অধ্যক্ষ শামীমা আক্তার ময়মনসিংহ বিভাগের ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতা’
ডেস্ক রিপোর্ট: অধ্যক্ষ শামীমা আক্তার ময়মনসিংহ বিভাগের ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতা’
ছবি: বার্তা ২৪.কম
ময়মনসিংহ বিভাগে সমাজ উন্নয়নে অসমান্য অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যক্ষ শামীমা আক্তার সুমি।
‘শেখ হাসিনার বারতা, নারী-পুরুষ সমতা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শিশু ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ বিভাগের শ্রেষ্ঠ ৫ জন জয়িতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহ এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিমে শ্রেষ্ঠ ৫ জয়িতাদের ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে শিশু ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি মো. শাহ আবিদ হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. এহতেশামুল আলম ও ময়মনসিংহ মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজনীন সুলতানা বক্তৃতা করেন।
শামীমা আক্তার সুমি আনোয়ারা করিম সমাজকল্যান সংস্থার মাধ্যমে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার সংগঠনে ৬০টির মতো অসহায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরিবার রয়েছে, যাদেরকে প্রতি মাসে মাসিক ভাতার পাশাপাশি বিভিন্নরকম সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সংগঠনের পক্ষ থেকে।
ডিভিশনাল ব্লাড সোসাইটি নামে রক্তের সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। এ সংগঠনের ২০০ জন সদস্য বিনামূল্যে নিয়মিত রক্ত দিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়াও তিনি ময়মনসিংহে করোনাকালীন সময়ে করোনায় আক্রান্ত মৃত নারীদের মরদেহ গোসল করিয়েছেন। এছাড়াও নিয়মিত অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন।
এ সকল নানান সামাজিক সেবামূলক কর্মকান্ডের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে শামীমা আক্তার সুমি’কে “সমাজ উন্নয়নে অসমান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” ক্যাটাগরিতে “শ্রেষ্ঠ জয়িতা” নির্বাচিত করেছেন।
শামীমা আক্তার (সুমি) ময়মনসিংহের ঘাগড়া বাড়েরা কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি শিক্ষকতা, সমাজ সেবার পাশাপাশি কবিতা, উপন্যাস, গল্প লিখেন। ব্যক্তিগত জীবনে শিক্ষক স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটছে।
শ্রেষ্ঠ জয়িতা শামীমা আক্তার সুমি বার্তা২৪.কমকে বলেন, এসব কাজ করি অসহায় মানুষের কল্যানের জন্য। কোন কিছু পাওয়ার আশায় না। তবে এ ধরনের প্রাপ্তি কাজের গতি বাড়াতে সাহায্য করে। আমি অনেক আনন্দিত আমার এই প্রাপ্তিতে।
কুমারখালীতে প্রবাস ফেরত যুবকের মরদেহ উদ্ধার
কুমারখালীতে প্রবাস ফেরত যুবকের মরদেহ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আমবাগান থেকে মো. হযরত (৩৩) নামে এক প্রবাস ফেরত যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া গ্রামের একটি আমবাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পরে মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত মো. হযরত আলী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। তিনি প্রায় মাসখানেক আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন।
তবে নিহতদের স্বজনদের দাবি, হযরতকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আমবাগানে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের বাবা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘আমার ছেলে মাসখানেক আগে দেশে ফিরে ঝিনাইদহে শ্বশুর বাড়িতে উঠেছিল। পারিবারিক কলহের কারণে ছেলে আমার বাড়ি থাকে না। তেমন যোগাযোগও ছিল না। সকালে খবর পেয়ে আমবাগানে মরদেহ পেয়েছি।’
তার ভাষ্য, শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা মিলে তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
নিহতের ছোট ভাই তুষার বলেন, ‘আমার ভাইয়ের শ্যালক নয়ন গত রোববার মুঠোফোনে ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। আর আজ ঝুলন্ত মরদেহ পেয়েছি। ভাই আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এর সু্ষ্ঠু বিচার চাই।’
জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার কন্যাদায় গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে মোছা. নিলা খাতুনের সঙ্গে হযরতের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই সৌদি আরব থাকতেন।
কুমারখালী থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইমদাদুল হক জানান, ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে হত্যা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
;
রংপুরে পুকুর থেকে নারীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ছবি: সংগৃহীত
রংপুর সদর উপজেলার রামনাথপুরে একটি পুকুর থেকে মর্জিনা (২৬) নামের এক নারীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের কয়েক ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মর্জিনা বেগম সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের ভেলাপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের ব্র্যাকের পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, রংপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে এলাকার লোকজন পুকুরে এক নারীর মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসি বজলুর রশিদ বলেন, হত্যা বা আত্মহত্যা যেটাই হোক না কেন, এই মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে উদঘাটন করার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
;
মেহেরপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাংবাদিক আহত, আটক ২
ছবি: বার্তা ২৪.কম
মেহেরপুরের আমঝুপিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়েছেন চ্যানেল 24 এর সাংবাদিক রাশেদুজ্জামান ও দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার প্রতিনিধি সিরাজুজোস দৌলা পাভেল। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা বারোটার দিকে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র নামের একটি এনজিও সংস্থার দপ্তরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হওয়ার সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিকরা। মানব উন্নয়ন কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা উক্ত দুর্ঘটনায় জড়িত থাকায় সংস্থাটির দপ্তরের সামনে জড়ো হন সাধারণ মানুষ। এ সময় জটলার ছবি তুলতে গেলে ৮-১০ জন দুবৃত্ত সাংবাদিক রাশেদুজ্জামানের উপর চড়াও হয়। লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে তারা।
এ সময় রাশেদুজ্জামানকে বাঁচাতে গেলে জবাবদিহি পত্রিকার মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি সিরাজুদৌজা পাভেল এর উপরও হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত সাংবাদিক রাশেদুজ্জামান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করার লক্ষ্যে ভিডিও ফুটেজ ধারণ করার এক পর্যায়ে কিছু ব্যক্তি অতর্কিত হামলা চালায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি ও রড়, লাঠিসোটা নিয়ে আঘাত করে তারা। হামলার সময় ভিডিও ফুটেজ নেওয়ায় গালিগালাজ করছিল তারা। হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে হামলাকারীরা।
হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন এই দুই সাংবাদিক।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ কনি মিয়া জানান, সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। হামলাকারীদের মধ্যে থেকে আবু লায়েস ও জিয়াউর রহমান নামে দুই জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ থেকে হামলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
;
রোজার আগে ভারতকে পেঁয়াজ-চিনি পাঠানোর অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ছবি: সংগৃহীত
রমজানের আগে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং এক লাখ টন চিনি পাঠানোর জন্য দিল্লিকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
দিল্লি সফর শেষে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক ভোগ্যপণ্যের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে, পেঁয়াজ, চিনি, ডাল এবং মসলা জাতীয় কিছু পণ্য। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি তাকে (ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে) বলেছি, এসব ভোগ্য পণ্যে যেন বিশেষ কোটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। যাতে কমপক্ষে আমরা তাদের থেকে সঠিক মূল্যে এবং আমাদের প্রয়োজনে ইমপোর্ট করতে পারি। কমপক্ষে এটুকু সুবিধা যেন তাদের থেকে নিতে পারি।
সীমান্ত হত্যা বন্ধে অপ্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তিনি।
তিনি জানান, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর যেসব সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে সবাইকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।
মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে আঞ্চলিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় এবং রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে দিল্লির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। ভারতের আগামী নির্বাচনের পর তিস্তা পানি বণ্টন ইস্যুতে দেশটির সাথে বাংলাদেশের আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।