সারাদেশ

বেনাপোল এক্সপ্রেস পদ্মার রেল সেতু দিয়ে ঢাকা গেল

ডেস্ক রিপোর্ট: বেনাপোল এক্সপ্রেস পদ্মার রেল সেতু দিয়ে ঢাকা গেল

ছবি: বার্তা২৪.কম

পদ্মাসেতু হয়ে প্রথমবারের মত বেনাপোল থেকে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন বেনাপোল এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করেছে। এ আগে রেলটি যমুনা সেতু হয়ে যেত ঢাকায়।

বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) দুপুর ১টায় যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে রাত সাড়ে ৮ টায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকায় পৌঁছাবে। পরেরদিন সকাল ৭ টা ২০ মিনিটে আবার যাত্রী নিয়ে ফিরবে বেনাপোল। বেনাপোল থেকে সাড়ে ৩শ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ট্রেনটি। তবে যাত্রাপথে অন্যান্য স্টেশন থেকে আরও যাত্রী উঠবে এই ট্রেনে।

এর আগে পদ্মা সেতুতে সড়ক পথে যানবাহনে বেনাপোল বন্দর থেকে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সেবা চালু হয়েছে। আজ থেকে এরুটে যাত্রীরা পাচ্ছে রেলসেবা।

ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রী কমলেস বিশ্বাস জানান, নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণের সুযোগ সৃষ্টিতে খুশি তারা। প্রথম যাত্রী হতে তিনি বেনাপোল এক্সপ্রেসে টিকিট নিয়েছেন। তিনি ছাড়াও দেশ, বিদেশি অনেকেই বেনাপোল থেকে রেল যাত্রায় যুক্ত হয়েছে। যোগাযোগ খাতে সরকারের একের পর এক এমন উন্নয়ন আগামীতে মানুষের জীবন যাত্রা আরো সহজ করবে।

জানা যায়, গত বছরের ২৫ জুন সব জল্পনা, কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পদ্মার বুকে সেতু উদ্বোধন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এতে ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ, পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা যুক্ত হয়। সময়ও দূরত্ব কমে আসায় গত এক বছরে যোগাযোগ খাতে সুফল মেলে যাতায়াত ও বাণিজ্যে।

এরই মধ্যে মানুষের জীবন যাত্রাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে এবার পদ্মার সেতুতে চালু হলো রেল সেবা। ১ নভেম্বর খুলনা থেকে যাত্রী নিয়ে রেল পদ্মা পাড়ি দিলেও আজ থেকে বেনাপোল হতে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী নিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস রুট পরিবর্তন করে যমুনা সেতুর পরিবর্তে স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়ে যায় ঢাকায়। প্রথম পর্যায়ে কেবল যাত্রীবাহী রেল চলাচলের সুবিধা হলেও পরে মিলবে রেলে পণ্য পরিবহনসেবা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, পদ্মা সেতুতে রেল সেবাসহ সরকারের একের পর এক উন্নয়ন কার্যক্রম দেশের অর্থনীতিকে আগামীতে আরো বেগমান করতে ভূমিকা রাখবে।

বেনাপোল রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইমদাদুল হক জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পূর্বের চেয়ে আরও জোরদার করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন

ছবি: বার্তা ২৪

নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের চলমান সন্ত্রাসী আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই সংহতি জানান তারা।

মানববন্ধনে ফিলিস্তিনের শিশুসহ নারী-পুরুষদের ওপর ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, বোমা হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
কর্মসূচীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুল হান্নান বলেন, ইসরায়েল কর্তৃক গাজায় যে আগ্রাসন চালানো হয়েছে তা কোনো যুদ্ধ নয়। এটি একটি গণহত্যা। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধের সময়ও সর্বসাধারণের উপর আক্রমণ করা যাবে না। কিন্তু আমরা দেখতেছি ফিলিস্তিনের হাসপাতাল, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর সবকিছুর উপর বোমা হামলা করা হচ্ছে। যা রীতিমতো আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।

তিনি আরও বলেন, এটি একটি যুদ্ধাপরাধ। ইসরায়েল একটি অভিশপ্ত জাতি। তাদেরকে মদদ দিচ্ছে আমেরিকা। যারা গণতন্ত্র ও মানবতার ছবক দেয়। এ সময় তিনি এই গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুসহ জড়িতদের শাস্তির জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে আবেদন জানান।

মানববন্ধনে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, নিরীহ ফিলিস্তিনদের হাসপাতাল থেকে শুরু করে কোনো কিছুই নির্যাতনের হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না। শিশু-নারীসহ বৃদ্ধ এমনকি যে নারী সন্তান প্রসব করবে তাকেও হত্যা করা হচ্ছে। এমন ভয়াবহ তাণ্ডব পৃথিবীর ইতিহাসে এর আগে দেখা যায়নি। এই গণহত্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু ইন্ধনই দিচ্ছে না, সেখানে তারা অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে। তারা গাজা উপত্যকা মৃত্যু নগরীতে পরিণত করেছে। এই গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আইনে একদিন বিচার হবেই।
আইন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল আলিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিভাগের অধ্যাপক মো. আহসান কবির, অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ, অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম মিয়া। এ সময় বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। 

;

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রিমুখী গোলাগুলি, অস্ত্রসহ আটক ৬

ছবি: বার্তা২৪.কম

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ও দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে ত্রিমুখী গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গোলাগুলির পর পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে এপিবিএন। 

বুধবার (০১ নভেম্বর) রাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়াস্থ ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল।

এসময় তাঁদের কাছ থেকে ০২টি ওয়ান শুটার গান, ১০ রাউন্ড গুলি, ০৪ টি গুলির খোসা, ০১ টি ওয়াকি-টকি, ০২ টি বাটন ফোন, ০২টি এন্ড্রোয়েড ফোন, ০১টি টর্চ লাইট ও ০১টি ছোট কালো ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন, পেটান আলী (৫০), মোঃ জোবায়ের (২৫), দিল মোহাম্মদ (২৬), শরীয়ত উল্লাহ (২৭), জিয়াবুর রহমান (২৬) ও মোহাম্মদ আয়াছ (১৯)। তারা সবাই ক্যাম্প ৫ এর বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দা।

ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, ‘বুধবার উখিয়ার ক্যাম্প-৪ (এক্সঃ) এর আই ব্লকে আরসা ও আরসা বিরোধী সন্ত্রাসীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি শুরু হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে আরসা ও আরসা বিরোধী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশ ও নিজেদের আত্মরক্ষায় ০২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ০৬ রাউন্ড এস.এম.টির গুলি ও ০১ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি ফায়ার করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে শতাধিক গুলি বিনিময় হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের প্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে পেটান আলীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, ‘গোলাগুলিতে পুলিশের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সন্ত্রাসীদের আটকে অভিযান চলছে।’

;

তিন দফা দাবি নিয়ে গণভবন অভিমুখে সোহেল তাজ

ছবি: বার্তা ২৪

তিন দফা দাবি নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিতে গণভবন অভিমুখে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ এর ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ)।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুর সোয়া চারটায় মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন গোল চত্বর থেকে হেঁটে বের হয়েছেন তিনি। এ সময় সাথে ছিলেন তার জ্যৈষ্ঠ বোন শারমিন আহমদ।

এ পদযাত্রা থেকে ৩রা নভেম্বর কে জাতীয়ভাবে পালনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করবেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান কে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই কলঙ্কিত দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবী আদায় এই স্মারকলিপি প্রদানের লক্ষ্য।

সোহেল তাজের দাবিগুলো হলো- ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হওয়ায় ওই দিনকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করা; ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।

এর আগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর তিন দফা দাবিতে স্পিকারকে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন সোহেল তাজ । ওই দিন মানিক মিয়া এভিনিউতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও পদযাত্রা শেষে এই স্মারক পৌঁছে দেন তিনি। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন গাজীপুরের কাপাসিয়ার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

মুক্তিযুদ্ধকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দ জোহরা তাজউদ্দীনের ছেলে সোহেল তাজ ২০০১ সালে প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। পরে ২০০৮ সালের ভোটের পর সরকার গঠনের সময় তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা।

তবে পাঁচ মাস পরই পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ । ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। তারপর রাজনীতি থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। তার সংসদীয় আসনে (গাজীপুর-৪) এখন সংসদ সদস্য তার বোন সিমিন হোসেন রিমি। রিমি আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য।

;

ময়মনসিংহে অবরোধ সমর্থনে বিএনপির মিছিল

ময়মনসিংহে অবরোধ সমর্থনে বিএনপির মিছিল

বিএনপির-জামায়াতের ডাকা অবরোধের তৃতীয় দিনে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। এসময় পুলিশের ধাওয়ায় নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে নগরীর সানকিপাড়া রেলক্রসিং থেকে কোতোয়ালি বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহম্মেদের নেতৃত্বে মিছিলটি ফুলবাড়িয়া পুরাতন বাসন্ট্যান্ড মোড়ে এলে পুলিশ ধাওয়া করে। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এসময় সিরতা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ মিয়াকে আটক করে পুলিশ।

ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেন হোসাইন বলেন, অবরোধের শেষদিন নাশকতা এড়াতে শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। বিএনপি মিছিল বের করে নাশকতার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এসময় নেতাকর্মীরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে একজনকে আটক করা হয়।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *