শেষ হলো প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলনের ৮ম আসর
ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী জাতিসংঘ সংস্থার (সিইউমান) উদ্যোগে শুরু হওয়া অষ্টমবারের মতো প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটেছে আজ। এতে উঠে এসেছে সুনীল অর্থনীতির নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা।
শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে। “সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং দীর্ঘমেয়াদী সুনীল অর্থনীতির প্রসারে বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি” প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল এই সম্মেলন।
মোহাম্মদ নাঈম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ক্লোজিং প্লেনারি ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার , উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন (সিইউমুনের) উপদেষ্টা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সম্মানিত ডিন অধ্যাপক ড. সিরাজ উদ দ্দৌলাহ, সিইউমুনের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ইজাজ মাহমুদ ফুয়াদ এবং আহসান হাবীবসহ এ্যালামনাইবৃন্দ।
অধ্যাপক ডঃ সিরাজ উদ দ্দৌলাহ তার বক্তব্যে বলেন,”এবারের এই সম্মেলনে জাতিসংঘের অনেকগুলো কমিটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে।এর মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানতে পেরেছে। আগামী প্রজন্ম তৈরিতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।সুনীল অর্থনীতির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে এবারের আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে রাখা হয়েছে।আমি বিশ্বাস করি এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতকে সহজ ও সমৃদ্ধ করে তুলবে। এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে তোমরা আগামী বিশ্ব নেতৃত্ব দেবে।”
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বৈঠক হয়েছে ১০ টি কমিটির। কমিটিগুলো হলো, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি), জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ-১ (ডাইসেক), জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন (ইউএনএইচআরসি), আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও), পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক সংস্থা (ওপেক), আর্কটিক কাউন্সিল, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি), বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা (আইপি)।
এসব কমিটিতে বিভিন্ন দেশের হয়ে প্রায় তিন শতাধিক তরুণ শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব করছেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন, কূটনীতি পরিচালন ও দলবদ্ধভাবে কাজ করে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা, সুনীল অর্থনীতির বিস্তার ও এর টেকসই বিকাশে সম্ভাব্য বাধা উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, সময়োপযোগী সমাধান নিরূপণ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকে এই ক্লাবটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কূটনীতিক কার্যক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি নেতৃত্ব সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।