সারাদেশ

যাত্রীদের ওপর বমি করে ছিনতাই, ভাগ পায় চালক-হেলপারও

ডেস্ক রিপোর্ট: সীমাবদ্ধতা স্বত্ত্বেও সিলেটের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ অনুমোদন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সিলেট নগরীর সাগরদীঘিরপাড় ওয়াকওয়ে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য যেকোনো দলের কর্মসূচিকে স্বাগত জানালেও ধবংসাত্মক কার্যক্রম দমন করা হবে। কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দল যদি ধ্বংসাত্মক ও গণবিরোধী কোনো কার্যক্রম করে, তাহলে সরকার সংবিধান অনুযায়ী কঠোরভাবে তা দমন করবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন সঠিক লোককে লন্ডন থেকে এনে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের দেশে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার লোকের বড়ই অভাব, এক্ষেত্রে সিলেটের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন দায়িত্বশীল মানুষ।

তাজুল ইসলাম বলেন, যে যাই বলুক না কেন মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। কথা হওয়ার পরে আমি বুঝতে পেরেছি, একজন সঠিক ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী খুঁজে বের করেছেন। আমি মনে করি এরকম একজন লোককে দায়িত্ব দেয়ার জন্য সিলেটবাসী অনেক সৌভাগ্যবান।

একটি পরিচ্ছন্ন স্মার্ট সিলেট নগরী গড়তে মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহপরাণ (র.) এর স্মৃতিবিজরিত আধ্যাত্বিক এই নগরীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আলাদা মূল্যায়ন করেন, এজন্য তিনি এবারও নির্বাচনী কার্যক্রম সিলেট থেকেই শুরু করেছেন। এই নগরীর উন্নয়নে সরকার থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

তিনি বলেন, সিসিকের নির্বাচনের পর জাতীয় নির্বাচনের কারণে স্থানীয় সরকারের অধীনে কাজগুলো বন্ধ ছিল, মাত্র কাজ শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী অনেক কাজ হাতে নিয়েছেন। এই সরকারের আমলেই আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে সিলেটে ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে।

ওয়াকওয়ে পরিদর্শনকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও ড. একে আব্দুল মোমেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্‌রাহিম, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানসহ সিসিকের কাউন্সিলর ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ছিলেন।

সাগরদীঘিরপাড় ওয়াকওয়ে পরিদর্শনের পরে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক স্থাপিত অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন তিনি।

এদিকে একইদিন মন্ত্রীর অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজিরবাজার বৈঠা খাল পরিদর্শন, নবনির্মিত কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন, লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে সিসিকের এম.আর.এফ প্ল্যান্ট পরিদর্শন ও ফলক উন্মোচন, সিসিক পরিচালিত কুমারপাড়াস্থ ওসমান মিয়া মার্চেন্ট মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্বোধন, আরবান রেসিলিয়েন্সের আওতায় নির্মিত নগর ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার পরিদর্শন।

সিটি কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহিত কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান ও জালালাবাদ পার্কে সিসিক কর্তৃক আয়োজিত বসন্ত উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন তিনি।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর সিলেট আগমন উপলক্ষে এদিন দুপুর আড়াইটায় দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলস্থ ময়ুরকুঞ্জ কনভেনশন হলে এক নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।

এতে সভাপতিত্ব করবেন সিসিক মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *