সারাদেশ

চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নজিরবিহীন সংঘর্ষ, আহত ৩০

ডেস্ক রিপোর্ট: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নজিরবিহীন সংঘর্ষ, আহত ৩০

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুইটি উপগ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে। দিনভর উত্তপ্ত পরিবেশ থেকে বিকালের দিকে রূপ ন্যায় সংঘর্ষে। বিবাদমান উপগ্রুপ দুইটি হলো শাহ জালাল হলের সিক্সটি নাইন এবং শাহ আমানত ও শহীদ আব্দুর রব হলের সিএফসি।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে পূর্বের ঘটনার জের ধরে শাহ জালাল হল ও শাহ আমানত হলের মধ্যবর্তী স্থানে শুরু হয় এ সংঘর্ষ। এ সময় উভয় পক্ষকে নিজ নিজ হলের সামনে অবস্থান করে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও পরস্পরের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। সিএফসির কর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সিক্সটি নাইন পক্ষের কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

বিকাল সাড়ে চারটা থেকে শুরু হয়ে রাত আটটা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে তিনজন পুলিশসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন গুরুতর আহত বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার। তবে উভয় গ্রুপের নেতারা আহত হওয়ার সঠিক সংখ্যা গোপন করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএফসি পক্ষের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মির্জা খবির সাদাফ বলেন, সিক্সটি নাইনে কোন নেতা নেই। তাদের কেউ কাউকে মানে না। আজ আমাদের কর্মীরা জুমার নামাজ পড়ে ফেরার সময় সিক্সটি নাইনের কর্মীরা আমাদের কর্মীদের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার ঝামেলা শুরু হয়েছে।

সংঘর্ষের ব্যাপারে জানতে চাইলে সিক্সটি নাইন পক্ষের নেতা ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাঈদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, গতকালকে স্টেশনে একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে আমাদের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের একটা ছেলের সাথে ওদের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একজনের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। সেই থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। আমরা গত কালকে রাতেই সমাধানের লক্ষ্যে আমাদের ছেলেরা হলের ভিতরে ঢুকে যাই। কিন্তু সিএফসি আমাদের ছেলেদের বারবার বিভিন্নভাবে উস্কানি দিচ্ছে এবং রামদা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের দিকে ঢিল মারে। পরে আমার ছোট ভাইয়েরা ওদের এ ধরনের কাজ প্রতিহত করেছে।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় তুচ্ছ তুচ্ছ বিষয়গুলো অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি আমাদের অভিভাবক সাদ্দাম-ইনান ভাই আমাদের কমিটি দিয়ে দেন তাহলে গ্রুপ- উপ গ্রুপ থাকলেও জবাবদিহিতার একটা জায়গা থাকে। কিন্তু জবাবদিহিতার জায়গাটা না থাকার জন্য তুচ্ছ বিষয়গুলো বড় হয়ে যাচ্ছে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম শিকদার বলেন, আমরা সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে উভয়পক্ষকে হলে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এর পরপরেই অপর একটি অংশ এসে যোগ দিলে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর রাত আটটার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রক্টরিয়াল বডির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েও নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, শুরু থেকেই আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এতটাই অসহনশীল যে তারা আমাদের কোনো কথাই শুনতে চায় না। তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফের সংঘর্ষে চবি ছাত্রলীগ

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুইটি উপগ্রুপ ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে। উপগ্রুপ দুইটি হলো শাহজালাল হলের সিক্সটি নাইন ও শাহ আমানত হলের সিএফসি।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত আটটার দিকে শাহজালাল হল ও শাহ আমানত হলের মধ্যবর্তী স্থানে শুরু হয় এ সংঘর্ষ। এ সময় উভয় পক্ষকে নিজ নিজ হলের সামনে অবস্থান করে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও পরস্পরের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।

সিএফসির কর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সিক্সটি নাইন পক্ষের কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের ‘কালাম স্টেশনের’ সামনে সিএফসির কর্মী ফাহিমকে সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে মারধর করে সিক্সটি নাইনের কয়েকজন কর্মী। এরই জের ধরে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ দুটি।

খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হলেও সংঘর্ষে জড়িতদের নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সিএফসির নেতা সাদাফ খান বলেন, সিক্সটি নাইন গ্রুপের অনুসারীরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষ লাগানোর জন্য আমাদের এক জুনিয়রকে মারধর করেছে। সেটা থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।

জানতে চাইলে সিক্সটি নাইন পক্ষের নেতা ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাঈদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, সিএফসির জুনিয়ররা আমাদের ২০১৮-১৯ সেশনের একজনের সঙ্গে বেয়াদবি করার জেরে এ ঘটনা শুরু হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হলের সাথে আমাদের ঝামেলা শেষ না হতেই এ ঘটনা ঘটছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, আমরা ঘটনাস্থলেই আছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। এছাড়াও আমরা ঊর্ধ্বতন নেতাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি।

এর আগে, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুইটা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও বিজয়ের (সোহরাওয়ার্দী হল) কর্মীদের মধ্যে। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। চারজনকে গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

;

শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফেরাতে নাদির জুনাইদের বিকল্প শিক্ষকদের দায়িত্ব বণ্টন

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে একই বিভাগের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফেরাতে নাদির জুনাইদের পরিবর্তে তার নেওয়া কোর্সগুলো বিকল্প শিক্ষকদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। বিভাগের পক্ষ থেকে এ দায়িত্ব বণ্টন করা হয়।
 
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলা বিভাগটির একাডেমিক কমিটির এক মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
 
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল তার নিজ ক্ষমতাবলে নাদির জুনাইদকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠান। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসরুমে ফিরিয়ে আনতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
 
বৃহস্পতিবার একাডেমিক কমিটির মিটিং শেষে বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ স্বাক্ষরিত একটি লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে একাডেমিক কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় বিভাগের শিক্ষা পরিবেশ, শিক্ষার্থী-শিক্ষক সম্পর্ক এবং শিক্ষার্থীদের সব ধরনের কল্যাণ বিভাগের কাছে বরাবরের মতোই সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ। বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরিচালনার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের সব ধরনের একাডেমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শিক্ষকদের নৈতিক দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিভাগ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণে সচেষ্ট থাকবে।
 
অধ্যাপক নাদির জুনাইদের নেওয়া কোর্সগুলোতে এখন ১ম বর্ষের ১০৬ নম্বর কোর্সের ক্লাস নেবেন সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান এবং সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার। ২য় বর্ষের ২০৭ নম্বর কোর্সের ক্লাস নেবেন সহকারী অধ্যাপক আমেনা খাতুন এবং সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান আর মাস্টার্সের ৫০১ নম্বর কোর্সের ক্লাস নেবেন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ এবং ২য় বর্ষের (১৬ ব্যাচ) পরীক্ষা কমিটির প্রধান হিসেবে অধ্যাপক নাদির জুনাইদের পরিবর্তে সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিভাগের পক্ষ থেকে।

;

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে ফেলার প্রতিবাদে জাবি ছাত্রলীগ নেতার আমরণ অনশন

ছবি: বার্তা ২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মুছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কনের প্রতিবাদে জড়িতদের শাস্তিসহ ৩ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের বেদিতে আমরণ অনশন শুরু করেন। অনশনরত এই ছাত্রলীগ নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

অনশনরত ছাত্রলীগের নেতার উত্থাপিত তিন দফা দাবি হলো-

১.বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবমাননাকারীদের অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে।

২.বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় আইনে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৩.৮ দিন পার হলেও জড়িতদের ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা তদন্ত করতে হবে।

এসময় ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ছাত্র ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে জাতির জনকের ছবি মুছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গচিত্র এঁকেছে। এ ঘটনার আট দিনের বেশী সময় পেরিয়ে গেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রথম দিন থেকেই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে এসেছে। অথচ এখন পর্যন্ত জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় নাই। এরা আসলেই জাতির পিতার আদর্শকে মনে প্রাণে ধারণ করে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে জাতির পিতাকে এভাবে অবমাননা করা অত্যন্ত হীনতা, লজ্জার ও গুরুতর অপরাধ বলে মনে করি।’

এ ঘটনার বিচারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ এনে এই নেতা বলেন, উপাচার্যের কাছে আমাদের দাবি ছিল অনতিবিলম্বে এটি মুছতে হবে। আমরা দাবি করার পরেও কোনো স্টেপ নেননি। প্রায় ৭ দিনের মাথায় অনেক চাপাচাপির পর একটি লোক দেখানো কমিটি গঠন করেন। যারা ব্যঙ্গচিত্রটি এঁকেছে তারা ইতিমধ্যে সেটি স্বীকার করে তাদের ফেসবুক পেজে আপলোড দিয়েছে। এখানে তো কে অভিযুক্ত সেটা প্রমাণিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তো যেকোনো সমস্যা হলে জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং ডেকে ব্যবস্থা নেন। তাহলে এই ঘটনায় কেন ব্যবস্থা না নিয়ে উদাসীনতা দেখাচ্ছেন?

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।

এছাড়া এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করে তিনি বলেন, যেদিন এই ঘটনা ঘটে সেদিনই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে অবগত করেছি। তিনি প্রথম থেকেই কেন যেন এই ব্যাপারে উদাসীন ভাব দেখিয়েছেন। তার পদক্ষেপগুলো ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে তাল মিলিয়ে। এতোদিন হয়ে গেলেও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি এবং প্রশাসনের থেকে এ ব্যাপারে বিচার আদায় করে নিতে পারেননি।

অবহেলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ছাত্রলীগ একক ব্যক্তির সংগঠন নয়। আমাদের যেকোনো কাজ বা সিদ্ধান্ত নিতে হলে আলোচনা করতে হয়। আমরা এ ঘটনার পর স্মারকলিপি দিয়েছি, বিক্ষোভ মিছিল করেছি। এছাড়া সর্বশেষ গণজমায়েত ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছি। এর প্রেক্ষিতে উক্ত গ্রাফিতিটি মুছে দেয়া হয়েছে। তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর নতুন প্রতিকৃতি আঁকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জায়গাটি প্রস্তুত করা হচ্ছে।

এছাড়া মঙ্গলবার রাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ছাত্র ইউনিয়নের আঁকা চিত্রটি মুছে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর ব্যাঙ্গচিত্র তৈরীর এ ঘটনায় আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফীকে সভাপতি করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে রয়েছেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার শামীম আহমেদ ও চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এম এম ময়েজউদ্দীন। এছাড়া কমিটিতে সদস্য-সচিব হিসেবে রয়েছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন-২) এ বি এম আজিজুর রহমান। এই তদন্ত কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ হেল কাফী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে একটি মিটিংয়ে বসেছি। আমি এ ঘটনার যথাযথ বিচার নিশ্চিতের চেষ্টা করব।’

প্রসঙ্গত, কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি প্রতিকৃতির একটি গ্রাফিতি আঁকা ছিল। তবে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত এক দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে সে স্থানের বঙ্গবন্ধুর গ্রাফিতিটি মুছে ‘ধর্ষক ও স্বৈরাচার থেকে আজাদী’ একটি গ্রাফিতি অঙ্কন করে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের নেতাকর্মীরা। এ অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন ৪৭ ব্যাচের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অমর্ত্য রায় ও ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী।

;

চবিতে নাচেগানে বসন্ত বন্দনা

ছবি: বার্তা ২৪.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) উদ্যোগে বসন্ত বরণ করতে ‘ফাগুন সম্ভাষণ’ আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর কাছে বসন্তের আমেজ ছড়িয়ে দিতে বুদ্ধিজীবী চত্বরে নানা সাজে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যাপী উদযাপিত হয় এ আয়োজন।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ইনস্টটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আমির উদ্দিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে গান, নৃত্য পরিবেশনা, একক নৃত্য, স্ট্যান্ডআপ কমেডি, শ্রুতিনাটক, মাইম, কোরাস নিয়ে সাজানো হয়, ‘এসেছে বসন্ত’, ‘রাঙিলো ধরা’, ‘হারানো শৈশবে শিক্ষাপাড়া’। পিঠার মধ্যে ‘সরোবর’, ‘পঞ্চকোষের পিঠাপুরাণ’, ‘ফাগুন সমীকরণে’, ‘বসন্তের বর্ণিল পিঠা’, ‘শেষ অয়া গেল’, ‘বসন্তের পিঠার ঝুড়ি’, ‘পিঠান্বেষণ’ ইত্যাদি বাহারি নাম ছিল পিঠা স্টলের। স্টলে ছিল হরেক রকমের শতাধিক পিঠা। পিঠার মধ্যে ‘ডিমসুন্দরী’, ‘চিকেন পুরি’, ‘পোয়া’, ‘সুজি রসবড়া’, ‘ব্যাঙ পিঠা’, ‘পাটিসাপটা’, ‘পোয়া’, ‘মুগপাকন’, ‘খেজুরের গুড়ের পাটিসাপটা’, ‘কাবাব’, ‘নারিকেলের নাড়ু’, ‘মাংশপুলি’, ‘কাঁঠাল খিলি পিঠা’, ‘শাহী মালাই’, ‘ফুলঝুরি’, ‘ডালপাকন’, ‘পাকুড়া’, ‘চকোলেট পুডিং’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

স্টল ঘুরতে আসা রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফ হোসাইন বলেন,’আইইআরের উৎসবে সারা ক্যাম্পাসে সাড়া ফেলে। ক্লাস শেষ করেই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে চলে এসেছি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটা বেশি উপভোগ করছি। পিঠাও খেয়েছি অনেকগুলো। এমন আয়োজন সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরিতেও ভূমিকা রাখে।’

ইনস্টিটিউটের শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্যতিক্রমী শিক্ষার প্রাঙ্গণ। এখানে যেমন পড়াশোনায় জোর দেওয়া হয়, তেমনি সহশিক্ষা কার্যক্রমেও উৎসাহ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় আইইআরের শিক্ষার্থীরা বিতর্ক উৎসব, ফাগুন উৎসব, পিঠা উৎসব সবসময় আয়োজন করে থাকে। এমন আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত করতে ভূমিকা রাখে।’

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *