সারাদেশ

কৃষিবিদদের বিভক্তি কৃষি সেক্টরকে দুর্বল করে দিচ্ছে: নাসিম

ডেস্ক রিপোর্ট: কৃষিবিদদের বিভক্তি কৃষি সেক্টরকে দুর্বল করে দিচ্ছে: নাসিম

ফাইল ছবি

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে দেশের কৃষি সেক্টরের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু নিজেদের মধ্যকার বিভাজন বিরাজনীতিকরণ আমাদেরকে দুর্বল করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম এমপি।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষে কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

বাহাউদ্দীন নাসিম বলেন, আমাদের সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষি সেক্টরের সবাইকে এক হয়ে দেশের কৃষির স্বার্থে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু কোন অপশক্তি আমাদের এক হতে দিচ্ছে না তা খুঁজে বের করতে হবে। সেই অপশক্তি অপসারণ করে, সকল পেছনের কষ্ট ভুলে আমাদের কাধে কাধ মিলিয়ে একত্রিত হয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি আমরা কৃষিবিদরা আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অনেকটা সক্ষম হয়েছি। বাকি কাজগুলো আমাদের একত্রিত হয়ে সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু আমাদের নিজেদের মধ্যে বিভাজন, বিভক্ত আমাদের প্রকৃত সাফল্য ও সম্মান অর্জনে অনেক ক্ষেত্রে বাধা হয়ে আসছে।

কৃষিবিদ ইনিস্টিউশনের সভাপতি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূইয়া বলেন, আমরা কৃষিবিদরা দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিতে সফল হয়েছি, সেই কথা সর্বজন স্বীকৃত হয়েছে। তবে আমাদের সামনের দিনগুলোতে কৃষি বিষয়ক অনেক চ্যালেন্জ মোকাবেলা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউশনের সভাপতি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড.মো.শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া। প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুস শহীদ, সম্মানীয় অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মোহা. সেলিম উদ্দিন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষিবিদ ওয়াহিদা আক্তার।

জাল টাকা দিয়ে বই কিনতে গিয়ে যুবক আটক

ছবি: বার্তা ২৪.কম

গাইবান্ধায় জাল টাকায় বইসহ শিক্ষা সামগ্রী কেনার চেষ্টাকালে লাইব্রেরীতে সাদ্দাম হোসেন (২৫) নামের প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় পালিয়েছে চক্রের আরো এক সদস্য।

মঙলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের নিউমার্কেটের একটি লাইব্রেরীতে জাল টাকা দিয়ে বই কেনারর চেষ্টা করলে ব্যবসায়ীরা ওই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

আটককৃত সাদ্দামেরর বাড়ি টাঙ্গাইলে। সে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার বকুলপুর গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে।

বিষয়টি রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা।

ব্যবসায়ীদের বরাতে তিনি জানান, দুপুরে আটককৃত যুবক সাদ্দাম শহরের নিউ মার্কেটের একটি লাইব্রেরীতে বই, খাতা, কলমসহ বেশ কিছু শিক্ষা সামগ্রী নিয়ে জাল টাকা দেয়। দোকান মালিক বুঝতে পেরে ওই যুবককে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আটক করে থানায় নেয়।

এসময় ওই যুবকের কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে কিছু কসমেটিক দ্রব্য, স্টীলের চামচ ও ধানের বীজ পাওয়া গেছে। আটক যুবককে আগামীকাল সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

নিউ মার্কেটের আধুনিক লাইব্রেরীর স্বত্বাধিকারী আবু রায়হান বলেন, সম্প্রতি এখানকার বেশ কয়েকজন বই ব্যবসায়ী জাল টাকা প্রতারক চক্রের হাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বই নেওয়ার সময় এই যুবকের সাথে আরো এক যুবক ছিল। কিন্তু কৌশলে পালিয়েছে। এরা আরো বেশ কয়েকজন রয়েছে।

;

জাল রশিদ দিয়ে করের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি: বার্তা ২৪.কম

জাল রশিদ দিয়ে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার আল মুনসুর নামে এক দোকানির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আল-আমিন তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন। তবে মামলা হওয়ার সংবাদ জানতে পেরে আত্মগোপন করেছেন মুনসুর।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আল-আমিন।

তিনি জানিয়েছেন, আল মুনসুর কম্পিউটারে কম্পোজ, প্রিন্ট, ফটোকপি, চাকরির আবেদন ও জমির নামজারির আবেদন সংক্রান্ত ব্যবসা করেন। তিনি উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিন’র ছেলে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে সে, জানুয়ারিতে উপজেলার লাউয়ারি গ্রামের আ.আজিজ খান’র ভূমি উন্নয়ন কর দেয়ার ১০ হাজার ৯৫০ টাকা নেন মুনসুর। পরে তিনি করের টাকা জমা না দিয়ে কম্পিউটার থেকে জাল একটি ভূমি উন্নয়ন কর রশিদ তৈরি করে প্রিন্ট দিয়ে তার হাতে ধরিয়ে দেন মুনসুর।

আজিজ করের সেই ভূয়া রশিদ নিয়ে ধলামূলগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমি খারিজ করতে চান। তখনই মুনসুরের করা প্রতারণার বিষয়টি উঠে আসে। পরে তিনি পূর্বধলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজনীন আকতারর শরণাপন্ন হন।

এদিকে সহকারী কমিশনার নাজনীন বিষয়টি জানার পর মুনসুরের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল আহসান। অভিযানে কম্পিউটার চেক করলে প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে কম্পিউটারটি জব্দ করা হয়।

মামলার বরাত দিয়ে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন, মুনসুর দীর্ঘদিন ধরে তার দোকানে কম্পিউটার ব্যবহার করে জাল ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ তৈরিসহ ভূয়া সনদপত্র প্রস্তুত করে মানুষের কাছ আর্থিক সুবিধা নিতেন। তাকে গ্রেফতারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

;

বিয়ের প্রলোভনে তরুণী ধর্ষণ, কারাগারে পুলিশ সদস্য

ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর রায়পুরায় উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূ (২২) ধর্ষণের অভিযোগে ইমন মিয়া (২৮) নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযুক্ত ইমনকে গ্রেপ্তার করে রায়পুরা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সকালে ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এবং অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।

অভিযোগে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভৈরব এলাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে চট্টগ্রামে বেড়ানোর কথা বলে পুণরায় ওই নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক হয় তাদের। গত রোববার ওই তরুণীর বাসায় এসে শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্য ইমন। এসময় বিয়ের প্রস্তাব দিলে ইমন অস্বীকার করে এবং তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে পুলিশ সদস্য ইমনকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে। সোমবার সকালে ভুক্তভোগী ওই তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার হালিম সরকার মুঠোফোনে বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারীর পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ আসে। পরে তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ইমনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

গ্রেপ্তারকৃত ইমন রায়পুরা উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামের মাহে আলমের ছেলে। সে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।

;

ভবন নির্মাণে অনিয়ম ঠেকাতে রাজউকের পরিদর্শন বই বিতরণ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন এলাকায় অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ইমারত নির্মাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি নির্মাণাধীন ভবনের জন্য পরিদর্শন বই সংরক্ষণ করা হচ্ছে। রাজউক চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিঞা গতকাল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজউকের ৮ টি জোনের সকল জোনাল পরিচালক এবং ২৪ টি সাব-জোনে দায়িত্বরত অথরাইজড অফিসারদের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন বহি বিতরণ করেন।

রাজউকের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ শাখায় কর্মরত ইমারত পরিদর্শক এবং প্রধান ইমারত পরিদর্শকদের প্রতিনিয়ত নির্মাণাধীন সাইট পরিদর্শন, অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় করে নির্মাণ রোধ করতে পরিদর্শনের সময় কোন ব্যতয় পাওয়া গেলে তা লিখে রাখা এবং ব্যত্যয় করে নির্মাণ করা ভবনের মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া ও ইমারত নির্মাণ আইন, ১৯৫২ অনুযায়ী নেয়া ব্যবস্থা লিখে রাখার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, “রাজউকের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নির্মাণাধীন ভবন সমূহে মনিটরিং বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় করে যাতে কোন ধরণের নির্মাণ কাজ না হয় সে লক্ষ্যে পরিদর্শন বই বিতরণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভবনগুলোর একটা রেকর্ডও থাকবে। এতে করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে।’

রাজউকের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১ শাখার পরিচালক মোহাম্মদ সামছুল হক বলেন, ‌’রাজউকের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ শাখার কার্যক্রমকে গণমুখী এবং গতিশীল করার লক্ষ্যে এই পরিদর্শন বই বিতরণ করা হয়েছে। এই পরিদর্শন বহিয়ের যথাযথ ব্যবহার রাজউকের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনাকে এবং নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’

রাজউকের এই পরিদর্শন বই বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, এনডিসি এবং রাজউকের জোনার পরিচালক এবং অথরাইজ অফিসারবৃন্দ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *