সারাদেশ

গাইবান্ধায় চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজা খুন

ডেস্ক রিপোর্ট: সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে বিভিন্ন রঙের ফুল। না, এগুলো ফুল নয়; এক ধরনের ফুলকপি। রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন রঙের এই ফুলকপিগুলো।

ব্যাপক সাড়া ফেলেছে কমলা ও বেগুনি রঙের ফুলকপির চাষ। সাদার বদলে নানা রঙের ফুলকপির দেখা মিলছে উত্তরের জেলা রংপুরের তারাগঞ্জে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষক মাসুদ রানা। তারাগঞ্জের ইকরচালি ইউনিয়নে নিজের ৩০ শতক জমিতে বাণিজ্যিকভাবে এই রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন তিনি। ভালো ফলনের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে ভালো দামও। বাজারে নেওয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এসব রঙিন ফুলকপি। মাঝারি আকৃতির একেকটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ শুরু হয়। তবে রংপুরে এবারই প্রথম চাষ হচ্ছে। ‘নিরাপদ উচ্চ মূল্য ফসল চাষ’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে রংপুর বিভাগের কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এসব রঙিন ফুলকপি চাষ করা হচ্ছে।

এদিকে, প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষে মাসুদ রানার সাফল্যে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। রঙিন এ ফুলকপির সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। তাদের কেউ ফুলকপি কিনছেন, আবার কেউ চাষের বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন।

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালি ইউনিয়নের চরক ডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মাসুদ রানা বলেন, বাড়ির পাশেই ৩০ শতক জমিতে প্রতি বছর নানা সবজি চাষ করি। এবার স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে পরীক্ষামূলকভাবে ৩০০০ হাজার চারা দিয়ে কমলা ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি।

একই গ্রামের আরেক কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, রানা ভাইয়ের রঙিন ফুলকপি দেখছি। এর চাষপদ্ধতি সম্পর্কে তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়েছি। আগামীতে আমিও এই রঙিন ফুলকপি চাষ করব বলে আশা করছি। এখন সরিষা আবাদ করছি।

রঙিন ফুলকপির সাফল্যে খুশি স্থানীয় কৃষি বিভাগও। রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই প্রথম রঙিন ফুলকপি পরীক্ষামূলক চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।

উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, চাষিরা এ ফুলকপি চাষে প্রথমে কেউ আগ্রহ দেখাননি। পরে কৃষক মাসুদ রানা আগ্রহ দেখালে তাকে কৃষি অফিস থেকে ফুলকপির চারা, জৈব সার, কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইউরোপ ও চীনসহ অন্যান্য দেশে এ জাতের ফুলকপি সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়। সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। দেখতেও সুন্দর। খরচ ও পরিশ্রম একই। সাধারণ ফুলকপি চাষে যে পদ্ধতি, একই পদ্ধতিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করা যায়।’

তিনি বলেন, শুধু জৈব সার ব্যবহার করেই এই ফুলকপি চাষ করা যায়। বেগুনি ফুলকপি রান্নার পর বিবর্ণ হলেও কমলা ফুলকপি বিবর্ণ হয় না। তবে বেগুনি ফুলকপি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। কমলা ফুলকপির মতো বেগুনি ফুলকপিতেও সাদা ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক বেশি থাকে। বেগুনি ফুলকপি প্রদাহ উপশম, কার্ডিওভাসকুল্যার সমস্যা এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে উপকারী।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *