সারাদেশ

কল্যাণ ট্রাস্টই প্রমাণ করে শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব: আরাফাত

ডেস্ক রিপোর্ট: কল্যাণ ট্রাস্টই প্রমাণ করে শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব: আরাফাত

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন ও পরিচালনা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন সরকার সাংবাদিকবান্ধব।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ২৯তম সভায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। সভায় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারিভাবে সাংবাদিকদের জন্য অনেক কিছু করার বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা আছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কল্যাণে ২৫ কোটি টাকা দিয়েছেন। তিনি আরও ১০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। তারপরও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু কিছু জায়গা থেকে কখনও কখনও অপপ্রচার করা হয়, প্রশ্ন তোলা হয় যে, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সাংবাদিকতার জায়গা সংকুচিত করছে না প্রসারিত করছে। অথচ সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের এতো বড় উদ্যোগ প্রমাণ করে তিনি সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বাধীন সরকার যে সাংবাদিকবান্ধব কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে এটি প্রমাণ হয়। এ বিষয়গুলো আরও সামনে নিয়ে আসা দরকার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের কাজে পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতা আছে। সাংবাদিকদের কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সাংবাদিক বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও পেশাদারিত্বে সঙ্গে যেনো হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখা প্রয়োজন। বাছাইয়ের প্রতিটি স্তরে যেনো সাংবাদিকদের প্রতিনিধি থাকে সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড থেকে আমরা পক্ষপাতহীন ও পেশাদারি সিদ্ধান্ত দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্দেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন তার বাস্তবায়ন আমরা চাই। সত্যিকার অর্থে যেনো সাংবাদিকদের কল্যাণ কাজেই ট্রাস্টের অর্থ ব্যয় হয় সেটিই আমাদের চাওয়া।

সভায় সাংবাদিকদের কল্যাণ অনুদান বরাদ্দের বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং কমিটিকে এক মাসের মধ্যে খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের সময় দেওয়া হয়। এছাড়া দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ও মৃত সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের জরুরি শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা হয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. হুমাযুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব সুভাষ চন্দ্র (বাদল), তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মো. শাহেনুর মিয়া, অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মো. কাউসার আহাম্মদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ওমর ফারুক, দৈনিক সংবাদ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য কাশেম হুমায়ুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য সোহেল হায়দার চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলে নারী উদ্যোক্তাদের বাহারি ‘পিঠা উৎসব’

ছবি: বার্তা ২৪.কম

বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে টাঙ্গাইলে নারী উদ্যোক্তাদের তিন দিনব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। পিঠা উৎসবে স্টলে স্টলে শোভা পাচ্ছে বাঙালি ঐতিহ্যের নানা রকম পিঠার সমাহার। পিঠা ছাড়াও হস্তশিল্পসহ নানা সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে এ মেলায়।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে শহরের টাঙ্গাইল ক্লাব প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। দুপুরে উৎসবের উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার।

পিঠা উৎসবে জামাই পিঠা, বুটের হালুয়া, মুখশালা পিঠা, লাচ্ছি বড়া, পাটিসাপটা পিঠা, নকশি পিঠা, ডিমের পাকুড়া, ডিম পিঠা, মাংস পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা স্থান পায়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব নানা রকম পিঠা। গ্রাম-বাংলার বিলুপ্তপ্রায় লোকজ খাবার ধরে রাখা ও নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব।

নারী উদ্যোক্তা আশা আক্তার বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে বসেছি। সকল পিঠা আমরা বাসায় নিজের হাতে তৈরি করেছি। ঝাল এবং মিষ্টি সব ধরনের পিঠা আমাদের কাছে পাওয়া যাবে। আয়োজকদের কাছে দাবি প্রতি বছর যাতে এ ধরনের পিঠার আয়োজন করা হয়।

ক্রেতা সুমাইয়া আক্তার বলেন, শীতের সময় গ্রাম বাংলা পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। প্রতি বছরই এমন আয়োজন হলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফুঁটে উঠবে। সব সময়ই যদি এমন আয়োজন করা হয় তাহলে আবারো হারানো সেই পিঠাপুলির উৎসবে ফিরে পাবো।

টাঙ্গাইল উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক জেরিন মাহমুদ শম বলেন, হারিয়ে যাওয়া বাঙালির পিঠা পুলির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা এবং নতুন প্রজন্মকে তুলে ধরতে এমন আয়োজন করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া অনেক পিঠা এখানে পাওয়া যাচ্ছে। শুরুতেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ভবিষ্যতে এমন আয়োজন করা হবে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওলিউজ্জামান বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করা হবে। এতে জেলার অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এ পিঠা উৎসব শেষ হবে।

;

আরও ৪ পণ্য পেল জিআই স্বীকৃতি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে আরও চারটি পণ্যকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮টি।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে আরো ৪টি পণ্যকে অনুমোদন দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করেছে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)।

অনুমোদন পাওয়া পণ্য চারটি হলো- রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর ও মুক্তাগাছার মন্ডা।

২০০৩ সালে বাংলাদেশে এ কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে একে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) নামে অভিহিত করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩ পাস হয়। এর দুই বছর পর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা, ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়।

২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এরপর স্বীকৃতি পায় আরো ২০টি পণ্য। সেগুলো হলো-বাংলাদেশ ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারিভোগ, বাংলাদেশ কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি, বাংলাদেশের শীতল পাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাই নবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাই নবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা।

সম্প্রতি অনুমোদিত ৩টি পণ্য টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার অনুমোদনের কপি ও জার্নাল গতকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। এতে জিআই পণ্যের সংখ্যা হয় ২৪টি। আজকে ৪টি জিআই পণ্যের জার্নাল প্রকাশিত হওয়ায় মোট অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮টি।

এছাড়া আরো ২টি পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেগুলো হলো জামালপুরের নকশি কাঁথা এবং যশোরের খেজুর গুড়। আগামী সপ্তাহে এই দুটো পণ্যের জার্নাল প্রকাশিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

;

আই ট্রিপল-ই’র নতুন সদস্যদের বরণ করল সিআইইউতে

আই ট্রিপল-ই’র নতুন সদস্যদের বরণ করল সিআইইউতে

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং প্রযুক্তির হাত ধরে বিশ্বকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বের বৃহত্তম টেকনিক্যাল পেশাজীবী সংগঠন আই ট্রিপল-ই’র সিআইইউ স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের নতুন কমিটির সদস্যদের অভিষেক অনুষ্ঠান।

সম্প্রতি নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সিআইইউর স্কুল অব সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের (এসএসই) শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক এবং ডিনরা উপস্থিত ছিলেন।

ইন্সটিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স সংক্ষেপে আই ট্রিপল-ই ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত একটি পেশাজীবী সংগঠন। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং গতিশীল কার্যক্রম বাড়াতে সংগঠনটি বিশ্বের নানান দেশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আই ট্রিপল-ই’র সিআইইউ স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের সদস্যরা জানান, এই ধরনের সংগঠন তাদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, আইওটি, রোবটিক, মেশিন লার্নিংসহ নানান সেক্টরে অনেক বেশি দক্ষ করে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। অনুষ্ঠানে কেক কেটে নতুন কমিটির সদস্যদের স্বাগত এবং স্প্রিং ২০২৪ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।

পুরো অনুষ্ঠাটির সহযোগিতায় ছিল সিআইইউর অপর দুটি ক্লাব-আইসেক এবং রোবাটিক্স ক্লাবের সদস্যরা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন সিআইইউর স্কুল অব সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. রুবেল সেনগুপ্ত, ইটিই বিভাগের প্রধান এবং আই ট্রিপল-ই’র সিআইইউ স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের কাউন্সিলর ড. আসিফ ইকবাল, কৃতী শিক্ষার্থী সংগঠনের সভাপতি তানভীর আলম খোন্দকার, সহসভাপতি সামাহ বিনতে ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান আকিব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন রাফিদ মোহাম্মদ ইবতেসাম। এতে নাচ এবং গান পরিবেশন করেন ক্লাবের সদস্যরা।

;

মাগুরায় তিন সোনার দোকানে চুরি

ছবি: বার্তা২৪.কম

মাগুরায় একটি মার্কেটের তিনটি সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে কি পরিমাণ স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোন তথ্য দিতে পারেননি দোকান মালিকরা।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মাগুরায় হরিশ দত্ত সড়কের একটি মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে।

মাগুরা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদি রাসেলসহ পুলিশের একটি দল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছেন।

মাগুরা জেলা জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি বিমল কুমার বিশ্বাস বলেন, সকালে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ওই মার্কেটের নিচ তলায় ঢুকে সোহানা জুয়েলার্স, নিউ রেবা জুয়েলার্স ও সুমন জুয়েলার্স এ তিনটি দোকানের সার্টার ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে এ চুরি সংঘটিত করে। কী পরিমাণ স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে তার পরিমাণ নির্ধারনে চেষ্টা চলছে। পাশের মার্কেটের সাহা ষ্টোর নামের একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে চারজন সন্দেভাজন ব্যক্তিকে সকাল ৭টার দিকে একটি বস্তা ও ব্যাগ হাতে ওই মার্কেটে দেখা গেছে। যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে সকালের দিকে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে।

তিনি আরও বলেন, মার্কেটের দ্বিতীয় তলার নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া এটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। দ্বিতীয় তলা থেকে নিচ তলায় নামার পথের সিঁড়িতে প্রতিবন্ধকতামূলক কোন ফটক নেই। ফলে সহজেই দ্বিতীয় তলায় উঠতে পারলে মার্কেটের নিচতলায় চলে যাওয়া সম্ভব। সম্ভবত চোর চক্রটি এ সুযোগ নিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকের একজন জয়দেব কর্মকার জানান, সকালে মার্কেটের দোকান খুলতে এসে সার্টার ভাঙ্গা দেখতে পাই। একইভাবে অন্য ২ দোকান মালিক দোকান খুলতে এসে সার্টার ভাঙ্গা দেখতে পায়। আমার দোকান থেকে ১৪ আনা সোনা ও একটি স্বর্ণের চেইন চুরি হয়েছে। অন্যদের কী পরিমাণ সোনা খোয়া গেছে নিরুপনের চেষ্টা চলছে।

মাগুরা সদর থানার অফিসা ইনচার্জ (ওসি) মেহেদি রাসেল বলেন, শহরের হরিশ দত্ত সড়কের জয়েলারী পট্টিতে তিনটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর ১৬ মার্চ ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী পুরাতন বাজার সোনাপট্টির বৈদ্যনাথ জুয়েলারীতে সুড়ঙ্গ খুড়ে ১০৬ ভরি সোনা চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়। পরে তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *