্গাকে ফেরত নিয়ে যাবে। এর বাইরে আর কিছু করবে না। যেহেতু সে একটা প্রেশারে আছে, কিছু একটা টোকেন রোহিঙ্গাকে নিয়ে দেখাবে, কিন্তু এর ভবিষ্যত কিছু হবে না। মিয়ানমারের আন্তরিকতা বা জেনুইন কমিটমেন্ট নেই। যেহেতু রাখাইনে পুরো সিচুয়েশনটা বদলে যাচ্ছে সেই ক্ষেত্রে এই তাতমাদোর (দেশটির সেনাবাহিনী এই নামে পরিচিত) সঙ্গে অন্যান্য যে অর্গানাইজেশনগুলো আছে, আরাকান আর্মি, পিডিএফ বা অন্য অর্গানাইজেশনগুলোও একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যদি মিয়ানমারের সরকার রিপ্যাট্রিয়েশনও (প্রত্যাবাসন) করে সেইটাও সম্ভবত আরাকান আর্মির মতো যে গ্রুপগুলো আছে তারা মেনে নেবে না। ফলে প্রত্যাবাসন কিছু মানুষ করলেও সেটা কোন সাসটেইনেবল রিপ্যাট্রিয়েশন হবে না। বাংলাদেশ সরকারকে তাহলে ভাবতে হবে, আমরা যে এত জিওপলিটিক্যাল চিন্তাভাবনা করছি তাতে মনে রাখা উচিত- প্রত্যেকটা রাষ্ট্রই তাদের ন্যাশনাল ইন্টারেস্টে আরাকান আর্মির মতো গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াবে বা কমাবে। আমরা যদি ওই চিন্তা করে বসে থাকি, তারা কখন বাড়াবে বা কমাবে তাহলে আমাদের কোন কিছু আগাবে না। বাংলাদেশকে এখন চিন্তা করতে হবে যে নতুন যে গোষ্ঠীগুলো এসেছে তাদের সঙ্গে সরকারের কি সম্পর্ক হবে। সেই জায়গাতে আমাদের ফোকাস করতে হবে। এখানে খুব বেশি চায়না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এসব চিন্তা করার দরকার নেই। 

বার্তা২৪.কম: সম্প্রতি অনেকে এও বলছেন, সরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি বিদ্রোহীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা উচিত…

অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান: ঠিক, এটার কোন বিকল্প তো নাই। আরাকানের ওপর জান্তা সরকারের দখলটা অনেক কমে গেছে। এটা বলা ভুল হবে যে তাদের শতভাগ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে, যদিও তাদের প্রভাব ক্রমেই অনেক নিম্নগামী হচ্ছে। সরকারের প্রভাব যখন কমে যাবে স্বাভাবিকভাবে বিদ্রোহীদের প্রভাব বাড়বে। সুতরাং আমাদের প্রত্যাবাসন করতে গেলে তো ওরাও একটা ফ্যাক্টর। সেটাকে আপনি কিভাবে ডিল করবেন? সেটাকে তো এখন আমাদের ভাবতে হবে। সেই জায়গাতে আমাদের এখন অনেক কাজ করার আছে। সরকারকেই সেই কাজটা এগুতে হবে।

বার্তা২৪.কম: জাতিসংঘ কিংবা অন্যান্য যেসব আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক সংস্থাসমূহ আছে, তাদের কোন ভূমিকা সহায়ক ফল বয়ে আনতে পারে কি? 

অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান: আমি মনে করি না, সেটা খুব ফলপ্রুসু হবে আমাদের জন্য। আমাদের জন্য এটি ফলপ্রুসু হবে না এজন্য যে, যেসব রিজিওনাল অর্গানাইজেশন আছে সেগুলো উচ্চ নিরাপত্তা ইস্যু দেখে, সমাধানের দিকে গুরুত্ব কম দেয়। যে কারণে উপ-আঞ্চলিক বা আঞ্চলিক ইন্সটিটিউশনগুলো আমাদের জন্য এ ক্ষেত্রে কাজে লাগবে না। কারণ এখানে ভারতের একটা ইন্টারেস্ট থাকবে, থাইল্যান্ডের আরেকটা ইন্টারেস্ট আছে, মায়ানমার নিজে পার্ট, সার্ককে আমরা মবিলাইজ করতে পারি না। অন্য যেসব আছে বিবিআইএন ইত্যাদি নো ডিফরেন্স। বাংলাদেশের বেইজিং, টোকিও, ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি-একং ইউরোপিয় দেশগুলোর সঙ্গে বিস্তর আলোচনায় যেতে হবে যাতে রাখাইনকে কিভাবে স্থিতিশীল করা যায়। রিপ্যাট্রিয়েশন (প্রত্যাবাসন) তখনই হবে যখন স্থিতিশীলতা থাকবে। স্থিতিশীলতা ছাড়া রিপেট্রিয়েশন করবে কি করে? এখানে পজিশনটা ভেরি ক্লিয়ার। রাখাইনকে স্টেবিলাইজ করতে হবে, সারাবিশ্বের কি ভূরাজনীতি আছে না আছে এটা মাথাব্যাথা নয়। আমাদের মাথাব্যাথা, এটি কি আমরা ভালো পথে করব নাকি নন-স্টেট অ্যাক্টরস দিয়ে করব, নাকি ক্লান্ডেস্টাইন (গোপনীয়) পন্থায় করব সেটা আমাদের ডিসিশন নিতে হবে। ডিসিশনটা কত তাড়াতাড়ি নেওয়া যাবে ততো ভালো হবে দেশের জন্য। যদি আমরা বসে বসে চিন্তা করতে থাকি…ভারত কি বললো, চীন কি করল; তবে কিছুই হবে না। কেউ আমাদের সমস্যা সমাধান করে দিবে না। ধরুন- ভারতের কালাদান প্রজেক্ট (কালাদান মাল্টি-মডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প, যা ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা সমুদ্র বন্দরকে সংযুক্ত করবে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সিত্তে সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে ) আছে, তারা যদি আরাকান আর্মিকে হাতে না রাখে তাহলে তো তাদের কালাদান প্রজেক্ট হবে না। সুতরাং তারা আজ হোক পরশু হোক, গোপনে বা প্রকাশ্যে হোক-তারা আরাকান আর্মির সঙ্গে নেগোসিয়েশনে যাবেই। কিন্তু আমরা তো বসে আছি! জাপানেরও একই ঘটনা। জাপানের ইকনমিক ইন্টারেস্ট বিশাল। চীনেরও তাই। আমরা বসে আছি তারা কি ভাববে, সে অনুযায়ী কাজ করব, তাহলে হবে? দেশগুলোতে আমাদের ভেবে কিছু করছে না।

বার্তা২৪.কম: চলমান এই সংকট আমাদের জন্য কোন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে কিনা?

অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান:  এটা ওভারইস্টিমেশন। এ কারণে ওভারইস্টমেশন যে কারণে মিয়ানমার আর্মি যুদ্ধ করতে চাইলেও এখন বাংলাদেশের সঙ্গে পারবে না। কারণ তাহলে তার ত্রিপক্ষীয় যুদ্ধ সংঘটিত হবে। তাদের ওই সক্ষমতাটা নাই। ঐতিহাসিকভাবে এক্সটার্নাল কান্ট্রিগুলো নানাভাবে খোঁচায়, যাতে বাংলাদেশের মতো কান্ট্রি…১ম বিশ্বযুদ্ধ বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দেখা গেছে-তৃতীয় একটি দেশ এই জায়গাতে এডভান্টেজ নেয়। বাংলাদেশের যেটা করণীয় এই থার্ড কান্ট্রির প্রভাবে যাতে একটা যুদ্ধাবস্থা না হয়। প্র্যাকটিক্যাললি চিন্তা করলে মিয়ানমারের এখন ত্রিপক্ষীয় যুদ্ধ করার অবস্থা নাই। যুদ্ধ কখন হবে যখন থার্ড পার্টি প্ররোচিত করবে। এখন দেখতে হবে এই থার্ড পার্টিটা কে হতে পারে? সেটা ইন্টিলিজেন্সের কাজ।

বার্তা২৪.কম: তাদের নিরপত্তারক্ষীরা যে আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছে, এটি নতুন কোন সংকট তৈরি করছে না তো?

অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান: এটা ইন্টারন্যাশনাল প্রাকটিসের মধ্যেই আছে। এখানে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানেটেরিয়ান প্রাকটিসেস বা ইউএন পিসকিপিং প্রাকটিসের মধ্যেও যদি দেখেন-তবে দেখতে হবে প্রথমতঃ তারা বাংলাদেশের সিকিউরিটিতে ইফেক্ট করবে কিনা? এমনও হতে পারে, এখানে সাবোটাজ করতেও আসতে পারে। আবার দেখতে হবে তাদের কারণে কোন হামলা আসবে কিনা? তৃতীয়ত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আমরা নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখছি না? কারণ কনফ্লিক্টটা হচ্ছে দুইটি পার্টির মধ্যে। আমরা নিউট্রাল রাষ্ট্র হলে যুদ্ধে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। আরেকটা হচ্ছে তাদের রিফিউজি স্ট্যাটাস দিতে পারি কিনা? কিন্তু, এটা আমরা করতে পারি না। যদিও এটি পলিটিক্যাল বিচক্ষণতার বিষয় আছে, তাত্ত্বিকভাবে ওই স্ট্যাটাস দিতে পারি না আমরা কারণ হল তারা কমব্যাটেন। কমব্যাটেনদের জন্য প্রিজনারস অব ওয়ার বা ল’ ওয়ার হিসেবে হিসেবে দেখতে হবে। রেগুলার প্রসেসেই তাদের ফেরত পাঠানো যেতে পারে।

বার্তা২৪.কম: মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুতদের স্রোত যদি আবার বাংলাদেশমুখি হয়, আমাদের কি ভূমিকা নেওয়া উচিত?

অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান: বাংলাদেশের অন্যতম অগ্রাধিকারগুলোর একটি হওয়া উচিত, বাইরের লোক আর ঢুকতে না দেওয়া। এটার থেকে আমরা ইনহিউম্যান হয়ে যাচ্ছি কিনা, সেই প্রশ্ন যদি আসে তখন কি অবস্থান নেব তাও চূড়ান্ত করতে হবে। সে হিসেবে যদি ইউরোপিয়ানদের জিজ্ঞেস করেন তোমরা কি করবে? বাংলাদেশের প্রথম কাজটি করা উচিত, এই যে ‘বিদেশি-বিদেশি’ বিষয়গুলো আছে এ থেকে বেরিয়ে আসা। সেই জায়গা থেকে একটি কনফিডেন্ট ডিসিশন নেওয়া, এটা কমব্যাট্যান্ট সিচুয়েশন, এরা কারা ‘উই ডোন্ট নো, দেয়ারফর উই ডো নট অ্যালাউ’। বাংলাদেশের এই সময়ে ওই জায়গাতে স্টিক থাকা ভালো। বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্যও এটি খুবই প্রয়োজন। দেখতে হবে থার্ড পার্টি ইনস্টিগেশন হয় কিনা? সেই কারণেও এদের আসতে না দেওয়াটা উত্তম।

বার্তা২৪.কম: মিয়ানমার সংকটের চূড়ান্ত সমাধান কোন পথে হতে পারে?

অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান: পুরোটা মিয়ানমারের ওপর ডিপেন্ড করে। বাংলাদেশ কোন ভাবেই সমাধানের দিকে যেতে পারবে না। বাংলাদেশকে মাল্টিডাইমেনশনাল পলিসিতে যেতে হবে। এখানে যেমন মিলিটারি ডিপ্লোম্যাসি আছে, তেমনি পলিটিক্যাল ডিপ্লোম্যাসিও আছে। ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি যে বিচিত্র রকম পলিসি দেয় সে ধরণের তত্ত্ব থেকে আমাদের মুক্ত থাকাটা মঙ্গলজনক হবে। 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *