‘কিছু আসক্তি বর্তমান প্রজন্মের মেধা ও মননকে ধ্বংস করে দিচ্ছে’
ডেস্ক রিপোর্ট: ‘কিছু আসক্তি বর্তমান প্রজন্মের মেধা ও মননকে ধ্বংস করে দিচ্ছে’
ছবি: বার্তা ২৪.কম
বেশ কিছু আসক্তি বর্তমান প্রজন্মের মেধা ও মননকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।
শুক্রবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সহযোগিতায় অমর একুশে বই মেলা মঞ্চে ‘শিশু উৎসবে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় দুঃখ প্রকাশ করে পেয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান প্রজন্ম বেশ কিছু আসক্তিতে অবগাহন করে আছে। যা তাদের মেধা ও মননকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সৃষ্টিশীলতাকে বিনাশ করে তাদের অন্ধকার এক জগতে টেনে নিচ্ছে।
সেই আসক্তি আর অন্ধকার থেকে তাদের ফিরিয়ে আনতে পরিবারসহ সমাজের সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, শিশুরাই জাতি গঠনের মূল ভিত্তি। একটি জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধির বীজ সুপ্ত অবস্থায় লুকায়িত থাকে শিশুর মধ্যেই। শিশু জন্ম নেওয়া মানে যে শুধু সেই শিশুটার মধ্যে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে এমনটা কিন্তু নয়, বরং একটি জাতির উন্নতির সঞ্চার হয় সুষ্ঠু পরিবেশে বিকশিত হওয়া সেই শিশুর মাধ্যমে। স্বাধীনতার পর সুখী, সমৃদ্ধ, সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বক্ষেত্রে সকল শিশুকে পূর্ণ মর্যাদাবান মানুষরূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন ।
শিশু উৎসবের উদ্বোধক চট্টগ্রাম মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (চলতি দায়িত্ব) ও সচিব প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র নাথ বলেন, বই পড়লে জ্ঞানের অধিকারী হওয়া যায়। শিশুদের অধিক জ্ঞানী করতে পিতা, মাতা ও অভিভাবককে বই পড়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
‘শিশু উৎসবে’ শিশু সাহিত্যিক ও নাট্যজন অধ্যাপক সনজীব বড়ুয়ার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অমর একুশে বই মেলা কমিটির আহ্বায়ক ড.নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দীন শ্যামল ও কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল।
আলোচনা সভা শেষে সংগীত পরিবেশন করেন সুর ছন্দ সংগীত একাডেমি, চ্যানেল আই শিল্পী প্রিয়া ভৌমিক, বেতার ও টিভি শিল্পী জাহেদ হোসেন, নুসরাত জাহান রিনী, নিশা চক্রবর্তী। নৃত্য পরিবেশন করেন ঘুংঘুর নৃত্য কলা একাডেমি ও নৃত্যম একাডেমি।
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধায় বাংলাদেশে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের বাইসাইকেল র্যালি
ছবি: বার্তা২৪.কম
মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে “১০০ মাইলস” নামে একটি সংগঠনের ১০ জন ভাষা প্রেমী বাংলাদেশে এসেছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্ত থেকে র্যালির সদস্যরা বাইসাইকেল চালিয়ে বেনাপোল সীমান্তে পৌঁছায়। পরে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসের কার্যক্রম শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে তারা রওনা দিয়েছেন।
এদিকে র্যালিটি শুন্য রেখায় পৌছালে গানে গানে মিলন মেলায় রুপ নেয়। এসময় শত শত পাসপোর্টধারী এ দৃশ্য উপভোগ করেন।
“বাংলা কখনো হয়না ভাগ, বাংলা ভাষায় আমরা এক। মুজিবরের দুইটি মেয়ে দুই পারে দুই নায়ের নেয়ে। বাংলা বলো বিশ্ব জয়ের অকুন্ঠ উদ্দাম।” এমন সুরে শুন্য রেখায় দেশ বিদেশি পাসপোর্টধারীদের মাতিয়ে তোলেন ভিনদেশী একদল বাংলা ভাষা প্রেমী তরুণেরা।
এনিয়ে দশ বারের মত ভারতের পশ্চিম বঙ্গের “১০০ মাইলস” নামের এ সংগঠনটি কেবল ভাষার টানে ছুটে এসেছে বাংলাদেশে।
র্যালির সদস্যরা জানান, একমাত্র বাঙালী যারা নিজের ভাষা রক্ষায় জীবন দিয়েছে। পৃথিবীতে এমন নজীর আর কারো নেই। মায়ের ভাষা বাংলাতে কথা বলি এটা সেই ভাষা শহীদদের অবদান। তাই তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২১শে ফেব্রুয়ারি এলেই ছুটে আসি এদেশের মাটি ও মানুষের কাছে।
বাইসাইকেল র্যালির টিম প্রধান সরজিত রায় জানান, ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হবে। ভাষা রক্ষা আজ জরুরী হয়ে পড়েছে। ভাষার টানে বাংলায় আসা। ভাষা দিবসের কর্মসুচী শেষে ফেব্রুয়ারি বাইসাইকেল র্যালি ২২ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল বন্দর হয়ে ভারতে ফিরবে।
বেনাপোল সরগম সংগীত একাডেমির সভাপতি মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান, বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গৌরবের কারণে আজ মাতৃভাষা দিবস আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে বিশ্ব এই ভাষা শহীদদের ততদিন শ্রদ্ধা জানাবে।
;
রংপুরে র্যাবের অভিযানে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেফতার
ছবি: বার্তা ২৪.কম
রংপুরের মিঠাপুকুরে মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে প্রায় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ ট্রাক চালক ও তার হেলপারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩। এ সময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় র্যাব-১৩ এর উপ-পরিচালক (মিডিয়া) স্কোয়াড্রন লীডার মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, লালমনিরহাট জেলার কুলাঘাট এলাকার আলাল উদ্দিনের ছেলে ট্রাকের চালক মো. দুলাল ইসলাম এবং একই এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে ট্রাকের হেলপার মো. জামিনুল।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার ভোরে র্যাব-১৩ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বলদিপুকুর এলাকায় রংপুর-ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায়। এ সময় সন্দেহভাজন একটি ট্রাক তল্লাশি করে ৩৩ দশমিক ৯ কেজি গাঁজাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছে বলে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানায় র্যাব বাদী হয়ে একটি মাদক মামলা করেছে।
;
লক্ষ্মীপুরে বিয়ে বাড়িতে পানি নিয়ে সংঘর্ষ, বর-কনেসহ আহত ১০
ছবি: বার্তা২৪.কম
লক্ষ্মীপুরে বিয়ে বাড়িতে পানি নিয়ে সংঘর্ষে বর-কনেসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জন সদর হাসপাতালে ভর্তি ও অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সদর উপজেলার চর রুহিতা ইউনিয়নের কাঞ্চনি বাজার এলাকার মাঝি বাড়িতে ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, চর রুহিতা ইউনিয়নের কাঞ্চনিবাজার এলাকার মাঝি বাড়ির হুমায়ুন কবিরের মেয়ে রুমা আক্তারের সাথে একই ইউনিয়নের চর রুহিতা গ্রামের হাওলাদার বাড়ির দিন মোহাম্মদের ছেলের সঙ্গে দুই বছর পূর্বে বিয়ে হয়। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বরযাত্রীরা কনের বাড়িতে যায়। ১৩০ জন বরযাত্রীর যাওয়ার কথা থাকলেও কনে পক্ষের দাবি তারা আরও বেশি অতিথি যান। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে বরের দুলাভাই নাসির পানি চাইলে সেটি দিতে দেরি হওয়ায় বর পক্ষের লোকজন চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। এনিয়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বর কামাল হোসেন, কনে রুমা আক্তার, বরের ভগ্নিপতি জহির হোসেন, কনের নানা আনায়ারুল্লাহ, মামা খোরশেদ, মামা স্বপন, প্রতিবেশী রাসেল, ইমন, বরের আত্মীয় রাসেল ও পারভীনসহ দুই পক্ষের ১০জন আহত হয়। এদের মধ্যে রাসেল, জহির, পারভীনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কনের মামাতো ভাই হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক আবদুল হান্নানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা বিয়ে বাড়িতে গিয়েছি। বর ও কনের বাবাসহ উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। উভয় পক্ষ স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি মীমাংসা করবেন বলে জানিয়েছেন।
;
চার জেলেকে স্বজনদের কাছে পৌঁছে দিলো নৌবাহিনী
ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারের তলা ফেটে ভাসতে থাকা চার জেলেকে উদ্ধার করে সিঙ্গাপুরগামী একটি বাণিজ্যিক জাহাজ। পরবর্তীতে খবর পেয়ে তাদের কাছ থেকে ওই জেলেদের তীরে এনে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে নৌবাহিনী।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এমভি রেফলেস প্রগ্রেস নামের সিঙ্গাপুরগামী বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে ৪ জেলেকে গ্রহণ করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তীরে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার কক্সবাজার ইনানী এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে নৌ বাহিনীর ‘সমুদ্র জয়’ জাহাজ।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিক জাহাজটি দুর্ঘটনায় কবলিত ভাসমান ৪ জন জেলেকে জাহাজে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে মেরিটাইম রেস্কিউ কো অর্ডিনেশন সেন্টার (এমআরসিসি) কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। খবর পেয়ে বঙ্গোপসাগরে টহলরত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘সমুদ্র জয়’ উপকূল থেকে প্রায় ১৩২ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে গভীর সমুদ্র থেকে তাদেরকে গ্রহণ করে। উদ্ধারকৃতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, খাবার ও অন্যান্য সহযোগিতা শেষে স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কক্সবাজার নিয়ে আসে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারে ৬নং ঘাট থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে মাছ ধরার ট্রলার ‘মা’ সমুদ্রে যায়। পরবর্তী গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ট্রলারের তলা ফেটে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন জেলেরা। ট্রলারে থাকা ১৬ জনের মধ্যে ১১ জন জেলে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে পার্শ্ববর্তী অপর একটি মাছ ধরার ট্রলারে উঠতে সক্ষম হয়। বাকি ৫ জন জেলের মধ্যে ৪ জনকে ভাসমান অবস্থায় বাণিজ্যিক জাহাজের নাবিকরা উদ্ধার করলেও এক জন নিখোঁজ রয়েছেন।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।