সারাদেশ

অন্যের প্রতি সুধারণা পোষণের লাভ

ডেস্ক রিপোর্ট: অন্যের প্রতি সুধারণা পোষণের লাভ

মুমিন পরস্পরের প্রতি সুধারণা পোষণ করে, ছবি : প্রতীকী

মুসলিম জাতিকে আত্মকলহ, বিরোধ, বিদ্বেষ ও সংঘাত থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজন বিশুদ্ধ ইসলামি শিক্ষার বিস্তার। কেননা ইসলাম মুসলিম উম্মাহকে সবচেয়ে দৃঢ় বন্ধনের ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছে। ইসলাম মুসলিম জাতিকে এমন একটি সমাজে একতাবদ্ধ করেছে, যারা পরস্পরকে ভাই মনে করে, পরস্পরকে ভালোবাসে, পরস্পরের সহযোগী ও অভিভাবক। তাদের একজনের দ্বারা অন্যজন শক্তিশালী হয় এবং তারা কখনো পরস্পরকে শত্রু গণ্য করে না।

ইসলাম উম্মাহকে একতাবদ্ধ করেছে বিশ্বাস, ইবাদত, চারিত্রিক মূল্যবোধ ও সামাজিক শিষ্টাচারের মাধ্যমে। যা মুসলমানের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করে। তাদের শক্তিশালী ও সুদৃঢ় করে এবং তাদের রক্ষা করে এমন সব বিষয় থেকে, যা ভ্রাতৃত্বকে দুর্বল, আহত ও অর্থহীন করে তোলে।

ফলে প্রত্যেক মুসলমান এক আল্লাহ, পরকালীন পরিণতি, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব ও নবী-রাসুলের প্রতি অভিন্ন বিশ্বাস পোষণ করে। তাদের সবাই একই নিয়মে আল্লাহর জন্য নামাজ আদায় করে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও জুমার জামাতে অংশগ্রহণ করে, অসহায়, ঋণগ্রস্ত ও পথিকের জন্য জাকাতের অর্থ ব্যয় করে, এক মাস আল্লাহর জন্য রোজা রাখে, জীবনে অন্তত একবার হজব্রত পালন করে। তারা এসব ইবাদত পালন করে একই নিয়মে, একই সময়ে, একই রকম পোশাক পরিধান করে (ইহরাম উদ্দেশ্য), তাদের মুখে থাকে একই ধ্বনি হে আল্লাহ, আমি উপস্থিত, আমি উপস্থিত।

এরই ভিত্তিতে তারা বিশ্বাস করে, তারা সবাই আদি পিতা আদম (আ.)-এর সন্তান এবং পরস্পরের ভাই। তাই তারা তাদের ভাইকে ভালোবাসে। কেননা হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করবে, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।’ -সহিহ বোখারি : ১৩

ঈমানের দাবি এই ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসা মুসলমানকে অগ্রাধিকার দিতে শেখায়। ফলে মুমিন অন্য মুমিনের প্রতি হয় বিনম্র। তারা পরস্পরের ওপর অহংকার করে না। কেননা তা গুরুতর অপরাধ। মুমিন পরস্পরের প্রতি হিংসা পোষণ করে না। কেননা তা অন্তরের পাপ এবং আল্লাহ হিংসুকের নিন্দা করেছেন। একইভাবে তারা কোনো মুমিনকে উপহাস করে না, তার প্রতি দোষারোপ করে না এবং মন্দ নামে ডাকে না।

এমনকি মুমিন পরস্পরের প্রতি সুধারণা পোষণ করে, বিরূপ ধারণা পোষণ করে না, কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষচর্চা করে না। কেননা আল্লাহতায়ালার নির্দেশ হলো, ‘হে মুমিনরা, তোমরা বেশির ভাগ অনুমান থেকে দূরে থাকো। কেননা অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ এবং তোমরা পরস্পরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। আর পরস্পরের অনুপস্থিতিতে নিন্দা করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? বস্তুত তোমরা তাকে ঘৃণ্যই মনে করো।’ -সুরা হুজরাত : ১২

যখন মুসলমানের পারস্পরিক সম্পর্কের রূপ এমন, তখন তাদের মধ্যে বিবাদ-সংঘাত কিভাবে হতে পারে। এই শিক্ষা, মূল্যবোধ ও শিষ্টাচার মুসলিমকে সব সময় অন্য মুসলিম থেকে সংযত করে!

আদর্শ জীবন গঠনে নামাজের ভূমিকা

মসজিদে নববিতে নামাজ আদায়ের দৃশ্য, ছবি : সংগৃহীত

নামাজ দৈনন্দিন পালনীয় একটি ফরজ ইবাদত হলেও আদর্শ জীবন গঠনে এর সুদূর প্রসারী ভূমিকা রয়েছে। আদর্শ জীবন বিনির্মাণে আবশ্যকীয় গুণাবলি নামাজ আদায়ের মাধ্যমে অর্জন করা যায়। যাবতীয় অন্যায়, অশ্লীলতা ও পাপাচারমুক্ত আদর্শ জীবন গঠনে নামাজ সহায়তা করে। নামাজ সকল প্রকার পাপাচার ও খারাপ কাজ পরিহার করে সৎ পথে পরিচালিত করে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ -সুরা আল আনকাবুত : ৪৫

নামাজ আমাদের সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের মহান শিক্ষা দান করে। জামাতে নামাজ আদায়ের সময় সমাজের ধনী-গরিব, উচুঁ-নীচু এবং সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে একত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাশাপাশি দাঁড়াতে হয়। এতে সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন মজবুত হয়। নামাজ আমাদের সময়ানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবোধ শিক্ষা দেয়। নামাজে রুকু, সেজদা যথানিয়মে আদায় করতে হয়। এতে নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলার শিক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত নামাজ আদায়কারী সাধারণত কর্তব্যপালনে অবহেলা করে না। অত্যন্ত বিনীত ও নম্রভাবে একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায় করতে হয়।

একাগ্রতাবিহীন নামাজ আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। নামাজ আদায়ের সময় মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হয়, মহান আল্লাহ তাকে দেখছেন। এভাবে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে অর্জিত বিনয় ও একাগ্রতা জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে আদর্শ জীবন গঠন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই মুমিনরা সফলকাম হয়েছেন, যারা নিজেদের নামাজে বিনয় ও নম্র।’ -সুরা মুমিনুন : ১-২

জামাতে নামাজ আদায় করলে মুসলিমরা পরস্পরে দৈনিক পাঁচবার একত্র হওয়ার সুযোগ পান। এ সময় একে-অপরের খোঁজখবর নিতে পারেন। প্রয়োজনে অসহায় ও দরিদ্রকে সাহায্য-সহযোগিতা করা যায়। এতে সবার সঙ্গে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে ওঠে। এরকম আরও অনেক উত্তম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জনে নামাজ প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখে।

তাই বলা যায়, আদর্শ জীবন গঠনে নামাজের ভূমিকা অপরিসীম। আমরা নিয়মিত নামাজ আদায় করব এবং জীবনকে সুন্দর ও আদর্শময় করে গড়ে তুলব।

;

শাবান মাসের ফজিলত

২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার দিবাগত শবেবরাত পালিত হবে, ছবি : সংগৃহীত

শুরু হয়েছে পবিত্র শাবান মাস। মুসলিম বিশ্বে শাবান মাস এলে চারদিকে ইবাদত-বন্দেগির সুবাতাস বইতে শুরু করে। শাবান মাস থেকেই রমজানের আবহ শুরু হয়। বাংলাদেশে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার দিবাগত শবেবরাত পালিত হবে।

হাদিসে এ মাসকে ফজিলত ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) রজবের চাঁদ উঠলে দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’

অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। ‘আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন’- এ কথার অর্থ হচ্ছে, রমজান পর্যন্ত আমাদের জীবন দান করুন। যেন আমরা রমজান মাস পেয়ে অধিকহারে ইবাদত-বন্দেগি, রোজা, তারাবি, লাইলাতুল কদরে ইবাদত ও ইতিকাফ ইত্যাদির মাধ্যমে পবিত্র রমজান মাসের ফজিলত লাভে ধন্য হই। এ জন্য রজব মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর রমজানের চাঁদ দেখা পর্যন্ত দোয়াটি পাঠ করা সুন্নত।

যেহেতু রমজান বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ মাস, সেহেতু আগে থেকেই এ মাসের ইবাদত-বন্দেগির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া একজন মুমিনের কর্তব্য। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উপরোক্ত দোয়াই প্রমাণ করে, তিনি রজব মাস শুরু থেকেই রমজানের জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকতেন।

বিভিন্ন হাদিস থেকে প্রমাণিত হয়, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব ও শাবানে রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। রমজানে অধিক ইবাদতের জন্য সময়-সুযোগ বের করতেন। মানসিকভাবে তৈরি হতেন। আর এ কারণেই তিনি শাবানের দিন ও তারিখ গুরুত্বসহকারে হিসাব রাখতেন।

হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবানের (দিন, তারিখ হিসাবের) প্রতি এত অধিক লক্ষ্য রাখতেন যা অন্যকোনো মাসের ক্ষেত্রে রাখতেন না। -সুনানে আবু দাউদ : ১/৩১৮

এ কারণে শাবান মাসের দিন-তারিখের হিসাব রাখা সুন্নত এবং মুমিনদের জন্য করণীয়।

শাবান মাসে অধিকহারে নফল রোজা রাখা উত্তম। এ প্রসঙ্গে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হজরত উন্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী কারিম (সা.)-কে শাবান ও রমজান ব্যতীত দুই মাস একাধারে রোজা রাখতে দেখিনি। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি নবী কারিম (সা.)-কে শাবান মাসের মতো এত অধিক (নফল) রোজা রাখতে আর দেখিনি। এ মাসের অল্প কিছুদিন ব্যতীত বরং বলতে গেলে সারা মাস তিনি নফল রোজা রাখতেন। -জামি তিরমিজি : ১/১৫৫

শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত। অর্থাৎ পনেরো শাবান রাত হচ্ছে পবিত্র শবেবরাত। এ রাতের অশেষ ফজিলত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বছরের শ্রেষ্ঠ পাঁচটি রজনীর অন্যতম এ রাত। এ রাতের করণীয় সম্পর্কে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, পনেরো শাবান রাতে (শবেবরাত) তোমরা জেগে থেকে ইবাদত কর এবং পরদিন রোজা রাখ। এ জন্য শবেবরাতে জেগে থেকে ইবাদত করা এবং পরদিন রোজা রাখা উত্তম।

;

শবে বরাত ২৫ ফেব্রুয়ারি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ২৫ ফেব্রুয়ারি, রোববার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালন করা হবে। মুসলিম উম্মাহর কাছে রাতটি অত্যন্ত বরকত ও ফজিলতপূর্ণ।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি ১৪৪৫ হিজরি সনের শাবান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও শবে বরাতের তারিখ নির্ধারণে বৈঠকে বসে কমিটি। বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সে হিসেবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

উল্লেখ্য, শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিবাগত রাত) শবে বরাত পালিত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে ‘ভাগ্য রজনী’ হিসেবে পরিচিত লাইলাতুল বরাতের পুণ্যময় রাতটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াতসহ ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটান।

অনেকে গভীর রাত অবধি ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থেকে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে পরদিন নফল রোজা রাখেন। শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন মুসলমানরা। রমজানের পর শাবান মাস ইবাদাতের উত্তম সময়। শাবান মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখলে আইয়ামে বিজের রোজার সঙ্গে শবে বরাতের রোজার পুণ্য হয়ে যাবে। এ ছাড়া মাসের শুরুতে, মাঝে ও শেষে রোজা রাখা ফজিলতপূর্ণ আমল।

শবে বরাতের পরের দিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। এবার এ ছুটি পড়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার)।

হাদিসের ভাষায় এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা পনেরো শাবানের রাত বলা হয়। ‘শবে বরাত’ শব্দটি ফার্সি শব্দ। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে কোরআন মাজিদে সরাসরি নির্দেশনা না থাকলেও হাদিস শরিফে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাসূত্রে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

বিখ্যাত সাহাবি হজরত মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহতায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তার সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন। -ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫

শাবান মাস শেষে মুসলিমদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ বার্তা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান।

;

মক্কার আধ্যাত্মিকতায় মুগ্ধ ব্রিটিশ ধনকুবের

পবিত্র কাবার সামনে ব্রিটিশ অভিনেতা ও গায়ক ড্যানি ল্যাম্বো, ছবি : সংগৃহীত

ইসলাম গ্রহণ করেছেন প্রসিদ্ধ ব্রিটিশ অভিনেতা ও গায়ক ড্যানি ল্যাম্বো। বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী হিসেবে বিশ্বব্যাপী তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।

সৌদি সংবাদ সংস্থা আল-আরাবিয়া ল্যাম্বোর ইসলামে প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ড্যানি ল্যাম্বোর ইসলাম গ্রহণের ঘোষণাটি বেশ চমকপ্রদ। তিনি মক্কার মসজিদে হারামে পবিত্র ওমরাহ আদায়ের একটি ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে গুরুত্বপূর্ণ এ ঘোষণা দিয়েছেন।

ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেন, আপনি জানবেন না যে- জীবন আপনাকে কোন পথে নিয়ে যাবে? আমি ব্যবসার কাজে সৌদি আরবে এসেছিলাম, কাজও দ্রুত শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে আমার সাক্ষাৎ হয় এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে, তিনি আমাকে পবিত্র মক্কায় নিয়ে আসেন। এখান থেকেই আমার নতুন এক আধ্যাত্মিক ও মানসিক সফর শুরু হয়ে যায়।

আবেগঘন ওই ভিডিওতে ল্যাম্বোকে কাবার সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদতেও দেখা গেছে। এখন তিনি নওমুসলিম হিসেবে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

ইনস্টাগ্রামে সৌদি আরবের এক বন্ধুর সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন ব্রিটিশ ধনকুবের।

‘মক্কা সফর’ হাইলাইটস দিয়ে ওই বন্ধুর উদ্দেশে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ আমার ভাই বাসিত। তুমি আমাকে জীবনের আসল অর্থ ও উদ্দেশ্য চিনিয়েছো।’

ব্রিটিশ এই অভিনেতার প্রকৃত নাম ছিল ড্যানি কার্ন। ইতালীয় সুপারকার ল্যাম্বরগিনির প্রতি তার ভালোলাগা প্রকাশ করার জন্য নামের সঙ্গে ‘ল্যাম্বো’ যুক্ত করেছিলেন তিনি। তারপর থেকে তিনি ‘ড্যানি ল্যাম্বো’ হিসেবেই নিজের পরিচয় দিয়ে আসছেন।

আর্থিক দিক থেকে ড্যানি ল্যাম্বো বেশ প্রভাবশালী। আল-আরাবিয়া জানায়, তার মোট সম্পদের মূল্য অন্তত ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড। এর বড় একটি অংশ তিনি লন্ডনে হোটেল ব্যবসায় বিনিয়োগ করে উপার্জন করেছেন।

মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন ড্যানি। তার দুই বোন ও এক ভাই রয়েছে। তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে গানকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। এ জন্য তিনি কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হন এবং তার একজন শিক্ষক তাকে ব্যর্থ মানুষ বলেও আখ্যায়িত করেন।

সঙ্গীতের পাশাপাশি ড্যানি একজন হোটেল ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ শুরু করেন। যা তার সম্পদ বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল। এভাবে মাত্র ২২ বছর বয়সে কোটিপতিদের তালিকায় নিজের নাম লেখান ড্যানি কার্ন থেকে ড্যানি ল্যাম্বো হওয়া ব্রিটিশ এই ধনকুবের, গায়ক ও অভিনেতা।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *