সারাদেশ

সৌদি আরবের জ্বালানির মূল্য পরিশোধে ১ বছর সময় চেয়েছে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের চলমান ডলার–সংকট মোকাবিলায় সৌদি আরব থেকে আমদানি করা জ্বালানির মূল্য পরিশোধে ১ বছর সময় চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ।

তিনি বলেন, আমরা সৌদি আরব থেকে আমদানি করা জ্বালানির মূল্য পরিশোধে ৪৫ দিন সময় পাই। কিন্তু ডলার–সংকটের কারণে আমরা তাদের বলেছি, আমাদের যদি এক বছর সময় দেওয়া হয়, তাহলে ভালো হয়। তারা বলেছে, তারা সেটি বিবেচনা করবে।’

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। সম্প্রতি সৌদি আরব সফরের সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এ সহায়তা চেয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেরোরিজম কোয়ালিশনের (আইএমসিটিসি) বাংলাদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন তিনি।

সালমান এফ রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, পটুয়াখালীর পায়রায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সৌদি আরবকে অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে চাই। তাদের বিনিয়োগমন্ত্রী পায়রাতে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবে দুই দেশের যৌথ মালিকানায় ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ। দেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সারের নিরবচ্ছিন্ন চাহিদা পূরণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘সৌদি আরবে যৌথ উদ্যোগে আমরা ইউরিয়া সার কারখানা করব। উৎপাদিত ইউরিয়ার শতভাগ আমরাই আমদানি করে নিয়ে আসব। তারা প্রস্তাবটি নিয়ে অগ্রসর হতে চায়। মার্চের মধ্যে এর সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হবে। শুধু সরকারি পর্যায়ে নয়, এখানে বেসরকারি খাতেরও যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।’

জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সমন্বিত করণীয় বিষয়ে ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেররিজম কোয়ালিশনের (আইএমসিটিসি) সদস্য দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় অংশগ্রহণ ছাড়াও সৌদি আরবে বিনিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে সে দেশের জ্বালানিমন্ত্রী, বিনিয়োগমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন সালমান এফ রহমান।

আইএমসিটিসি ‘সভায় কিছু বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি’ উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ইসলামের নামে যে সন্ত্রাসবাদ হয়, তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। সন্ত্রাস, সন্ত্রাসই। সন্ত্রাসীদের ধর্ম নেই। ইসলামের বদনাম করার জন্য তারা এসব করে। এই সংস্থার মাধ্যমে ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে যে সহযোগিতা আছে, সেটি আরও বেগবান করার বিষয়ে সবাই একমত। ফিলিস্তিন ও গাজায় যা হচ্ছে, সেখানে জোরালোভাবে সবাই তার নিন্দা জানিয়েছে এবং সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তারা কাজ করবে।’

শেভরন বিবিয়ানাতে নতুন বিনিয়োগ করতে চাইছে জানিয়ে সালমান রহমান বলেন, ‘তারা ভাবছে, সেখানে গ্যাস আছে, কিন্তু ড্রিলিং না করা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তারা সেখানে নতুন বিনিয়োগ করতে চায়। গভীর সমুদ্রে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানেও তারা আগ্রহী। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতিতে জ্বালানি খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *