সারাদেশ

নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

ডেস্ক রিপোর্ট: সৌদি আরবের কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল (আরএসজিটি) আগামী এপ্রিল মাসে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে (পিসিটি) অপারেশনে যাচ্ছে। বিষয়টি জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, ‘এখানে চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ আছে, তারা আইনের মাধ্যমে চলে। এখানে ব্যবসা করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে বিভিন্ন ধরণের বিদেশি বিনিয়োগকারীরা প্রপোজাল দিচ্ছেন। পর্দার আড়ালে আমরা কারও সঙ্গে বৈঠক করছি তা নয়। যার সঙ্গে কাজ করলে চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের স্বার্থ রক্ষা হবে, বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরাপদে থাকবে তার সঙ্গেই কাজ করব। আমাদের সঙ্গে যদি সে স্বার্থ মিলে যায় শুধু এনসিটি কেন অন্যন্যগুলোতেও বিনিয়োগে আমরা বাঁধা দেব না। আশা করি এপ্রিল মাস থেকেই সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে পুরোপুরি অপারেশনে চলে যাবে।’

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেটে স্ক্যানার উদ্বোধন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।

বিদেশের অভিমুখে রওনা হওয়া পণ্যবাহী কনটেইনারগুলো স্ক্যান করে জাহাজে তোলার জন্য বসানো স্ক্যানার কতটুকু সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সহায়কের চেয়ে বড় কথা হচ্ছে নজরদারি ডিজিটাল হয়েছে এখানে। ফাঁকিজুকি দেওয়ার মনোবৃত্তি নিয়ে যারা ব্যবসা করেন তারাও এখানে আটকে যাবেন স্ক্যানিং-এ। সবচেয়ে বড় কথা স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে আমাদের আইএসপিএস যে কোড সেটা আমরা পূরণ করতে পেরেছি।’

পিসিটির পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগ অন্যান্য জায়গাও করার চিন্তা-ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছি। বাংলাদেশের পরিচয় ছিল ক্ষুধা, দারিদ্রতা, বন্যা, দূর্ভিক্ষ। এগুলোই ছিল আমাদের পরিচয়। বাংলাদেশের পরিচয়তো এখন অনেক উচ্চতায় চলে গেছে। আমরা তো মর্যাদার জায়গায় আছি। সেজন্য আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা বাইরেও ব্যবসা করছে। বিদেশি ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশে আসবে। সেটা হবে দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য।’

স্ক্যানার আন্তর্জাতিক বিশ্বে বন্দরের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে জানিয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খুবই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে আগে আমদানি করতাম, এখন রফতানিটাও সে পদ্ধতিতে চলে গেছে। আমাদের পণ্যর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় যে কথাবার্তা বলা হতো রফতানির ক্ষেত্রে সেগুলো আর হবে না। এ সম্মানটি স্ক্যানারের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি।’

বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্দরে স্ক্যানার বসানোর বিষয়ে জানতে চাইলে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলছি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো সেখানে তো শুধু চট্টগ্রাম বন্দরকে স্মার্ট করছি তা না। চট্টগ্রাম বন্দর আলো বাকিগুলো অন্ধকার তাও না।’

বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা নিরাপদ মনে করছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিদেশি অনেক বিনিয়োগ পাইপলাইনে আছে। এ বিনিয়োগগুলো আসছে। যেটাতে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে যাবে। আইএমওতে বাংলাদেশ সি ক্যাটাগরিতে ইলেক্টেড হয়েছে। ১২৮টি দেশ সেটাতে সমর্থন করেছে। যেটা ইউরোপ এবং থাইল্যান্ডের দেশগুলোকে পেছনে ফেলে হয়েছে।’ 

আগে আমরা সিলেকশনে ছিলাম। এখন ইলেকশনে পরিণত হয়েছি মন্তব্য করে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা (বিদেশিরা) মনে করে বাংলাদেশের বিনিয়োগ করা নিরাপদ। আমরা দেশের স্বার্থ ও জনগণের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে কাজ করছি। দেশ বিক্রি করার চুক্তি আমরা কারও সঙ্গে করব না।

এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেইটে স্ক্যানার উদ্বোধন ও হস্তান্তর করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।

বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এরিয়া কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আজিম, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, ফাইভ আর অ্যাসোসিয়েটসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান জাহিদ রহমান, বন্দর সিবিএ নেতা নায়েবুর রহমান ফটিক।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *