আন্তর্জাতিক

ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসে স্বর্ণের বারসহ বাংলাদেশি নারী আটক

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসে ৪৬৬ গ্রাম ওজনের ৪টি স্বর্ণের বারসহ নাজনীন নাহার নামে বাংলাদেশি এক পাসপোর্টধারীকে আটক করেছে বিএসএফ। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সদস্যরা তাকে স্বর্ণের বারসহ আটক করে।

আটক নাজনীন নাহার বেনাপোল চেকপোস্ট হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পেট্রাপোল থানা পুলিশে সোপর্ট করেছে বিএসএফ।

স্বর্ণ পাচারকারী নাজরীন নাহার ঢাকার ভুইয়া পাড়া খিলগাও এলাকার মোহাম্মদ আলতাফ হোসেনের স্ত্রী।

ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, নাজনীন নাহার বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস পার হয়ে ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসে পৌঁছালে তার গতিবিধিতে সীমান্ত রক্ষীদের সন্দেহ হয়। এ সময় তার শরীর তল্লাশির এক পর্যায়ে পেটের ভিতর পায়ু পথে লুকিয়ে রাখা ৪ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।

জানা যায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৪টি স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করে। এর একটি মোবাইল স্ক্যানার স্থাপন হয় বন্দরের বাইপাস সড়কে পণ্য প্রবেশ দ্বারে। অত্যাধুনিক মেশিনটি পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম। এছাড়া বেনাপোল চেকপোস্ট ও রেল স্টেশন আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন- কাস্টমস রুটে চোরাচালান রোধে আরো ৩টি স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়। স্ক্যানিং মেশিনটি কাস্টমসের পক্ষে পরিচালনা করে আসছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস। তবে স্ক্যানিং মেশিন গুলোর মধ্যে ৩টি যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ায় গেল ৪ মাস ধরে স্কানিং কার্যক্রম সম্পূর্ন বন্ধ রয়েছে। এতে অবাধে আমদানি পণ্য ও পাসপোর্ট যাত্রীর মাধ্যমে স্বর্ণ ও মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে চোরাচালান ব্যাপক হারে বেড়েছে। এছাড়া ঢাকা-কলকাতা রুটে যাত্রি নিয়ে চলাচলকারী পরিবহনগুলো অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে চোরাচালানে।

কাস্টমসের পক্ষে স্ক্যানিং মেশিন তদারকিতে নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার এ্যাসোসিয়েটস এর বেনাপোল অফিস ব্যবস্থাপক বনি আমিন জানান, স্ক্যানিং মেরামত করতে বড় অংকের অর্থের প্রয়োজন। সেটি চুক্তি অনুযায়ী কাস্টমসের ব্যয় বহণ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্ক্যানিং ৩টির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

স্বর্ণবার আটকের বিষয়ে, ডিআইজি শ্রী এ কে আর্য বিএসএফ জওয়ানদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, যে সোনা চোরাকারবারিরা বারবার সোনা পাচারের চেষ্টা করে কিন্তু বিএসএফ সৈন্যরা ঘটনাস্থলেই তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়।

তিনি সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনকে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত কোনো তথ্য পেলে বিএসএফের হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *