সারাদেশ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লিতে ‘কদমবুসি’ করতে গিয়েছে : সাকি

ডেস্ক রিপোর্ট: পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লিতে ‘কদমবুসি’ করতে গিয়েছে : সাকি

ছবি: বার্তা ২৪.কম

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ক্ষমতা নবায়ন করার সাথে সাথে তথাকথিত পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিল্লিতে ‘কদমবুসি’ করতে গিয়েছে। তারা যে ক্ষমতায় আছেন এটার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দিল্লিতে গিয়েছেন। এজন্য ভারত আজকে আমাদের দেশের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ি নিজেদের বলে দাবি করছে।

তিনি বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি খুবই ক্ষুদ্র ইস্যু উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা নাকি এটার চেয়েও অনেক বড় ইস্যুর সমস্যা সমাধান করে ফেলেছে। ভারতের কাছে তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) বাংলাদেশের কোনো স্বার্থের প্রশ্ন বলতে পারেননি। সীমান্তে আমাদের বিজিবি হত্যা করা হয় কিন্তু প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেন না। আজকে আমাদের দেশের নদীর পানি, বাণিজ্যের স্বার্থ, বাংলাদেশের সমস্ত সম্পর্কের ক্ষেত্রে যতরকম স্বার্থ আছে সেগুলো তারা বলতে পারেনি।

শুক্রবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং অরক্ষিত সীমান্তের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এসবকথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকে মিয়ানমারের মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছে। এরআগে জান্তা সরকার সেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর নির্যাতন, হামলা চালিয়েছে। এর ফলে ২০১৭ সালে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে উদ্বাস্ত হিসেবে হাজির হয়েছেন। আজকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টিকে যেভাবে আন্তর্জাতিকীকরণ করা দরকার ছিল এ সরকার তার কিছুই করতে পারেনি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে ভারত, চীন এমনকি রাশিয়াও মিয়ানমারের পক্ষে থাকে কিন্তু তারা বাংলাদেশের পক্ষে থাকে না।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিরোধী দল দমন করা পাকিস্তানের আমলের মতো হয়ে গেছে। বিরোধী দল সহ্য করার মতো নুন্যতম ক্ষমতা আ.লীগের নাই।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ সরকার যতদিন আছে ততদিন পর্যন্ত দেশের কোনও উন্নতি হবে না। এ সরকার ভোট নিয়ে মিথ্যা কথা বলে, দেশ নিয়ে মিথ্যা কথা বলে, রিজার্ভ নিয়ে মিথ্যা কথা বলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। দেশের সমস্ত জায়গায় আ.লীগের লোকজন সিন্ডিকেট করছে।

শনিবার আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা

ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগের ‘বিশেষ বর্ধিত সভা’ আগামীকাল শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্যবৃন্দ, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানরা, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়ররা এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত থাকবেন।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিশেষ বর্ধিত সভায় সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বিশেষ বর্ধিত সভা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্দেশনা অনুযায়ী গণভবনে অনুষ্ঠিতব্য বিশেষ বর্ধিত সভায় আমন্ত্রিত নেতৃবৃন্দ বিজয় স্মরণি দিয়ে জাতীয় সংসদের লেক রোড হয়ে গণভবনের ১নং গেইট দিয়ে প্রবেশ করবেন। সভায় অংশগ্রহণকারীদের ব্যক্তিগত গাড়ি ডিএমপি পুলিশের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে (বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠ) পার্কিং করতে হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এই নির্দেশনা মেনে চলার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

;

টাকা পায় বলে আমেরিকা সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছে: মান্না

ছবি: বার্তা ২৪.কম

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমেরিকা বলেছে এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তারা বাংলাদেশে সবচাইতে বেশি টাকা বিনিয়োগ করেছে। টাকা পায় বলেই তারা সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছে। তার মানে এই না যে এটা স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইউরোপের কোনো দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন, ইংল্যান্ডে অনেক বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করে, তাদের ফেরত নিয়ে যান। অথচ এই চিঠির খবর কোথাও ছাপানো হয় নি।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃনমূল নাগরিক আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত অরক্ষিত সীমান্ত, ধর্ষিত বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার শীর্ষক উন্মুক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, মিয়ানমার সমস্যা খুব জটিল সমস্যা। কোনো মূর্খ নেতার পক্ষে সেটা সমাধান করা সম্ভব বলে আমাদের মনে হয় না। যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা দেশে প্রবেশ করেছে তখন শেখ হাসিনার ছোট বোন তাকে বলেছিলেন, তুমি ১৭ কোটি লোককে খাওয়াতে পারো, আর ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারবে না? এরকম অর্বাচীনতা বিশ্বের কোনো রাজনীতির মধ্যে নাই।

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে মান্না বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছে যারা আন্দোলন করার চেষ্টা করবে তাদেরকে খেসারত দিতে হবে। আমি (মান্না) জানতে চাই, সেই খেসারতটা কি? নির্দোষ একজন মহিলাকে (খালেদা জিয়া) ১০ বছর ধরে বন্দী করে রাখা হয়েছে। আপনারা মানুষের সংজ্ঞায় পড়েন কিনা, তা নিয়ে আমাদের দ্বিধা রয়েছে।

তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

;

‘জেলখানায় বিএনপি নেতাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে’ 

ছবি: বার্তা ২৪

বিএনপি নেতা কর্মীকে জেলখানায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

এ সময় রিজভী বলেন, ‘অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ডামি সরকার গুম, খুন, মামলা ও ঘরবাড়িতে হামলা চলমান রেখেছে। দিন দিন তাদের অরাজকতা বেড়েছে। তারা যে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর এমন নির্যাতন নির্মমতা করছেন ১৭ ডিসেম্বর সাবেক কৃষি মন্ত্রীর বক্তব্যে তা পরিষ্কার।’   

‘এছাড়া জনগনকে প্রতারিত করে ৭ জানুয়ারি ষোলো কলা পূর্ণ করা হলেও ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দেশ জুড়ে বিএনপি নেতা কর্মী ও অন্যান্য সহযোগী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে শেখ হাসিনা।’

রিজভী বলেন, ‘কারাগারে বন্দি নেতা কর্মীদের ওপর নিপীড়ন করা হচ্ছে। নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদের খাওয়া দেওয়া হচ্ছে না। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছেনা। প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে দিলেও কারাগারে দেওয়া হচ্ছে না। এভাবে তিলে তিলে বিএনপি নেতা কর্মীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিমুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।’ 

রিজভী আরও বলেন, ‘এই সরকার পরিকল্পিত ভাবে জীবন বিনাশের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের দিয়ে নির্যাতন হচ্ছে কারাগারে। ইতিমধ্যে ১৩ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে। এবং পরিকল্পিত ভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানাই আমরা।’ 

এ সময় শেখ হাসিনার সাথে একত্ববাদ ঘোষণা করে পুলিশ এক যোগে কাজ করছে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘পরিকল্পিত জীবন বিনাশের এজেন্ডা নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নতুন মামলার আসামি হয়েছেন ৮৫ জন, আহত ৩ জন ও কারাগারে একজন নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন রিজভী।’   

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটি, উপদেষ্টা কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বেপরোয়া গ্রেফতার চলছে: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দেশজুড়ে বেপরোয়া গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। দেশের কারাগারগুলো এখন বিএনপি নেতাকর্মীতে ঠাসা। 

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, ‌নির্বাচনে বাধা বিঘ্নতা দূর করতে বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেলে রাখা হয়েছে। আমরা চিন্তা ভাবনা করেই এই কাজ করেছি। তাদেরকে জেলে না ভরলে দেশ অচল হয়ে যেত।

কারা সেলগুলো একেকটি শ্বাসরুদ্ধকর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, অতিমাত্রায় উৎসাহী কর্মকর্তারা গেস্টাপোদের ন্যায় মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি কারাগারের ভেতরে কারাবিধির সমস্ত সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নিয়ে বন্দি নেতাকর্মীদের ওপর চালাচ্ছে বীভৎস নিপীড়ন। খাওয়ার কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।

গত তিন মাসে কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বিএনপির ১৩ নেতার মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, প্রত্যেকটি মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বৃহস্পতিবার বিনা অপরাধে রংপুর কারাগারে বন্দি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী মহিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলামকে নির্যাতন করে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মনোয়ারুলের বাবা ফজলে রহমান ও ছোট ভাই হারুনসহ স্বজনরা বলেছেন, ১৩ জানুয়ারি সুস্থ সবল মনোয়ারুলকে পুলিশ দিনের বেলায় বাসা থেকে তুলে থানায় নিয়ে যায়। এরপর সেইদিন আদালতে চালান না দিয়ে পরের দিন রাত পর্যন্ত থানায় আটকে রেখে বর্বরোচিত কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। তার সমস্ত শরীরে, পায়ে, পিঠে ও মাথায় আঘাতের গভীর চিহ্ন দেখা গেছে। পুলিশ নির্যাতন চালিয়ে মনোয়ারুলকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করেছে। মনোয়ারুলসহ কারা হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করছি।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ১১ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলেও দাবি করেন রিজভী।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *