সারাদেশ

হয়রানি বন্ধের দাবি লক্ষ্মীপুরের সুপারি ব্যবসায়ীদের

ডেস্ক রিপোর্ট: হয়রানি বন্ধের দাবি লক্ষ্মীপুরের সুপারি ব্যবসায়ীদের

ছবি: বার্তা ২৪.কম

লক্ষ্মীপুরে সুপারি ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ জেলায় উৎপাদিত সুপারিতে প্রতিবছর প্রায় এক হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়।

ব্যবসায়ীদের দাবি, একটি অসাধু চক্র ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করতে ওঁৎ পেতে থাকে। তাদের হয়রানিতে ব্যবসায়িদের আর্থিক ও মানসিকভাবে চাপে পড়তে হয়। অবৈধভাবে ভিজা সুপারির উপরের অংশে হাইড্রোজসহ হলুদ-কমলা রং লাগালেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। এরপরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অসাধু চক্র অসহায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটটির পাবলিক এনালিস্ট ও খাদ্য বিশ্লেষক সাজেদা বেগম লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জনকে সুপারিতে দেওয়া রং পরীক্ষা নিয়ে একটি চিঠি ইস্যু করেন। সেখানে লেখা ছিল, তাদের ল্যাবে সুপারি পরীক্ষা করার সুযোগ না থাকায় কোন কিছু বিশ্লেষণ করা যায়নি’।

এরআগে একই বছর ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডাস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. সেলিম রেজা সুপারি নিয়ে একটি চিঠি ইস্যু করেন। সেখানে লেখা হয় ‘চট্টগ্রাম রসায়ন ল্যাবরেটরীতে আপাতত সুপারিতে হাইড্রোজ ও হলুদ-কমলা রং পরীক্ষণের সুবিধা নেই। এ অবস্থায় পরীক্ষণের জন্য সরবরাহকৃত সুপারির উপরের অংশে হাইড্রোজ ও হলুদ-কমলা রং পরীক্ষণপূর্বক মতামত প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না’। বিষয়গুলো নিয়ে ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আইনশৃঙ্খলা সভায় আলোচনা হয়। একই সঙ্গে সুপারিতে রং করণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা ঢাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। তখন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সুপারিতে রং মেশানো নিয়ে কোন বাধা নেই বলে একই বছর ১০ মার্চ চিঠি ইস্যু করেন তখনকার সিভিল সার্জন আবদুল গফফার। এরপর থেকে এখনো পর্যন্ত এনিয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেয়ন সংশ্লিষ্ট কোন দপ্তর।

এদিকে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকু, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর সঙ্গে পৃথকভাবে দেখা করে একই দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় জেলা সুপারি ব্যবসায়ী ও বাগান মালিক এসোসিয়েশনের সভাপতি করিম খান ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহম্মদ দুই শতাধিক ব্যবসায়ীকে নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন ওই তিন জনপ্রতিনিধি।

ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, সুপারি কাঁচা, শুকনো ও ভিজিয়ে বাজারজাত করা হয়। সুপারি পানিতে ভিজিয়ে রাখলে উপরের অংশে ময়লা হয়ে স্যাঁতসেঁতে অবস্থা সৃষ্টি হয়। এতে বাজারজাত করতে সুপারির উপরের অংশে হলুদ ও কমলা রং দিয়ে বাজারজাত করতে হয়। ভারত থেকে একইভাবে সুপারিতে রঙ দেওয়া সুপারি আমাদের দেশে আমদানি করা হয়। দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরাও একই প্রক্রিয়ায় সুপারি বাজারজাত করেন। কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছে না। শুধুমাত্র লক্ষ্মীপুরেই একটি কুচক্রি মহল প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে সুপারি ব্যবসায়ীদের পুঁজি ধ্বংস করার চেষ্টা করে।

লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন আহাম্মদ কবীর বলেন, জেলা প্রশাসক ও কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছেন সুপারিতে দেওয়া রঙে তেমন কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই। এতে নেতিবাচক কিছু পাওয়া যায়নি। এজন্য সুপারিতে রং দেওয়া নিষিদ্ধ নয়।

খাবার মানসম্মত না হলে ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের চুক্তি বাতিল করা হবে: রেলমন্ত্রী

ছবি: বার্তা২৪.কম

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেছেন, খাবার মানসম্মত না হলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের সাথে রেলওয়ের চুক্তি বাতিল করা হবে, যাত্রীদের ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ক্যাটারিং সার্ভিস এর সেবার মান এবং সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিসের চুক্তি অনুযায়ী মান সম্মত খাবার প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী খাবার দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানগুলো বাসি রুটি ও গন্ধযুক্ত খাবার পরিবেশন করে। যারা ক্যাটারিং পরিচালনা করেন তাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে, খাবারের মান ভালো করতে হবে। খাবারের মান খারাপ হলে বদনাম ক্যাটারিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের হয় না। দুর্নাম হয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের, রেলমন্ত্রীর।

খাবারের মান স্বাস্থ্যসম্মত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়মিত মনিটরিং করার নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, কর্মকর্তাগণ যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে খাবার মানসম্মত হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি পাবে এবং টিকেট কালোবাজারি বন্ধ হবে। ট্রেনে হকারদের উৎপাত বন্ধ করতে হবে, হকারদের সাথে বসে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে ।

তিনি বলেন, ট্রেনে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি করতে হবে। যাত্রীদের অভিযোগ ট্রেন অপরিষ্কার এবং অনেক সময় বাথরুম ব্যবহার অযোগ্য অবস্থায় থাকে, যা মেনে নেওয়া যায় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধিতে পরিদর্শন বাড়ানোসহ নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মনিটরিং করার নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, রেলে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের হাওয়া খেলে চলবে না, কাজ করতে হবে। ভালো কাজের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হবে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে বদনাম হলে সে বদনাম মন্ত্রীর হয়, এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও সে বদনামের ভাগীদার হতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর বদনাম হয় এমন কাজ সহ্য করা হবে না। সকলকে দায়িত্বে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

সকালে মন্ত্রী এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মহাপরিচালক টেকিও কোনিশি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ইডিমন গিনটিং- এর সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করেন।

এসময় বাংলাদেশ রেলওয়েকে সহযোগিতার জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং চলমান প্রকল্পসমুহে আর্থিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা এবং ভবিষ্যতে যেসব প্রকল্প নেওয়া হবে সেই প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের মহাপরিচালক এবং কান্ট্রি ডিরেক্টরকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।

;

কাউকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে কাউকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘ ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমরা সকল ধর্মের উৎসব আনন্দমুখর পরিবেশে একসঙ্গে উদযাপন করি। আমরা সকলে মিলে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি, তাই এই দেশ আমাদের সকলের। আমি আশা করি, আগামী দিনে সকল ধর্মের পারস্পারিক সম্প্রীতি আরো সুদৃঢ় হবে।’

সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সাম্পদ্রায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে এ ভূখণ্ডে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করে আসছেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করেছিলেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী। আমি দেবী সরস্বতীর পূজা অর্চনা উপলক্ষ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলকে জ্ঞানার্জনে ব্রতী হয়ে দেশের অগ্রযাত্রায় আত্মনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, আসুন, আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে অটুট রেখে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ করি।

;

৫ লাখ টাকায় বিক্রি হলো জাভা ভোল মাছ

ছবি: বার্তা ২৪.কম

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে শুকুর আলী নামের এক জেলের জালে ধরা পড়া বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক জাভা ভোল মাছটি ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মোংলা বন্দরের মাছ ব্যবসায়ী বেলায়েত সরদার মাছটি ক্রয় করেছেন।

গত রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদীর ফিরিঙ্গি এলাকা থেকে ২৫ কেজি ৩৬০ গ্রাম ওজনের মাছটি ধরা পড়ে। এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি ব্যবসায়ীদের নজরে আসলে সর্বোচ্চ দামে মাছটি বিক্রি হয়েছে।

জেলে শুকুর আলী বলেন, সাতক্ষীরায় কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে মাছের দাম বলে তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তবে এটির দাম আরও অনেক বেশি হওয়ায় আমি মাছটি বিক্রি করিনি। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে মোংলা থেকে মাছ ব্যবাসায়ী বেলায়েত সরদার আমার সাথে যোগাযোগ করে মাছটি ক্রয় করেছেন।

মাছ ব্যবসায়ী বেলায়েত সরদার বলেন, অনলাইনে জানতে পারি এক জেলে বড় একটি মাছ পেয়েছে কিন্তু স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সেটির দাম অর্ধেক বলেছে। পরে আমি জেলের সাথে কথা বলে মাছটি ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ক্রয় করেছি।

;

বইমেলা বাঙালির মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

ছবি: বার্তা২৪.কম

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড .হাছান মাহমুদ বইমেলার ব্যাপারে মন্তব্য করে বলেছেন, ‘বইমেলা বাঙালির মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। তরুণ থেকে বৃদ্ধ সবাই মেলায় এসে একটু শান্তিতে নিশ্বাস নেন।’ 

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় অমর একুশে বই মেলার মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুহাম্মদ মীযানুর রহমান রচিত “বদলে যাওয়া বাংলাদেশ” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

বইমেলার ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বইমেলা বাঙালির মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। তরুণ থেকে বৃদ্ধ সবাই মেলায় এসে একটু শান্তিতে নিশ্বাস নেন। বইমেলা সারাদেশেই হয়। আমরা বই লিখতে ও প্রকাশ করতে ভালোবাসি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন হিংস্র একটি ধারা, এটি আমাদের আবেগকে কেড়ে নিচ্ছে। আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিরুদ্ধে নই, আমি পক্ষে। যখন কোনো মাধ্যম অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়, সে ব্যাপারে আমাদের একটু সংযত হতে হয়। আমরা দেশকে শুধুই সামাজিক কল্যাণকরই নয়, শুধু বস্তুগত উন্নত রাষ্ট্রই নয়, পাশাপাশি একটি মানবিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, মীযানুর রহমান ও রেবেকা শিল্পীকে অভিনন্দন। মীযানুর রহমান লিখেছেন, ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’। বাংলাদেশ গত ১৫ বছরে অনেক বদলে গেছে। দেশের অর্থনীতির আকার ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ব্যক্তি ১২/১৫ বছর পর এলে সে তার এলাকা চিনতে পারে না। এখন সহজে খালি গায়ে মানুষ দেখা যায় না। আকাশ থেকেও কুঁড়েঘর দেখা যায় না। কারণ, বাংলাদেশ বদলে গেছে। এই বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাদুর কারণে বদলে গেছে।

দেশ বদলে যাওয়ার বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ায় অনেক কূটনীতিকের সঙ্গে আমার দেখা হয়। যে কূটনীতিবিদ ১০ বছর আগে ঢাকায় কাজ করে গেছেন, তারা ১০ বছর আগের সঙ্গে এখনকার ঢাকা মিলিয়ে নিতে পারেন না। ঢাকাবাসী কখনো কি ভেবেছে, মেট্রোরেলে আধা ঘণ্টায় উত্তরা থেকে মতিঝিল পৌঁছে যাবেন! দেশের মানুষ কি ভেবেছে কর্ণফুলী নদীর টানেলে গাড়ি চলবে! ভাবেনি। এগুলো করে দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। আমরা দেশটিকে আরো বদলাতে চাই! সামাজিক কল্যাণকর রাষ্ট্রে বদলাতে চাই!

তিনি আরো বলেন, আমি লেখককে (মীযানুর রহমান) এমন একটি বই রচনার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। রেবেকা শিল্পীর কবিতার বই এখনো পড়িনি। আমি পড়ব। ছোটবেলায় স্কুলে পড়ার সময় আমিও কবিতা লিখতাম। রাজনীতিতে এসে আর কবিতা লেখা হয়নি।

এ সময় রসিকতা করে তিনি বলেন, এটি ভুল হয়েছে বলে আমার মনে হয়। কবিতা লেখার অভ্যেসটা থাকলে ভালো হতো।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *