আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘের সংস্থার ভবনের নিচে টানেল আবিস্কারের দাবি ইসরায়েলের

ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি (ইউএনআরডব্লিউএ) গাজা সদর দপ্তরের নিচে কয়েকশ মিটার দীর্ঘ হামাসের একটি টানেল নেটওয়ার্ক আবিষ্কারের দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

রয়টার্স জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ওই টানেল ত্রাণ সংস্থা কর্তৃক হামাসকে সমর্থনের প্রমাণ।

আর্মি ইঞ্জিনিয়াররা প্যাসেজের মাধ্যমে বিদেশী সাংবাদিকদের ইউএনআরডব্লিউএ-এর নিচের টানেলে নিয়ে গিয়েছিলেন।

এদিকে, ইউএনআরডব্লিউএকে কলঙ্কিত করার জন্য ইসরায়েলকে মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্য অভিযুক্ত করেছে ফিলিস্তিনিরা।

সংস্থাটি স্কুল, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক এবং অন্যান্য সামাজিক পরিষেবা পরিচালনা করে এবং সাহায্য বিতরণ করে থাকে বলে জানা গেছে।

ইউএনআরডব্লিউএর সদর দপ্তর গাজার উত্তরাঞ্চলের মধ্যে যেখানে ইসরায়েলি সেনা ও ট্যাঙ্কগুলো হামাসের বিরুদ্ধে চার মাস পুরনো যুদ্ধের শুরুতে কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এবং শিন বেট নিরাপত্তা সংস্থা বলেছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গাজা শহরে অভিযানের ফলে মানবিক সংস্থা পরিচালিত একটি স্কুলের কাছে একটি টানেল আবিষ্কার হয়েছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এবং শিন বেট এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ‘টানেলটি একটি ভূগর্ভস্থ সন্ত্রাসী সুড়ঙ্গের দিকে নিয়ে গিয়েছিল, যা হামাসের সামরিক গোয়েন্দাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসাবে কাজ করেছিল এবং নিরাপত্তা পেতে তারা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান সদর দপ্তরের নিচে চলে গিয়েছিল।’

যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘জাতিসংঘের কম্পাউন্ডে থাকা নথি এবং অস্ত্রের মজুদই নিশ্চিত করেছে যে, কার্যালয়গুলো আসলে হামাস সন্ত্রাসীরাও ব্যবহার করেছিল।

সাংবাদিকরা জাতিসংঘের কম্পাউন্ডের পরিধির ভেতরের একটি স্কুলের পাশে একটি টানেলে প্রবেশ করে সব প্রত্যক্ষ করেছেন বলে জানিয়েছে সিনহুয়া।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট-কর্নেল বলেন, ‘শ্বাসরুদ্ধকর গরম, সরু এবং মাঝে মাঝে ঘূর্ণায়মান পথের মধ্য দিয়ে বিশ মিনিট হাঁটার পর ওই টানেল ইউএনআরডব্লিউএর সদর দপ্তরের নিচে গিয়ে শেষ হয়েছে।’

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, টানেলটি ৭০০ মিটার দীর্ঘ এবং ১৮ মিটার গভীর।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আরও জানিয়েছে, ‘এটি হামাসের গোয়েন্দাদের কেন্দ্রীয় কমান্ডগুলোর মধ্যে একটি। এই স্থানটি হামাসের গোয়েন্দা ইউনিটগুলোর মধ্যে একটি, যেখান থেকে তারা বেশিরভাগ যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *