সারাদেশ

মির্জা ফখরুলের জামিন আদালতের বিষয়: কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: মির্জা ফখরুলের জামিন আদালতের বিষয়: কাদের

ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের জামিন বা বিচারের সব সিদ্ধান্ত আদালতের বিষয়, তা সরকারের বিষয় না।’

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের নির্যাতনের যে চিত্র, সেই কারণে তারা শাস্তির বাইরে যেতে পারে না।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের চারদিন পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এসেছে। কাজেই আমরা মনোনয়ন দিলেও প্রতীক দেয়া থেকে বিরত থেকেছি। তাই এটা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ নেই।

মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ভোটে হারার পর ও কেন মনোনয়ন পেয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মহিলা আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট আগে কখনো পরাজিত হননি। যেহেতু মহিলা আওয়ামী লীগ সারা দেশেই মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব করে তাই সংরক্ষিত আসনে থাকাটা প্রায়োগিক অর্থে খুবই বাস্তবসম্মত। এখানে কর্মীদের মধ্যেও অনেকে সংরক্ষিত আসনে এসেছে।

মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ভোটে হারার পরও সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেয়াটা ঠিক হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, না, এটা তো আমাদের দলের ব্যাপার। এটা আমাদের বোর্ডের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। কোনটা সঠিক হবে, কোনটা বেঠিক হবে এটা যাচাই-বাছাই করে ঠিক করা হয়েছে। ছেলেদের ব্যাপারে এটা স্কুপ থাকে না। কিন্তু মহিলাদের যেহেতু সংরক্ষিত আসনের সুযোগ আছে, আর যেহেতু মহিলাদের প্রধান প্রতিনিধি মহিলা আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট, সেজন্য রাখাটা আমাদের পার্টি বাস্তবসম্মত মনে করেছে। এখানে জনগণের প্রত্যাখ্যানের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপদপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

‘অপরাধীদের নিয়ে’ করা কমিটি বাতিলের দাবি পদত্যাগ করা পাঁচ নেতার

ছবি: বার্তা ২৪.কম

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় সদ্য গঠিত যুবলীগের ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে। সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি অভিযোগ তোলে এর মধ্যে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন পাঁচ নেতা।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি নিয়ে একরাশ অভিযোগ তুলেছেন পদত্যাগকারীরা। তারা বলেছেন, ‘অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাই আগামী তিনদিনের মধ্যে এই কমিটি বাতিল ঘোষণা না করা হলে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেব।’

কমিটি থেকে পদত্যাগ করা পাঁচ নেতা হলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী খোকন, সদস্য মোহাম্মদ রায়হানুল হক চৌধুরী, মো. জহির উদ্দিন বাবর, মাঈনুদ্দীন হাসান চৌধুরী ও সনেট দাশ।

বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সুলতান আহমদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী খোকন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সাত বছর পর বাঁশখালী যুবলীগের কমিটি গঠনে আমরা খুশি হয়েছি। এতদিন ধরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সর্বস্ব কমিটি থাকলেও নতুন কমিটি গঠন হবে জেনে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী উজ্জীবিত হয়। অনেকেই আশা করেছিল দীর্ঘদিন পর একটি কমিটি সুন্দরভাবে সুশৃঙ্খল ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠিত হবে। কিন্তু গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে হঠাৎ করে যে কমিটি গঠন হয়েছে সেটি দেখে আমরা হতাশ হয়েছি। যুবলীগ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন হলেও এ কমিটি গঠনের আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কিংবা স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীর ক্লিন ইমেজের নেতাদের কমিটিতে রাখার ঘোষণার কথা উল্লেখ করে খোকন আরও বলেন, ‘বাঁশখালী যুবলীগের কমিটি গঠনের বেলায় হয়েছে উল্টো। মানবিক যুবলীগকে বিতর্কিত করে এ কমিটি গঠনের বেলায় কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে মোহাম্মদ আলী নামের একজনকে হত্যার ঘটনায় ১১ নম্বর চার্জশীটভুক্ত আসামি আহ্বায়ক নূরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রামকে। এই ব্যক্তি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করলেও জায়গা বেচাবিক্রি করে অঢেল ঢাকার মালিক বনে গেছেন। যে কারণে কোনো দিন যুবলীগ না করেও হঠাৎ করে তাকে কমিটিতে আহ্বায়ক করা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় প্রচার আছে, এ কমিটিতে আহ্বায়ক হতে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে প্রায় অর্ধকোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য পদে আসতেও একেক জনের কাছ থেকে একেকভাবে টাকা নেওয়া হয়েছে। যে কারণে এ কমিটি গঠনের বেলায় প্রায় কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে।’

কমিটিতে অনেকে অতীত রাজনীতির ভুয়া পদ ব্যবহার করে স্থান পেয়েছেন জানিয়ে খোকন আরও বলেন, ‘জেলা যুবলীগের সাবেক এক নেতার মধ্যস্থতায় এ কমিটি অনুমোদিত হয়েছে। এই নেতার সম্বন্ধী, ভগ্নিপতি, তালতো ভাই, শ্যালক, ভাগিনাসহ আত্মীয় স্বজনদের কমিটিতে রেখেছেন। ওই নেতার মধ্যস্থতায় অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে কমিটি হয়েছে। অন্যারাও নানা সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন বলে ভুয়া রাজনৈতিক পরিচয় ও ভুয়া জন্মসন দিয়ে পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন। সদস্য পদে থাকা কমপক্ষে ১৪ জন নেতা ভুয়া রাজনৈতিক পদবী ব্যবহার করে নেতা হয়েছেন। অন্যের বাড়ি দখল করে সমালোচিত হওয়া এমন ব্যক্তিও আছেন কমিটিতে। গত বছরের মে মাসে সাতকানিয়ায় ইটভাটায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে র‍্যাবের হাতে আটক হওয়া একজনকে সদস্য রাখা হয়েছে।’

কমিটিতে অতীতে জামায়াত-শিবির ও ছাত্রদলের রাজনীতি করছেন এমন ব্যক্তিদের রাখার অভিযোগও তোলা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বলা হয়, কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়কের পদ পাওয়া আরিফ মঈনুদ্দিন ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন। অথচ অতীতে যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন এমন ভুয়া পদ ব্যবহার করে এবার নেতা হয়ে গিয়েছেন। কমিটির ৭নম্বর সদস্য মোহাম্মৎ শাহদাত হোসেন জামায়াত পরিবারের সন্তান। কমিটির ১৯নম্বর সদস্য মো. এরশাদ একজন শিবির কর্মী হয়েও ছাত্রলীগের ভুয়া পদবী ব্যবহার করে নেতা হয়েছেন। এছাড়া কমিটির ১৫নম্বর সদস্য হয়েছেন মিশুক কান্তি দে মিশু নামের এক যুবক। তার রাজনৈতিক পরিচয় হিসেবে দেখানো হয়েছে সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগ। কিন্তু ওই নামে সিটি কলেজের ইতিহাসে কোনো যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন না।’

কমিটি গঠনে ত্যাগী ও দীর্ঘদিনের রাজপথের নেতাকর্মীদের বাদ দেওয়ার কারণে আহ্বায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন জানিয়ে এই পাঁচ নেতা বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিষয়টি আমরা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেও জানিয়েছি। আগামী তিনদিনের মধ্যে এ কমিটি বিলুপ্ত কিংবা যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত না আসলে আমরা বাঁশখালী উপজেলা ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’

;

ডামি নির্বাচনের পর সরকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে: শামীম

‘ডামি নির্বাচনের পর সরকার আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে’

৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর সরকার এখন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরকারের পদত্যাগ, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, ভারত বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদে সদরঘাট ও ডবলমুরিং থানা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে সরকার। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এক ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে। বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করা হয়েছে। দেশের মানুষের জীবন ও ভূমি এখন অরক্ষিত। দেশ এক চরম অন্ধকারের মধ্যে নিমজ্জিত হয়েছে। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে দেশ এখন ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে এবং চলবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। বিএনপির আন্দোলন গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন।

তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় দোকানদার, পথচারী ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।

শামীম বলেন, বিএনপির কাছে অবৈধ ক্ষমতা নয়, জনগণের স্বার্থই বড়। একারণে বিএনপি কোনোভাবেই দেশ ও জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কারও সঙ্গে আপস করেনি। তাই বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ শেখ হাসিনার ব্যালট প্রত্যাখ্যান করে ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন করেছিলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি মো. সেকান্দর, সাধারণ সম্পাদক হাজ্বী বাদশা মিয়া, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য সাইফুর রহমান শপথ, মহানগর বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভুলু, সদরঘাট থানা বিএনপির সহ সভাপতি ইব্রাহিম মান্নান মিনু, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুউদ্দিন সোহেল প্রমুখ।

;

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নাম ঘোষণা করেন।

মনোনয়ন প্রাপ্তরা হলেন- রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), দ্রোপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট), কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর), জারা জেবিন মাহবুব (চাপাইনবাবগঞ্জ), রুনু রেজা (খুলনা), ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), ফরজানা সুমি (বরগুনা), খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), নাজনীন নাহার রশীদ (পটুয়াখালী) ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), উম্মি ফারজানা ছাত্তার (ময়মনসিংহ), নাদিয়া বিনতে আমিন (নেত্রকোনা), মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট), আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ), আরমা দত্ত (কুমিল্লা), লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা), বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), শবনম জাহান (ঢাকা), পারুল আক্তার (ঢাকা), সাবেরা বেগম (ঢাকা), আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ (বরিশাল), নাহিদ ইজাহার খান (ঢাকা), ঝর্ণা হাসান (ফরিদপুর), সদ্য সাবেক মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ), শাহেদা তারেখ দীপ্তি (ঢাকা), অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী), আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম (টাঙ্গাইল), আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল), মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর), অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল), হাছিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা), নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), রুমা চক্রবর্তী (সিলেট), আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর), আশ্রাফুননেছা (লক্ষ্মীপুর), কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম), ফরিদা খানম (নোয়াখালী), দিলোয়ারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম), ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি), আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম (ঢাকা), নাছিমা জামান ববি (রংপুর)।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্ধারিত ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ৪৮টি (দলীয় স্বতন্ত্রদের ১০টিসহ) পাবে আওয়ামী লীগ। এই ৪৮টি আসনের বিপরীতে ১৫৪৯ নারী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ৬-৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি ৫০ হাজার টাকা মূল্যের মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলের আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

;

দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করা হয়েছে: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কক্সবাজারের টেকনাফে এবং বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মুহুর্মুহু গুলি হচ্ছে। বাংলাদেশের কৃষকরা সীমান্তে কাজ করতে পারছে না। তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। আমার বাংলাদেশ সরকার হাত গুটিয়ে বসে আছে। তারা নীরব। একটা প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ শিরোনামে সারা দেশে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর গুলশানে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবি ছাড়াও সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ নির্বাচন দাবি করা হয় লিফলেটে।

রিজভী বলেন, আজকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী চলছে? ছাত্রলীগ সেখানে শৌন আনন্দের উৎসবে পরিণত করেছে। কুষ্টিয়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্রকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সরকার জনগণের টাকা লুটের পর তা ভাগাভাগি নিয়ে নিজেরা নিজেরা হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে।

তিনি বলেন, আজকে গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর সরকার নিজেদের জমিদার ভেবেছে। সেজন্যই তারা দেশে জমিদারতন্ত্র কায়েম করেছে। কিন্তু এই জমিরদারতন্ত্র সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে এবং চলবে। জনগণের কাছে আপনাদের ক্ষমতা হস্তান্তর করতেই হবে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন। এই আন্দোলন জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করার আন্দোলন। এটা চলছে এবং অব্যাহত থাকবে।

লিফলেট বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, কাজী রফিকুল ইসলাম রফিক, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম মাসুম শান্ত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, বিএনপি নেতা মো. আশফাকুল ইসলাম সরকার, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, রেহেনা আক্তার শিরিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, সাদেক মিয়া, জাকারিয়া হোসেন ইমন, ঢাবির যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, প্যাব দপ্তর সম্পাদক হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, আশরাফুল আসাদ, সাইদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদল নেতা আতিক, যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম, কাজী মনজুর রহমান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের তোহা আমিনসহ নেতারা।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *