খেলার খবর

হৃদয়ের সেঞ্চুরিতে ঢাকা জয় কুমিল্লার

ডেস্ক রিপোর্ট: দুর্দান্ত ঢাকার কাছে হেরেই বিপিএল শুরু হয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। ফিরতি দেখায়ও চ্যাম্পিয়নদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল ঢাকা। তবে তাওহিদ হৃদয়ের সেঞ্চুরিতে সে চ্যালেঞ্জ জয় করেছে কুমিল্লা। ৪ উইকেটে জয়ে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে বিপিএলের সবচেয়ে সফল এই দল।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুমিল্লার শুরুটা ভালো হয়নি। ১৮ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বেশ বিপদেই পড়েছিল দলটি। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরতে থাকা লিটন দাস ফেরেন ৮ রান করে, ওপাশে তার ওপেনিং সঙ্গী ইংলিশ ব্যাটার উইল জ্যাকসের ব্যাট থেকে আসে ৯ রান।

অবশ্য শুধু দুই ওপেনারই নন, কুমিল্লার হয়ে এদিন ক্রিজে আসা ইমরুল কায়েস, রেমন রেইফার, জাকের আলী অনিকরাও তো দুই অঙ্কে যেতে পারেননি, ফিরেছেন তার আগেই।

ব্যাটারদের এমন আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যেও যে কুমিল্লা জিতেছে, তার কৃতিত্বটা পাবেন তাওহীদ হৃদয়। ২৩ রানে ৩ উইকেট খোয়ানোর পর ব্রুক গেস্টের সঙ্গে তার ৮৪ রানের জুটিই কুমিল্লাকে ফেরায় কক্ষপথে। গেস্ট যখন ফিরছেন, তাওহিদের রান তখন ৫৩। কুমিল্লার তখন চাই আরও ৬৯ রান।

সেই পথটা তার হাত ধরেই পাড়ি দিয়েছে কুমিল্লা। এই সময়টায় তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৫ রান। ওপাশে দেখেছেন সঙ্গীর আসা-যাওয়া নিজে অবিচল থেকেছেন ঠিকই। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১০৮ রানে, দলকে ৪ উইকেটের জয় এনে দিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছেন।

টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে আজ বেশ ভালো ব্যাটিংই করেছে ঢাকা। ১৩ বলে ১৪ রান করা চতুরঙ্গা ডি সিলভা আউট হয়ে যান। এরপরই শুরু নাইম শেখ আর সাইফ হাসান শো’র। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ারপ্লেতে ঢাকা পেয়ে যায় ৫৫ রান।

নাইম-সাইফ এরপরও থামেননি। সে ব্যাটিংটাই চালিয়ে গেছেন, ছুঁয়ে ফেলেছেন ফিফটিও। তবে ফিফটির পরই বিদায় নেন দুজন। বিদায়ের সময়টাও ছিল কাছাকাছি, ম্যাথিউ ফোর্ডের করা ১৭তম ওভারে সাজঘরে ফিরেছেন দুজন। ৪২ বলে ৫৭ রান করেছেন সাইফ। অন্যদিকে হিট আউট হওয়ার আগে নাইম করেছেন ৪৫ বলে ৬৪।

শেষ দিকে অ্যালেক্স রস ১১ বলে ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ওপাশে এসএম মেহেরবও ৮ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভার শেষে তাই ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের পুঁজি পায় ঢাকা।

এই জয়ের ফলে চটগ্রামকে টপকে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে চলে এসেছে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের দল। ৭ ম্যাচে ৫ জয়ে দলটির অর্জন দশ পয়েন্ট। সমান পয়েন্ট নিয়েও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স তিনে চলে গেছে, কারণ নেট রান রেটটা ঋণাত্মক হয়ে আছে দলটির।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *