খেলার খবর

এমবাপের ইতিহাসের রাতে পিএসজির স্বস্তির জয়

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রতিপক্ষ রিয়াল সোসিয়েদাদ দলটা সহজ প্রতিপক্ষ নয় মোটেও। গ্রুপপর্বে সবচেয়ে কম গোল হজম করা দলটা ছিল স্প্যানিশ এই দল। তাদের বিপক্ষে গতকাল ভুগতে হলো পিএসজিকেও। তবে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের শেষমেশ রক্ষা করলেন এমবাপে। নিজে গড়লেন রেকর্ড। তাতে সোসিয়েদাদ গোলমুখ খুলল অবশেষে। পিএসজি পরে আরও এক গোল করে মাঠ ছেড়েছে ২-০ গোলের স্বস্তির এক জয় নিয়ে।

পিএসজি প্রথমার্ধে রিয়াল সোসিয়েদাদের জমাট রক্ষণের সামনে কোনো উপায়ই খুঁজে পাচ্ছিল না। কিলিয়ান এমবাপে বল ছুঁয়েছেন মোটে ১৫ বার, প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক বাদে আউটফিল্ডের খেলোয়াড়দের মধ্যে যা ছিল সর্বনিম্ন। ম্যাচের একেবারে শুরুর দিকে একটা সুযোগ অবশ্য পেয়েছিলেন তিনি, তবে তার দুর্বল শটে সে সুযোগটা পায়নি কাঙ্ক্ষিত পরিণতি। 

দ্বিতীয়ার্ধে রূপটা বদলাল। কর্নার থেকে মারকিনিয়োসের মাথা ছুঁয়ে যায় প্রথমার্ধে নিজের ছায়া হয়ে থাকা এমবাপের কাছে, সে বলটা দারুণভাবে ভলি করে সোসিয়েদাদের জালে জড়িয়ে পিএসজিকে এগিয়ে দেন তিনি। 

তাতেই গড়া হয়ে যায় রেকর্ডটা। ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা দশটি হোম ম্যাচে গোল করার ইতিহাস গড়ে ফেলেন তিনি। 

এরপর দ্বিতীয় গোলটাও পিএসজি পেয়ে গেছে একটু পরেই। ম্যাচের ৭০ মিনিটে ফ্যাবিয়ান রুইজের পাস থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ব্র্যাডলি বারকোলা। এক ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে আগুনে এক শটে বল জড়ান সফরকারীদের জালে। তাতেই স্বস্তির এক স্কোরলাইন নিয়ে মাঠ ছাড়া নিশ্চিত হয়ে যায় লুইস এনরিকের শিষ্যদের। 

পিএসজির এই জয়ের রাতে একটা রেকর্ড গড়া হয়ে গেছে কোচ লুইস এনরিকেরও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে কোনো দলের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার একবারও হারেননি তিন, সাতটা ম্যাচে জিতেছেন, এক ম্যাচে তার দল করেছে ড্র। ঘরের মাঠে প্রথম নকআউট ম্যাচ হারের আগে এর চেয়ে বেশি ম্যাচ কাটানোর রেকর্ড নেই আর কারো। গত রাতে তিনি ছুঁয়ে ফেলেছেন ফ্যাবিও ক্যাপেলোর রেকর্ড। পিএসজি পরের রাউন্ডে গেলে সে ম্যাচটা হার ছাড়া কাটিয়ে দিলে এই রেকর্ডটা একান্তই নিজের করে নেবেন এনরিকে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *